ইরানের বিরোধী নেতা মীর হুসেন মৌসাভি এবং মেহদি কারোবি মিশর এবং তিউনিশিয়ার বিপ্লবের সমর্থনে ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে (২৫ বাহমান) এক মিছিল করার আবেদন করেছে। তাদের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে:
এই বিষয়টি ইরান সরকারের জন্য এক সমস্যার সৃষ্টি করেছে যে নিজেই এক বছর আগে এক গণ বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল। এই সংবাদটি বেশ কয়েকজন সাইবার একটিভিস্টকে উদ্দীপ্ত করেছে, যারা ইন্টারনেটে তাদের “সবুজের ছোঁয়া” (গ্রীন মুভমেন্ট বা সবুজ আন্দোলন ইরানের সরকার বিরোধী আন্দোলনের নাম) যুক্ত করেছে। তাদের তাদের চিন্তা ভাবনা প্রদর্শন করছে এবং আশা করছে যে ইরানে বিক্ষোভ আন্দোলন এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ২৫ বাহমান (১৪ ফেব্রুয়ারি) নামে ফেসবুকে একটি পাতা খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৮,০০০ জন ব্যক্তি এই পাতায় যোগ দিয়েছে। পাতাটিতে বিক্ষোভকারীদের জন্য তথ্য রয়েছে, যেগুলো ছাপানো এবং বিতরণের জন্য রাখা হয়েছে। এবং সেখানে বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে, যার মধ্যে মিশরীয় প্রতিবাদ আন্দোলনের উপর করা সংবাদ সমূহ রয়েছে।
নীচের পোস্টারটিতে ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি তারিখে তেহরানের বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেবার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়াও এই পোস্টারে ইরানের সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ইরানি নাগরিকদের নিরস্ত্র সমাবেশের অধিকার রয়েছে।
বেশ কিছু লোকজন আগামী বিক্ষোভের জন্য মন্তব্য লিখেছে এবং তাদের মতামত প্রদর্শন করছে, যেমন ইরান সরকারের অর্থনৈতিক দূর্নীতির উপর স্লোগান তৈরি করা, তিউনিশিয়া এবং মিশরের বিক্ষোভের সাথে যার এর মিল রয়েছে।
সাইবার একটিভিস্টরা অন্য সব বড় বড় শহর, যেমন সিরাজ, ইস্পাহান এবং তাব্রিজের স্থানীয় পাতায় সেখানকার জন্য কর্মসূচি নির্ধারণ করছে।
খোদানেভিশ সংবাদ প্রদান করেছে যে, প্রতিবাদকারীরা ব্যাঙ্ক নোটে লিখতে শুরু করেছে “২৫ বাহমান তারিখটি আমাদের ক্ষোভের দিবস।“
শোখেনশাবজ লিখেছে [ফারসী ভাষায়]:
১৪ ফ্রেব্রুয়ারির তিন দিন আগে (২৫ বাহমান) যে দিনটি বিপ্লবের বার্ষিকী, সেদিন আমরা ছাদে উঠব এবং স্লোগান দিব “স্বৈরাচার নিপাত যাক”। কেবল নির্দিষ্ট আগের রাতে নয়, এর কয়েকদিন আগে থেকে আমরা জনগণকে এই বিষয়ে জানাতে শুরু করব।