রাফসানজানি আহমাদিনেজাদের প্রতিপক্ষ মীর হোসেন মুসাভির শক্ত সমর্থক। নির্বাচনের পরে প্রথমবারের মতো তিনি শুক্রবারের প্রার্থনা পরিচালনা করেন।
প্রার্থনায় ইরানের বিরোধী দলের লোকেরা অংশগ্রহণ করেন, কেউ কেউ সবুজ পরে, যে রঙ মুসাভির প্রচারনার রঙ হিসাবে পরিচিত হয়েছে।
“রাশিয়ার মৃত্যু চাই”
প্রথাগতভাবে শুক্রবারের প্রার্থনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয় ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’ আর ‘ইজরায়েলের মৃত্যু চাই’ বলতে কিন্তু এইদিন তারা চিৎকার করেছে ‘রাশিয়ার মৃত্যু চাই’ বলে, এই কারনে যে বিরোধী দল দাবী করেছে যে রাশিয়া ইরান সরকারের পেটোয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়।
একটু দূর থেকে ধারণ করা নীচের ভিডিওতে, আপনি একটা পুরুষের আওয়াজ শুনতে পাবেন যে বাইরের সমাবেশে লাউডস্পিকারে চিৎকার করছে ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’ বা ‘ভন্ডদের মৃত্যু চাই’ আর ‘ইংল্যান্ডের মৃত্যু চাই’ আর জনগণ এর সাড়াতে প্রত্যেকবার চিৎকার করছে ‘রাশিয়ার মৃত্যু চাই’।
সামিনেজাদ এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন, আর বলেছেন যে আগের প্রথা আজকে ভাঙ্গা হয়েছে।
ইরানিমা টুইট করেছেন যে বিক্ষোভকারীরা রাশিয়ার একটা পতাকাও পুড়িয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী সবুজ পোশাক পরা বিক্ষোভকারীদের প্রার্থনার সময়ে ছত্রভঙ্গ করেন কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে। প্রার্থনার পরে বিক্ষোভকারীরা ‘আল্লাহু আকবর’ (আল্লাহ মহান) ধ্বণি তোলেন আর ‘একনায়কতন্ত্র নিপাত যাক’ স্লোগান দেন।
আজকে তেহরানের বিক্ষোভের সাতটা ভিডিও ক্লিপের সমষ্টি এখানে আছে:
টকমিষ্টি বিজয়
ইরানিমা টুইট করেছেন যে আজকে তেহরানে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।
হাদি নিলি টুইট করেছেন (@অনলিমেহদির বার্তার উত্তরে):
এবিসির সংবাদের সংবাদদাতা জিম স্কিওত্তো টুইট করেছেন যে রাফসানজানির বক্তৃতা টেলিভিশনে দেখানো হয়নি।
জমহুর বলেছেন যে রাফসানজানির বক্তৃতা আশার বাইরে ছিল আর বিক্ষোভকারীদেরকে যে ভাবে দমন করা হয় তার সমালোচনা করা হয়েছে…”আজকে ইরানের সবুজ প্রচারণার আর একটা বিজয় ছিল,” তিনি বলেছেন।
মোল্লাহ হাসানি লিখেছেন যে রাফসানজানি যা আশা করা হয়েছিল তার থেকে একটু ভালো বলেছেন।“ তিনি সুপ্রীম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রশংসা করেননি আর সবুজ প্রচারণার ব্যাপারে খারাপ কিছু বলেননি।“