এই পোস্টটি আরসেহ সেভমের দার সাহ্ পাতায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, পুলিশ ও গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় দেশটির আসন্ন নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যকলাপের জন্য ইন্টারনেট এবং সামাজিক মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করবে।
গত ১ জুন, ২০১৫ তারিখে তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন জোলফাঘারি নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরীক্ষণ করতে প্রত্যাশার আগেই একটি “নিরাপত্তা কমিটি” তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। “এই নিরাপত্তা কমিটি পুলিশ, বিপ্লবী গার্ড, সেনাবাহিনী, এবং রাষ্ট্রীয় রেডিও ও টেলিভিশন থেকে প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হবে।” জোলফাঘারি আরও জানিয়েছেন, একই ধরণের আরও কমিটি ইরান জুড়ে তৈরি করা হবে।
ইরানের পশ্চিম সীমান্তে সংবেদনশীল পরিস্থিতি এবং আইএস এর মতো সন্ত্রাসী গ্রুপের সে এলাকায় তৎপরতার কারণে ইরানের আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হবে।
ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফার্সি ভাষার মিডিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন যে সংসদ সদস্য এবং বিশেষজ্ঞ পরিষদ সদস্য নির্বাচনের জন্য সারা দেশে ৬০,০০০ টির মতো পোলিং স্টেশন স্থাপন করা হবে এবং ৩০০,০০০ সংখ্যক জনবল এই প্রক্রিয়ায় সরকারের সঙ্গে কাজ করবে।
ইরানে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং তাঁদের দ্রুত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া ইরানী কর্তৃপক্ষকে গুরুতরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। অনলাইন উৎস পর্যবেক্ষণ ছাড়াও, সিকিউরিটি কমিটিটি আসন্ন নির্বাচনের জন্য স্পর্শকাতর অঞ্চল সনাক্ত করতে একটি “নিরাপত্তা মানচিত্র”ও তৈরি করবে।