২৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখটি, সেই সময়ে অটোমান সাম্রাজ্যে বাস করা ১০ লক্ষ ৫০ পঞ্চাশ হাজার আর্মেনীয় নাগরিকের উপর চালানো গণহত্যা এবং তাদের সম্রাজ্য থেকে বিতাড়িত করার ৯৭তম বার্ষিকী হিসেবে পালন করা হয়েছে। অনেক ঐতিহাসিক এবং বেশ কয়েকটি দেশের সংসদ এই ঘটনাকে এক ব্যাপক গণহত্যা বলে বিবেচিত করে, তবে ঘটনাটি এখনো এক আবেগীয় বিষয় হয়েই রয়ে গেছে।
তবে, সম্প্রতি যখন আর্মেনিয়া এবং তুরস্কের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা এবং ঐতিহাসিক শোকের সমাধান করার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, তখন অন্য ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং অন্তত সুশীল সমাজের কার্যক্রমে এই পরিবর্তন সামান্য নয়।
ঘটনাক্রমে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১৯১৫ সালের ঘটনা নিয়ে তুরস্কের সমাজে এবং একই সাথে তার প্রচার মাধ্যমে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে আরো উন্মুক্ত আলোচনা এবং বিতর্ক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে তুরস্ক তার প্রতি আরোপিত গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, কিন্তু এরপরেও যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা অভূতপূর্ব, যেমনটা টুইটারকারী একজন মন্তব্য করেছে।
@ জিইয়া_মেরাল: ১০ বছরে তুরস্ক (#টার্কি) কতটা পরিবর্তিত হয়েছে… দৈনিক সংবাদপত্র এমন সব প্রবন্ধে ভরে আছে যা ১৯১৫ সালের ঘটনাকে পরিষ্কার ভাবে একটি গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করছে, নাগরিকরা স্মরণে শোভাযাত্রার আয়োজন করছে।..
স্বাভাবিকভাবে, অনলাইন এবং অফলাইনে সবচেয়ে বেশী সক্রিয়তা, আর্মেনিয়ার জাতিগত আর্মেনীয় এবং তার বিশাল প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দৃশ্যমান হয়, যাদের প্রবাস জীবনের কারণ হচ্ছে, তাদের এক সময় নিজ ভূমি থেকে চলে যেতে হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ইস্তাম্বুলের স্মৃতিচারণ আকারে ছোট, তবে অন্তত মর্মস্পর্শী, আর এই এই ঘটনা একই সাথে তুর্কি এবং ইংরেজী ভাষায় সরাসরি টুইট করা হয়েছে।
@ওয়েমোরাল: @সিগডেমাটের এন্ড @ হালে_আকাই #ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আর্মেনীয় গণহত্যার স্মরণসভা থেকে সরাসরি টুইট করছি।
@সিগডেমাটের: ১৯১৫ সালের গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে এক অপরাধ #আর্মেনিয়ানজেনোসাইড http://pic.twitter.com/E58KFq9O

@হালে_আকাই: আমরা সেই ভবনের সামনে জড়ো হয়েছি, ইস্তাম্বুল ত্যাগে বাধ্য করার আগে আর্মেনীয়দের যেখানে রাখা হয়েছিল #আর্মেনিয়ানজেনোসাইড http://pic.twitter.com/zFwxKWac
@সিগডেমেটার: আজকে যা তুর্কি এবং ইসলামিক শিল্প জাদুঘর, আর্মেনীয় গণহত্যার সময় তা কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হত #আর্মেনিয়ানজেনোসাইড
তুরস্কের মানবাধিকার সংস্থা (আইএইচডি), আর্মেনিয়ায় এবং লেবাননে অবস্থিত আর্মেনিয়ার দুই চার্চ প্রধানকে উদ্দেশ্য এক বিবৃতিতেও প্রদান করছে। ব্রিটিশ আর্মেনীয় গণহত্যা বিষয়ক ইতিহাসবিদ আরা সারাফিয়ানও এই স্মরণ সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।
@cigdemmater: IHD aciklamasindan sonra tarihci Ara Sarafian,Ermenice bir konusma yapiyor:soykirimin 97.yilini anmak icin bir aradayiz http://pic.twitter.com/ZkEmATyJ
ওই দিন পরে ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কোয়ারে এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়, যদিও তুর্কি জাতীয়তাবাদীদের একই ধরনের এক পাল্টা প্রদর্শনীর সংবাদও পাওয়া গেছে। এইটুকু ছাড়া এই অনুষ্ঠান নীরবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে বেশ কিছু ফেসবুক এবং টুইটার ব্যবহারকারী এই বার্ষিকী উদযাপনের ধারণ করা ভিডিও প্রদর্শন করেছে, এজ আনজিপড এবং অন্যরা উল্লেখ করছে:
তুরস্কের বিখ্যাত পিয়ানোবাদক/সঙ্গীতজ্ঞ আইশে টুটুনচু ২৪ এপ্রিল দিবসটির স্মরণে একটি আর্মেনীয় লোকগীতির (সূর্যোদয়ের সময়-সংকলক আরুসায়াক শাহাকিনি) আয়োজন করে […] এবং তুরস্কের ৪২ জন গায়ক গায়িকা তা গেয়ে শোনায়।
@গিজেমইয়ারবিল:একটি আর্মেনীয় লোকসঙ্গীতঃ আরাভাডান টেমিন; সূর্যোদয়ের সময়: ২৪ এপ্রিলের স্মরণে। #২৪ এপ্রিল http://vimeo.com/40639618
Bir anonim Ermeni gelin türküsünü (Aravodun Temin: Sabaha Karşı, derleyen: Arusyak Sahakyan) Ayşe Tütüncü düzenledi, 42 müzisyen biraraya gelip çaldı. 24 Nisan kurbanları anısına…
এই আয়োজনে আপ্লুত হয়ে, এক আর্মেনীয় একটি মন্তব্য রেখে গেছে:
নোরা আরমানি: আনাতোলিয়ার কাইজেরির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজনের নাতনী হিসেবে, আমি এই ঘটনায় এতটাই আপ্লুত যে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি কেবল যা বলতে পারি তা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি এবং শিল্প পুনরায় আমাদের একত্রিত করেছে (কোক তেসেক্কুর, এরাদিম, আরকাদাসলারিম)। আমি নিজে তা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। আরো একবার আপনাদেরকে ধন্যবাদ… …
তুর্কি ভাষা থেকে ইংরেজী ভাষায় অনুবাদের জন্য উরতুগুরল ইলমাজ (@ এর্ট_ইলমজ) এবং ভিমিওর ভিডিও ব্যবহার করার অনুমতি প্রদানের জন্য উমিত কিভানাচকে ধন্যবাদ।