দুই ব্লগার এবং মানবাধিকার কমিটির (কমিটি ফর হিউম্যান রাইট বা চারর) সদস্য মেহেরদাদ রাহিমি ও কোহিইয়ার গোদরেজি (উপরের ছবিতে বামে: গোদরাজি, এবং ডানে: রাহিমি)। তাদের নামে সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগ আনা হয় এবং মোহারেব (সৃষ্টিকর্তার শত্রু) হিসেবে তাদের প্রতি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই সপ্তাহে তেহরানে দুজন ব্যক্তির প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়। উক্ত দুই ব্যক্তির প্রতি আনা অভিযোগের সাথে ব্লগারদ্বয়ের উপর করা অভিযোগের মিল রয়েছে। সীমান্তবিহীন সংবাদিকের দল (রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স) লিখেছে, মানবাধিকার কমিটিতে যারা রয়েছেন কয়েক সপ্তাহ আগে বিভিন্ন সময়ে তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিসা কাকেইকে ২ জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়; শিভা নজর আহারিকে ২৪ ডিসেম্বরে গ্রেফতার করা হয়; সাইদ কানাকি ও সাইদ জালালিকে ১ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়। তাদের সকলকে ইরানের কুথ্যাত ইভিন কারাগারের ২০৯ নম্বর বিভাগে তাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, যাতে তারা কমিটির অন্য ব্যক্তিদের নাম বলে দেয় এবং এই প্রতিষ্ঠানটিকে বাতিল বলে ঘোষণা করে।
চারর লিখেছে [ফার্সী ভাষায়] মেহেরদাদ রাহিমির উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে যেন সে “টেলিভিশনে এক স্বীকারোক্তি প্রদান করে”।
এই প্রতিষ্ঠানটি এর সাথে যুক্ত করেছে:
কোহিইয়ার গোদরেজি একজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। জানা গেছে নির্জন এক কক্ষ থেকে তিনব্যক্তি থাকতে পারে এমন এক কক্ষে তাকে স্থানান্তর করা হয়। এটি ইভিন জেলের ২০৯ নম্বর বিভাগের একটি কক্ষ।
এটা পরিষ্কার নয়, তাদের গ্রেফতারের পেছনে ব্লগিং কতটুকু ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু উভয়ে মানবাধিকার বিষয় লেখার জন্য ব্লগ ব্যবহার করতেন।
মেহেরদাদ রাহিমি তার ব্লগে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়, যেমন শ্রমের অধিকার নিয়ে কথা বলতেন। একবার তিনি লিখেছিলেন:
অনেকে গ্রেফতার হয়ে মাসের পর মাস বন্দি থাকে, তাদের কোন আইনজীবীর সাথে কথা বলার কোন অধিকার থাকে না।
কোহিইয়ার গোদরেজি একবার তার এক লম্বা পোস্টে মানবাধিকার কমিটির অন্য সদস্যদের মুক্ত করে দেবার আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের সরকার বেশ কিছূ ব্লগারকে জেলে দিয়েছে, যেমন হোসেইন দেরেকশান। ওমিদ রেজা মির সায়াফি ছিলেন ইরানের ২৯ বছর বয়স্ক এক ব্লগার ও সাংবাদিক। ২৮ মার্চ, ২০০৯-এ তিনি ইরানের ইভিন জেলে মারা যান।