উহান থেকে কোভিড -১৯ দিনলিপি: কাঁচের দেওয়াল পরিবেষ্টিত

ছেঁড়া সুরক্ষামূলক সজ্জা পরিহিত একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। ছবির কৃতজ্ঞতা: গুও জিং। অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নারীবাদী পণ্ডিত এই জিয়াওমিং এবং নারীবাদী কর্মী গুও জিং রচিত ধারাবাহিক দিনলিপির মধ্যে নীচের পোস্টটি ১১তম। দুজনই কোভিড -১৯ মহামারীর কেন্দ্রস্থল উহান শহরে বসবাস করছেন। এখানে ধারাবাহিকটির প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম অংশের সংযোগ রয়েছে।

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক প্রভাব সম্পর্কে গ্লোবাল ভয়েসেসের বিশেষ কভারেজটি দেখুন।

এই কিস্তিটি ২০২০ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ তারিখের মধ্যে লেখা হয়েছে। চীনা ভাষায় লেখা মূল দিনলিপিগুলি ম্যাটার নিউজে প্রকাশিত হয়েছে।

গুও জিং: ১১ মার্চ, ২০২০

今天,人们还在接力转发《发口肖子的人》,版本越来越多,英文版、日文版、越南语版、盲文版、甲骨文版、16进制编码版、摩斯电码版、空白版……这是封锁下的艺术,简直是一种世界奇观。人们转发的不再是文章本身,而是在表达情绪,有对审查的愤怒,有对发哨人的敬佩,有坚持发声的不屈。

লোকেরা আজো “পর্দাফাঁসকারী” নিবন্ধটি ভাগাভাগি করে চলেছে।  এখন এটি আমরা বিভিন্ন ভাষা: ইংরেজি, জাপানি, ভিয়েতনামী, ব্রেইল, ওরাকলের বোন স্ক্রিপ্ট, ষোলঘাতের সংকেত, মোর্স সংকেত এবং এমনকি কোন শব্দ ছাড়া ফাঁকা সংস্করণেও পাচ্ছি… বিশ্বের একটি আশ্চর্য বস্তুগুলির মতো এটি লকডাউনে করা একটি সমষ্টিগত শিল্প কর্ম। জনগণ শুধু নিবন্ধটিই নয়, – তাদের আবেগ, সেন্সর করার প্রতি তাদের ক্ষোভ, পর্দাফাঁসকারীদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা এবং কথা বলার পক্ষে তাদের সংকল্পকেও এগিয়ে দিচ্ছে।

[সম্পাদকের দ্রষ্টব্য: “পর্দাফাঁসকারী” হলো নোভেল করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাগার প্রতিবেদন বিতরণকারী প্রথম ব্যক্তি ডাঃ এই ফেনের একটি সাক্ষাৎকার। সরকারি ওয়েব সেন্সরগুলি দ্রুতই নিবন্ধটি অফলাইনে নামিয়ে ফেললে জনগণ সেন্সরগুলিকে এড়িয়ে যেতে বিভিন্ন ভাষার সংস্করণে পোস্টগুলি বিতরণ শুরু করে।]

এই জিয়াওমিং: ১১ মার্চ, ২০২০

我的封城日记没那么好运,接连被连刪了两篇。我在公号上至少传了十多篇文章,一半不见天日。有关博客,我先后做了三个,早已去向不明。有的文章,连一个晚上都没有活过。不能得到众多的点赞就算了,这样耗费一个又一个白天黑夜,所为何来?
我家有个小平台,平时与客厅相隔的玻璃门都开着。有一天我不知门已关上,兴冲冲地闯过去。结果?倒退五步抱头歪嚎。
每天写公号的感觉,就是这么回事。你就算一身是胆,胸怀绝技,四面透明的玻璃幕墙罩着你。你去撞,只管撞……

উহান লকডাউন সম্পর্কে আমার দিনলিপিটি ততটা ভাগ্যবান নয়। এর দুটিকে একের পর এক মুছে ফেলা হয়েছে। আমি আমার উইচ্যাট প্রকাশ্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১০টিরও বেশি নিবন্ধ জমা দিলেও তাদের অর্ধেকই প্রকাশিত হতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি তিনটি ব্লগ খোলার পর সবগুলিই অফলাইন হয়ে গেছে। আমার কিছু নিবন্ধ এক রাতও টেকেনি। সেগুলি খুব বেশি মনোযোগ আকর্ষন করবে বলে আমার মনে হয় না, তাহলে এমন লেখাগুলি লেখা এবং আপলোড করার পেছনে দিনের পর দিন ব্যয় করার দরকারটাই বা কী?

