
চীনা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৪। চীনা সূচক ২০২২ ওয়েবসাইটের পর্দাছবি। ন্যায্য ব্যবহার।
২০১৫ সালে প্রধানত বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর (বিসিআইএম) নামে পরিচিত তার একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বন্ধনী ও সড়ক উদ্যোগ (বিআরআই) নামে পরিচিত চীনা বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশলের অংশ হয়ে ওঠে। আট বছর পরে মহামারীর প্রভাব, বেইজিংয়ের নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষার পুনর্মূল্যায়ন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্যে মার্কিন সরকারের চাপসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রাথমিক উৎসাহে বেশ ভাটা পড়েছে বলে মনে হয়। এর ফলে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ২০১৬ সালের সফরের সাত বছর পর উন্নয়নের গতিও মন্থর হয়।
একটি সমৃদ্ধ তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্প, একটি ক্রমবর্ধমান স্থানীয় উৎপাদন শিল্প এবং প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা চীনকে গত দশকের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত করে। ফলে ২০১৬ সালের অক্টোবরে শি জিনপিংয়ের সফরটি দেশটির রেল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং অন্যান্য উদ্যোগের মতো বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের উন্নয়নে চীনের সহায়তা নেওয়ার একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুযোগের ইঙ্গিত দেয়।
২০১৬ সালে চীন বাংলাদেশে প্রায় চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। এই পরিমাণের মধ্যে ২,৪৪৫ কোটি ডলার সহায়তা হিসেবে অবকাঠামো প্রকল্পের জন্যে মনোনীত এবং ১,৩৬০ কোটি ডলার যৌথ উদ্যোগ বিনিয়োগের জন্যে বরাদ্দ করে। উপরন্তু, চীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ২,০০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়।
সেই বছর বাংলাদেশ মোট ৯৪৫ কোটি ডলারেরও বেশি চীনা অর্থায়নে আটটি প্রকল্পের জন্যে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ (মূল্য ৩৩০ কোটি ডলার), পায়রা ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা-শক্তির তাপবিদ্যুৎ স্থাপনা (১৫৬ কোটি ডলার), বাংলাদেশ সরকারের (১০০ কোটি ডলার বাজেটের) প্রকল্পের জন্যে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো নেটওয়ার্কের উন্নয়নে একটি বিনিয়োগ এবং একটি বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ প্রকল্প (মূল্য ১৩২ কোটি ডলার) রয়েছে।
বন্ধনী ও সড়ক উদ্যোগ শ্রীলঙ্কার (বিআরআইএসএল) টুইটার অ্যাকাউন্টটি যেভাবে রাজধানী ঢাকার সাথে পায়রা বন্দরসহ বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম দূরত্বের রেল সংযোগ স্থাপনকারী ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি এই সহযোগিতার একটি মূল উপাদান হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেছে।
Chinese and Bangladeshi engineers work together for the 172 km #PadmaBridge Rail Link Project in Keraniganj, Bangladesh, one of the most significant Belt and Road Initiative projects under construction by the China Railway Group Limited. #China-#Bangladesh #BRI pic.twitter.com/AVGHCIctmX
— BRISL (@BRI_SL) February 3, 2023
চীনা রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের নির্মাণাধীন বন্ধনী ও সড়ক উদ্যোগ প্রকল্পগুলির একটি বাংলাদেশের কেরানীগঞ্জের ১৭২ কিলোমিটার #পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনা এবং বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা একসঙ্গে কাজ করছে। #চীন-#বাংলাদেশ #বিআরআই
চীন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে দুটি ঋণ চুক্তিসহ নয়টি নতুন বিনিয়োগ স্বাক্ষরিত হয়।
চীনা বৈশ্বিক বিনিয়োগ ট্র্যাকার অনুসারে চীন ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৭০৭ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং প্রায় ১,৬০০ কোটি ডলার মূল্যের নির্মাণ প্রকল্পে সরাসরি জড়িত রয়েছে।
বাংলাদেশের উদ্বেগ: ঋণের ফাঁদ থেকে শুরু করে অপরিচ্ছন্ন জ্বালানী
এই আপাতদৃষ্টিতে পারস্পরিক সুবিধাজনক পরিস্থিতি সত্ত্বেও চীনের ভূমিকা সম্পর্কে ঢাকার নিজস্ব উদ্বেগ রয়েছে এবং বিআরআই-এর লক্ষ্যগুলির সাথে তার কৌশলকে সাজানোর অনুরোধ করে। বাজেটের সীমাবদ্ধতা ও বর্ধিত সময়সীমার মতো চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনাময় মূল বিআরআই প্রকল্পগুলিতে ধীরগতির তহবিল বিতরণ নিয়েও ঢাকা উদ্বেগ প্রকাশ করে।
সম্ভবত প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি বাংলাদেশকে চীনের বিআরআই-সম্পর্কিত অবকাঠামো প্রকল্পগুলিতে তার সম্পৃক্ততা পুনর্মূল্যায়ন করতে প্ররোচিত করে।
চীনের বন্ধনী ও সড়ক উদ্যোগের অধীনে আরো ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ২০২২ সালের আগস্টে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
#ChinaBangladesh
Bangladesh’s Finance Minister AHM Mustafa Kamal has warned that developing countries must think twice about taking more loans through China’s Belt and Road Initiative as global (BRI) inflation and slowing growth add to the strains on indebted emerging markets. pic.twitter.com/k6dafFv90U— Global Watch (@GlobalWatch_) August 10, 2022
#চীনবাংলাদেশ
বৈশ্বিক (বিআরআই) মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রবৃদ্ধির ধীরগতি ঋণগ্রস্ত উদীয়মান বাজারগুলিতে চাপ বাড়াচ্ছে বলে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল চীনের বন্ধনী ও সড়ক উদ্যোগের মাধ্যমে আরো ঋণ নেওয়ার বিষয়ে দুইবার ভাবার বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সতর্ক করেছেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বাংলাদেশের চীনের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার (মোট বৈদেশিক ঋণের ৬ শতাংশ) ঋণের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশটি তার অর্থনীতি চালু রাখতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কঠিন করে তোলা ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদার স্থিতি বজায় রাখতে ৪৫০ কোটি ডলারের একটি বেলআউট প্যাকেজের অনুরোধ করে। বাংলাদেশ ২০২২ সালে ব্যাংকিং খাতকে পঙ্গু করে দেওয়া ব্যাপক ঋণ খেলাপি ও মূলধন পাচারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতি কমে যাওয়া এবং আরো অসংখ্য কারণে সৃষ্ট একটি আসন্ন অর্থনৈতিক সঙ্কট সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে। চলমান অর্থনৈতিক সংকট প্রশমিত করতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ প্রদানকারী টেলিটকের হাইওয়ে উন্নীতকরণ এবং একটি ৫ম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক নির্মাণের মতো বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্প বাতিল বা স্থগিত করেছে।
উদ্বেগের আরেকটি উৎস হলো পরিবেশের উপর প্রভাব। বিআরআই পরিকল্পনার ১৫টিরও বেশি অবকাঠামো প্রকল্পে কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে একটি পরিবেশগত গবেষণা “কার্বন বিপর্যয়” বলে অভিহিত করেছে। নির্মাণের জন্যে জমি অধিগ্রহণে আপত্তি এবং পরিবেশগত উদ্বেগ জানিয়ে স্থানীয়রা এসব প্রকল্পের অনেকগুলির বিরোধিতা করছে। গণ্ডামারা এবং বাঁশখালীর বিভিন্ন ঘটনায় ২০১৬ সাল থেকে অন্তত ১২ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছে।
জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্যে কর্মরত গোষ্ঠী ঋণ ও উন্নয়ন নিয়ে এশীয় গণআন্দোলন নিহতদের জন্যে ন্যায়বিচার দাবি করেছে:
On April 17, 2021, a clash between the protesting workers of the Banshkhali Coal Power Plant in Bangladesh and police authorities led to the death of 5 and the injuries of 15. The workers were demanding their due wages from power plant authorities. #JusticeForBanshkhaliWorkers pic.twitter.com/897fwL1kaz
— APMDD (@AsianPeoplesMvt) April 17, 2021
১৭ এপ্রিল, ২০২১ বাংলাদেশের বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়। শ্রমিকরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রাপ্য মজুরি দাবি করছিল। #বাঁশখালীশ্রমিকদেরজন্যেন্যায়বিচার
এই বাধার ফলে বাংলাদেশ ২০২১ সালে দশটি অতিরিক্ত কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে এবং চীনকে তার বন্ধনী ও সড়ক উদ্যোগ পোর্টফোলিওতে তিনটি জ্বালানি প্রকল্পসহ পাঁচটি প্রকল্প প্রতিস্থাপনের অনুরোধ জানায়। বেইজিং এর ফলে প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে এসেছে।
তারপরও চীনের উপর নির্ভরশীলতা ঢাকার জন্যে একটি বাস্তবতা হতেই পারে: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে এগুচ্ছে বলে এর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আনুমানিক ৮,০০০ – ১০,০০০ কোটি ডলার দরকার বলে এখনো চীনের কাছে বিনিয়োগ চাইতে পারে। বিশ্বব্যাপী সরকার-চালিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যবেক্ষণকারী বৈশ্বিক কয়লা অর্থায়ন ট্র্যাকার অনুসারে বিশ্বব্যাপী নির্মিত সমস্ত কয়লা স্থাপনার ৭০ শতাংশেরও বেশি চীনা অর্থায়নের সাথে যুক্ত।
চীনের বৈশ্বিক প্রভাব পরিমাপকারী চীনা সূচক ২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশ ৮২টি দেশের মধ্যে ৫৪তম স্থানে রয়েছে, যেখানে ভারত রয়েছে ৫৫তম স্থানে। এদিকে পাকিস্তানের অবস্থান এক নম্বরে। বাংলাদেশের স্কোর অনুসারে বেইজিংয়ের প্রভাবের ক্ষেত্রে এর ২৯ শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে যেগুলোর বেশিরভাগই বৈদেশিক নীতি, প্রযুক্তি এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে।
বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ভারসাম্য
-কৌশলগত পরিবর্তনের কারণে বেইজিং তার নিজের বিআরআই কৌশল পুনর্মূল্যায়ন করছে। উদ্যোগ থেকে ভারতের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডোরকে বিআরআই অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বেইজিং এখন দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন উদ্যোগের দিকে মনোনিবেশ করছে: চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর (সিএমইসি), নেপাল ও চীনের মধ্যে আন্ত-হিমালয় বহুমুখী সংযোগ নেটওয়ার্ক এবং গোয়াদর বন্দর স্থাপনাসহ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি)।
চীন ভারতকে তার সামুদ্রিক প্রতিবেশে ঘিরে ফেলার জন্যে তার “মুক্তার মালা কৌশল” এর অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা ও পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে বিনিয়োগের সাথে সাথে বাংলাদেশে কক্সবাজারের কাছে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগে গভীর আগ্রহ দেখায়। তবে জাতীয় স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে সেই বন্দরে বিনিয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ প্রকৃতপক্ষে ভারতের পাশপাশি ওয়াশিংটনেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর কমান্ডার অ্যাডমিরাল স্যামুয়েল জে. পাপারো দক্ষিণ এশিয়ার বন্দরগুলিতে চীনা বিনিয়োগের সম্ভাব্য বিপদ এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে চীনা ঋণের ফাঁদের প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। আসিয়ান দেশ, জাপান ও ভারতের সমর্থনে বেইজিংয়ের প্রভাব মোকাবেলা করার উপায় হিসেবে ওয়াশিংটন তার নিজস্ব মার্কিন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল প্রস্তাব করেছে।
এটি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়িয়েছে: বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ২০২১ সালের মে মাসে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার অনানুষ্ঠানিক কৌশলগত জোট চতুর্মুখী নিরাপত্তা সংলাপে (কোয়াড) বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করবে। তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী “দুর্ভাগ্যজনক” বলে এই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেছিলেন যে সিদ্ধান্তটির মালিক “বাংলাদেশ, চীন নয়।” ২০২২ সালের জুনে, চীন আরো একবার কোয়াড নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে। যেমন সাংবাদিক এমএকে জিলানি টুইট করেছেন:
Chinese Ambassador in Dhaka Li Jiming has said #Bangladesh‘s relations with #China will “substantially damage” if Bangladesh joins with the #US-led initiative named “#Quad.” @MFA_China pic.twitter.com/GaomOOcmDo
— MAK Jilany (@its_me_j2) May 10, 2021
ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন বাংলাদেশ “#কোয়াড” নামের #মার্কিন নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে যোগ দিলে #চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক “যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে”। @এমএফএ_চীন
বর্তমানে বাংলাদেশ তার নিজস্ব “সবার প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়” নীতিতে বিআরআই এবং ইন্দো- প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে।