
মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় সুন্নি এবং শিয়া সম্প্রদায়ের জনসংখ্যাভিত্তিক মানচিত্র। ছবি উইকিপিডিয়ার পিসওয়ার্ল্ড১১১ এর। সিসি বাই-এসএ ৪.০ অনুসারে ব্যবহার করা হয়েছে।
জাতির উদ্দেশ্য প্রদান করা সর্বশেষ ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা বিবৃতি প্রদান করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘর্ষ হাজার বছরের পুরোনো। একজন আরব গবেষক সময় নিয়ে ওবামাকে এই সংঘর্ষের একটি দিক ব্যাখ্যা করছে,আর সেটি হচ্ছে এই যে–আজকের এই তথাকথিত সুন্নি এবং শিয়া সম্প্রদায়ের মাঝে যে সংঘর্ষ, তা আর যাই হোক, প্রাচীন নয়।
ওবামা বলেছেন “মধ্যপ্রাচ্য এক রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ঘটে এসেছে,এটি এমন এক সংঘর্ষ যা হাজার বছরের পুরোনো।
একগুচ্ছ ধারাবাহিক টুইট যার শিরোনাম তথাকথিত “প্রাচীন” সুন্নি বনাম শিয়া সংঘর্ষ সম্বন্ধে, সেখানে নামক ফিলিস্তিনি লেখক, পেশা বিষয়ক উদ্যোক্তা,এবং আরব বসন্তের একটিভিস্ট আইয়াদ এল বাগদাদি ইতিহাস থেকে উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছে যে সে সময় এটা “সম্প্রদায়ের নেতা” কিংবা “রাজনীতির বিষয়” ছিল না”:
In the late 19th century, Shiite scholar Al Afghani was a prominent member of the anti-colonialist, pan-Islamic revival movement.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯ শতকে, শিয়া নেতা আল আফগানী ছিলেন উপনিবেশবাদ বিরোধী চিন্তার একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি, সামগ্রিক ইসলামিক পুর্নজাগরন আন্দোলনের এক সদস্য।
Al Afghani's disciple was none other than prominent Sunni scholar Mohammad Abduh, who would later become Egypt's Grand Mufti.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
আল আফগানীর শিষ্য আর কেউ নন, প্রখ্যাত সুন্নি আলেম মোহাম্মদ আবদুহ, যিনি পরবর্তীতে মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি বা প্রধান মৌলানা হয়েছিলেন।
One of the Sunni Abduh's lasting works was his commentary on Nahj al Balagha, one of most important Shia references.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
সুন্নি এই আলেম আবদুহ-এর শেষ কাজ ছিল নাহাজ আল বালাগাহ–এর কাজের উপর করা টিপ্পনী, যিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক শিয়া আলেম।
In 1931, Iraqi Shia cleric Kashif al Ghita led Sunni clerics in prayers in Al-Aqsa mosque in Jerusalem, at an anti-imperialist conference.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯৩১ সালে, উপনিবেশ বিরোধী সম্মেলনে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের সুন্নি আলেমদের নামাজে ইমামতি করেছিলেন ইরাকের শিয়া নেতা কাশিফ আল ঘাইতা
In the 1940s, Pakistan, a majority Sunni state, was founded by Jinnah, a Shiite Muslim.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯৪০-এর দশকে পাকিস্তান ছিল এক সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, যার স্থপতি ছিলেন এক শিয়া মুসলিম জিন্নাহ।
In the early 1950s people answering the Iraq census didn't know whether to pick “Sunni” or “Shia” coz many were mixed.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯৫০-এর দশকে ইরাকের আদমশুমারীতে বেশীর ভাগ ইরাকি নাগরিক সম্প্রদায় পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্ত ছিল যে আদতে তারা সুন্নি, নাকি শিয়া, কারণ তারা ছিল মিশ্র।
In 1958, Egypt's Grand Mufti declared that Shiism will be taught in Al Azhar as the fifth school alongside Sunni schools of jurisprudence.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯৫৮ সালে মিশরের গ্রান্ড মুফতি ঘোষণা দিয়েছেলেন যে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সুন্নি আইনশাস্ত্রের পাশাপাশি পঞ্চম স্কুল (পঞ্চম ইমামের তত্ত্ব) হিসেবে শিয়া আইনের মতবাদও পড়ানো হবে।