বাড়িতে আমার একটা ছোট্ট বারান্দা আছে। আমি সাধারণত বারান্দা এবং শোয়ার ঘরের মাঝের কাঁচের দরজাটি খোলা রাখি। একদিন দরজাটি যে বন্ধ আমার মনে না থাকায় আমি এর সাথে ধাক্কা খাই। ফলাফল? মাথা চেপে ধরে হোঁচট খেয়ে আমি পাঁচ পা পিছিয়ে যাই, গুঙিয়ে উঠি।

প্রতিদিন আমার উইচ্যাটের প্রকাশ্য অ্যাকাউন্টের সাথে লড়াই করার পর আমি এমনই অনুভব করি। আপনি সাহসী হলেও আপনি চারপাশে কাঁচের তৈরি দেওয়াল পরিবেষ্টিত। আপনি যতবারই ভেঙ্গে বেরুনোর চেষ্টা করেন না কেন, সেগুলি সারাক্ষণ সেখানেই থেকে যায়।

গুও জিং: ১৩ মার্চ, ২০২০

People picked up delivered food at the gate. (Photo credit: Guo Jing. Used with permission.)

封城前,偶尔到野外露营或者去郊外游玩,静谧中的鸟语花香会让人欣喜。现在每天在鸟叫声中醒来,却没有轻松愉悦的心情
昨天小区群里有人发了肯德基的团购,我有点心动。可是,家里的菜都还没吃完,坏了太可惜,就想着先把家里的菜吃完。

লকডাউনের আগে আমি মাঝে মাঝে ক্যাম্পিং বা হাঁটার অভিযানে যেতাম। আমি ফুল, পাখি এবং প্রকৃতি দিয়ে ঘিরে থাকা উপভোগ করতাম। তবে এখন যখন আমি সকালে পাখিদের গান শুনি, আমি আর এটি উপভোগ করার মতো মেজাজ পাই না। গতকাল কেউ একজন কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের (কেএফসি) কাছ থেকে দলবদ্ধ কেনাকাটা শুরু করেছে। এটা লোভ জাগিয়েছিল। তবে বাড়িতে আমার এখনো কিছু সবজি আছে। এগুলি পচে গেলে খুব খারাপ লাগবে, তাই আমি প্রথমে শাকসবজি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।

গুও জিং: ১৪ মার্চ, ২০২০

有个朋友把我拉进一个群,群里的人在分享最新的交通管制信息,交流“离开”的经验。湖北除武汉外的县市开始放松了一些管控,已经有人迫不及待地想要离开,有人为了复工,有人为了团聚,有人只是想离开。当然,也有人想回湖北的,但很多火车票不卖到湖北地区的票。
离开要有通行证和健康证明,可是各个县市乃至村子的开放程度和政策不一样,有的通行证只能在市里活动,有的地方开通了城际巴士,有的地方可以自己驾车走高速出省。
出了湖北,能不能进入别的省市又是一个问题,进入也需要工作单位或社区开的接收证明。有的省份不承认在支付宝上申请的绿码(健康码),有人开车上了高速,到了目的地却下不了高速,去江西、四川、重庆的群友都遇到了这样的情况,他们被迫原路返回。
有的地方可以接受进入,却要求隔离14天。温州、台州、广州要求集中隔离,自己出钱,每人每天300元;东莞、杭州要求集中隔离14天,政府出钱。
没有统一而稳定的政策,人们的出行很难有保障,往往只能自己亲身试验,试验就会付出一些不必要的成本。
昨天12点多睡觉,楼道里有窸窸窣窣的声音,搞得我半天才入睡。早上7点多,楼道里又时不时地传来开门声,我就被吵醒。我的小区旁边正在修建地铁,封城前,晚上工地上也会有轰隆隆的机器声,可我基本不受影响。现在我的感官似乎时刻在寻找信息,很难关停
有个上海的朋友说,自从她家附近有人确诊之后,她老是听到救护车的声音

আমার বন্ধু আমাকে একটি অনলাইন দলে যুক্ত করেছে যেখানে লোকজন একেবারে হালনাগাদ যানবাহনের তথ্য এবং তাদের হুবেই প্রদেশ “ছাড়ার” অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে থাকে। উহান ছাড়া হুবেই প্রদেশের কয়েকটি শহর ও কাউন্টি তাদের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে শুরু করেছে। কাজে ফিরে যেতে চায় বা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে পুনরায় মিলিত হতে চায় বলে অনেক লোকই আর চলে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে চায় না। কিছু লোকের শুধু চলে যাওয়াটাই দরকার। অবশ্যই শুধু হুবেই প্রদেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা করছে এমন লোকেরাও আছে। তবে অনেক রেলস্টেশনগুলি (এখনো) হুবেই এলাকায় আসার টিকিট বিক্রি করে না।

যদি আমরা চলে যেতে চাই তাহলে আমাদের একটি পাস এবং একটি স্বাস্থ্য সনদ থাকতে হবে। তবে প্রতিটি শহর, কাউন্টি ও গ্রামের জনগণের চলাফেরা নিয়ে নিজস্ব নিয়ম-কানুন রয়েছে। কিছু কিছু পাসধারীদের কেবল শহরের ভেতরে চলাফেরা করতে পারবে। কিছু কিছু পাসধারীরা শুধু আন্তঃনগর বাসে উঠতে পারবে। আর কিছু পাসধারীকে এই প্রদেশ ছেড়ে যেতে মহাসড়কে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়।

আমরা এমনকি হুবেই প্রদেশ ছেড়ে চলে যেতে পারলেও আমরা অন্য প্রদেশ বা শহরে ঢুকতে পারবো কিনা তা নিয়ে এখনো সন্দেহ আছে। কোন কোন প্রদেশ বা শহরে ঢকতে হলে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অথবা আবাসিক এলাকার জারি করা একটি সনদ দরকার। কিছু প্রদেশ আলি-পের দেওয়া সবুজ সংকেতের (স্বাস্থ্যকর সংকেত) স্বীকৃতি দেয় না। কিছু লোক শুধু মহাসড়কে গাড়ি চালাতে পারলেও গন্তব্যে পৌঁছানোর পর তাদের মহাসড়ক ছেড়ে যেতে দেওয়া হয় না। জিয়াংসি, সিচুয়ান এবং চংগিংয়ে গিয়ে এই দলের বেশ কয়েকজনের এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তারা গাড়ি চালিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

কিছু কিছু স্থান জনগণকে প্রবেশ করতে দিলেও ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। ওয়েংঝু, তাইঝু এবং গুয়াংঝু প্রদেশ কেন্দ্রীয়ভাবে কোয়ারেন্টাইনের অনুরোধ করে জনগণকে প্রতিদিন আরএমবি ৩০০ ইউয়ান (প্রায় ৩,৬০০ টাকা) কোয়ারেন্টাইন ফি দাবি করে। ডংগুয়ান এবং হ্যাংঝু ১৪ ​​দিনের কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টাইনের অনুরোধ করলেও তাদের সরকারগুলি কোয়ারেন্টাইনের অর্থ পরিশোধ করে দেয়।
মানসম্মত কোন নীতি না থাকলে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা কঠিন। জনগণকে এসব পরীক্ষা-নীরিক্ষার মূল্য দিতে হয়

গতরাতে প্রায় ১২টার দিকে আমি বিছানায় যাওয়ার সময় করিডোরে কিছুটা শব্দ হলো। আওয়াজটার জন্যে আমার ঘুমাতে অসুবিধা হচ্ছিল। আমি আজ সকাল ৭টার দিকে করিডোরে দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠি। লকডাউনের আগে আমার কমিউনিটির নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশনটি সংস্কার করা হচ্ছিল। রাতে নির্মাণটিতে খুব শব্দ হলেও আমি প্রভাবিত হতাম না। এখন আমার ইন্দ্রিয়গুলি বাইরের তথ্য পাওয়ার জন্যে অতি উত্তেজিত থাকে, আর তাই এদের বন্ধ করে রাখা কঠিন

সাংহাইয়ের এক বন্ধু আমাকে বলেছিল যে তার এলাকার কেউ কোভিড-১৯ নিশ্চিত হলেই সে সারাক্ষণ অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনতে পায়

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .