আল জাজিরা নামক টিভি চ্যানেল, দি গার্ডিয়ান নামক সংবাদপত্রের সাথে মিলে যৌথ ভাবে শত শত গোপনীয় গোয়েন্দা নথি প্রকাশ করেছে, যাকে ‘স্পাই কেবলস’ নামে অভিহিত করা হয়েছে, আর এগুলো ইজরায়েল থেকে ব্রিটেন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সহ সারা বিশ্বের গুপ্তচর সংস্থার নথি। “স্মারক, ইমেইল, মানচিত্র এবং আরো অনেক উপাদান সমৃদ্ধ ১৬০০ সঞ্চিত ফিলিস্তিন নথি নামক কাগজপত্র প্রকাশ করার চার বছর পর এই সকল নথি প্রকাশ করা হল, যে সকল নথি এক দশক ধরে চলা ইজরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চলা আলোচনা এই সকল নথিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে”। বর্তমানে ফাঁস হওয়া এই সকল নথির ক্ষেত্রে আমরা ইজারয়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নথি সংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগ প্রদান করেছি।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মোসাদ ও নেতানিয়াহুর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য
২০১২ সালে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের কাছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সম্পর্কে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘে গিয়ে হাজির হন, এতে তিনি দাবী করেন যে ইরান তাদের লক্ষ্যের ৭০ শতাংশ অর্জন করেছে। অন্যদিকে ইজরায়েল-এর নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এই তথ্য অস্বীকার করে, তারা বলে যে ইরান “ বোমা হামলা বানানোর মত প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেনি”। সম্পূর্ণ কাহিনী এখানে ।
ইজরায়েল তার বেসামরিক বিমান সংস্থাকে এক “ গোয়ান্দা” শাখা হিসেবে ব্যবহার করেছে।
ফাঁস হয়ে যাওয়ার এই সকল নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যাচ্ছে “ইজরায়েল-এর পতাকাবাহী বিমান সংস্থা এল আল এয়ারলাইনসকে বিমান পরিবহনের আড়ালে এক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে ব্যবহার করেছে”, দক্ষিণ আফ্রিকার গোয়েন্দা সংস্থা এসএসএ-এই দাবীকে সমর্থন করেছে, যা ২০০৯ সালে ফাঁস হয়ে পড়ে। সম্পূর্ণ কাহিনী ।
প্রাক্তন ইজারায়েলী একদল গোয়েন্দার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রদান করা সাইবার হামলার হুমকি
নথি ফাঁসের ঘটনায় উন্মোচিত হয়েছে যে ইজরায়েল প্রাক্তন গোয়েন্দা বলে দাবী করা একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালানোর হুমকি প্রদান করেছিল, উল্লেখ্য ইজরায়েল-এর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকদের স্থানীয় ভাবে দেশটিকে বয়কট ও পরিত্যাগ করা এবং তার উপর আরোপিত বিধি নিষেধের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারকে তারা এক অভিযান পরিচালনা করার আহ্বান জানায়, আর তা না মানলে এই হামলার হুমকি প্রদান করা হয়। সম্পূর্ণ কাহিনী ।
এই সকল নথি থেকে উন্মোচিত হয়েছে যে দক্ষিণ আফ্রিকার গোয়েন্দা সংস্থা এসএসএ-এর কাছে মোসাদ ক্ষমতায় আসার একমাসের মধ্যে মিশরের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোরসি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানায়। সম্পূর্ণ কাহিনী এবং আল জাজিরার বিশ্লেষণ।
এই নথি ফাঁস করছে যে সিআইএ-এর এক গোয়েন্দা হামাসের সাথে যোগাযোগের আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল এবং এসএসএ-এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিল। এই ঘটনায় একই সাথে উন্মোচিত হয়েছে যে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন প্রধান মেইর দাগান জাতিসংঘ অনুমোদিত এক ঐতিহাসিক তদন্ত কমিটি গাজায় সংগঠিত যুদ্ধাপরাধের যে প্রতিবেদন তৈরী করে তা ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টায় প্রিটোরিয়ার প্রতি সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছিল, আর এ কাজে নেতৃত্ব প্রদান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিচারক রিচার্ড গোল্ডস্টোন। সম্পূর্ণ কাহিনী।
স্পাই কেবলস-মোসাদের কৌশল উন্মোচন করেছে
মোসাদ তার কর্মকাণ্ডের জন্য যে সকল কৌশল গ্রহণ করে, আল জাজিরার উইল জর্ডান তার কয়েকটি উন্মোচন করেছে। সম্পূর্ণ কাহিনী।
.