In the 1960s Sunni Saudi Arabia supported the Zaydi Shias in Yemen in a civil war against Egypt-supported Republicans.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯৬০-এর দশকে ইয়েমেনে সংঘঠিত গৃহযুদ্ধে মিশর সমর্থিত প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শিয়া নেতা জায়েদিকে সুন্নি সৌদি আরব সমর্থন প্রদান করে।
In the 1980s, the majority of the Iraqi army fighting Iran in the Iraq-Iran war was made up of Arab Shias.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯৮০–এর দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরাকি সেনারা ছিল আরব শিয়া
In the 1990s & 2000s, Shiite Iran supported Sunni Palestinian militant group Hamas.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
১৯৯০ এবং ২০০০-এর দশকে, শিয়া ইরান স ফিলিস্তিনি সুন্নি হামাস দলটিকে সমর্থন প্রদান করে গেছে।
এল বাগদাদি আরো ব্যখা করেন যে “বিভাজন সৃষ্টি কর এবং শাসন কর” বিষয়টি রাজনৈতিক এবং আঞ্চলিক ক্ষমতার সঙ্কটে ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষ পূর্ণ এক গোষ্ঠিগত ফাটল সৃষ্টির প্রয়াস, তিনি টুইট করেন:
The current dynamic isn't a conflict of sectarianism but a willful and cynical sectarianization of a regional power struggle.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
বর্তমান এই পরিস্থিতি তা সৃষ্টি করা হয়েছে সম্প্রদায়গত এক সংঘর্ষের জন্য নয়, বরঞ্চ আঞ্চলিক ক্ষমতার লড়াইয়ে সম্প্রদায়কে অসৎ উদ্দেশ্যে বিভাজিত করার লক্ষ্যে
।
এল বাগদাদির মতে, এই বিভাজনের মাধ্যমে একমাত্র স্বৈরশাসকেরা লাভবান হবেন এবং সম্প্রদায়ের এই বিভাজন হচ্ছে “ ক্ষমতায় যাওয়ার অস্ত্র”:
Tyrants are rarely ideologically committed to Sunnism or Shiism; but are happy to exploit either when it's expedient.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
স্বৈরশাসকেরা আদর্শগত ভাবে সুন্নি বা শিয়া মতবাদের প্রতি খুব কমই বিশ্বস্ত, কিন্তু যখন প্রয়োজন হয় তখন তারা খুশী মনে এটাকে ব্যবহার করে ।
Sectarianization became the pragmatic thing to do. Hatemongering ideologues became useful and hence became stars on TV and media.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
সাম্প্রদায়িক বিভাজন এখন এক প্রায়োগিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে, ঘৃণার আদর্শ এখন প্রয়োজনীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে আর এভাবে বিষয়টি টিভি এবং প্রচার মাধ্যমে এক তারকায় পরিণত হয়েছে।
Fact is, I acknowledge the old theological rift and the communal differences but I emphasize their modern political weaponization.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
ঘটনা হচ্ছে পুরোনো তত্ত্বীয় বিভাজন এবং সম্প্রদায়গত যে পার্থক্য, তা আমি স্বীকার করি, কিন্তু আমি জোর দিচ্ছি আধুনিক রাজনীতিতে অস্ত্র হিসেবে এই ধারনার ব্যবহারের প্রতি।
Has the region been sectarianized? Yes. Are the differences real? Yes. Is the current war posturing an ancient theological dispute? No.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
এই অঞ্চলকে কি সাম্প্রদায়িক বিভাজনে বিভাজিত করা হয়েছে? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, এখানে যে পার্থক্য সেটা কি মৌলিক? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, এই বর্তমান যুদ্ধং দেহী মনোভাব কি প্রাচীন তত্ত্বীয় বিতর্ক থেকে উদ্ভূত ? উত্তর হচ্ছে না।
Many theological and communal differences are innocuous, mundane, and not particularly deadly, until they are weaponized for power.
— Iyad El-Baghdadi (@iyad_elbaghdadi) January 13, 2016
অনেক আধ্যাত্মিক এবং সম্প্রদায়গত পার্থক্য তেমন ক্ষতিকর নয়, এটা নিছক জাগতিক এক বিষয়, এবং বিশেষ করে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা প্রাণঘাতী নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটাকে ক্ষমতার এক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।