
ক্যানভা প্রোর মাধ্যমে পাওয়া ছবি।
সারাবিশ্বেই সক্রিয় কর্মীরা আওয়াজ তুলে পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা অর্জন করতে শুরু করলেই তাদের চেষ্টা প্রায়ই সহিংসতার হুমকির সম্মুখীন হয় — এবং জলবায়ু সঙ্কটের সক্রিয় কর্মীরা হয় সবার আগে। সম্প্রতি তেলের মজুদ আবিষ্কৃত হওয়া গায়ানার সক্রিয় কর্মীরা বর্তমানে এই ধরনের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে যা গত পাঁচ মাসে তীব্রতর হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে খ্নিজ আহরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলার নারীদের লক্ষ্যবস্তু বলে মনে হচ্ছে, যারা জন্যে তারা মৃত্যুর হুমকি ও অন্যান্য ধরনের ভীতিপ্রদর্শনের শিকার হয়েছে।
স্টাব্রোয়েক সংবাদ অনুসারে জুলাইয়ের শেষের দিকে হুমকির মুখে, গায়ানি নাগরিকরা সক্রিয় কর্মীদের সমর্থনে একটি চিঠি জারি করে। নারী সংস্থাগুলির পাশাপাশি অঞ্চলব্যাপী ক্যারিবীয় প্রবাসী সদস্য ও নারীরা ৩১ জুলাই দ্বিতীয় একটি বিবৃতি জারি করে যাকে ৩৫০.অর্গ এবং ক্লাইমাইনফো ইনস্টিটিউটের মতো জলবায়ু ন্যায়বিচার আন্দোলন সমর্থন করেছে৷
Statement in response to death threats & other attempts to silence activists in Guyana who have spoken out against mining, fossil fuel extraction & sexual violence. Red Thread is a women’s development organization that has been specifically targeted.https://t.co/3J6KREMIPl
— sablikatriumph (@sablikatriumph) August 12, 2023
খ্নিজ আহরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা গায়ানার সক্রিয় কর্মীদের হত্যার হুমকি ও নীরব করার অন্যান্য প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতি। নারী উন্নয়ন সংস্থা রেড থ্রেডকে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে৷
ক্যারিবীয় অঞ্চলে যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের প্রচারাভিযানে অ্যাকশনের আহ্বানে প্রয়াত গায়ানি সক্রিয় কর্মী আন্দাইয়ে ব্যবহৃত ‘একজনকে আঘাত মানে সবাইকে আঘাত’ শীর্ষক বিবৃতির শিরোনামটি তার প্রতি একটি সম্মান:
The life and legacy of Andaiye may be unknown to many of you. Andaiye (1942-2019) was a radical Black feminist activist and critical thinker from Guyana who co-founded Red Thread and worked i alongside Walter Rodney. #CiteBlackWomenSunday https://t.co/goujLBbXuS pic.twitter.com/aKF3Dsg82F
— Cite Black Women. (@citeblackwomen) August 9, 2020
হয়তো আপনাদের অনেকেরই আন্দাইয়ের জীবন ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে অজানা। ওয়াল্টার রডনির সাথে কাজ করা রেড থ্রেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আন্দাইয়ে (১৯৪২-২০১৯) ছিলেন গায়ানার একজন কট্টর কৃষ্ণাঙ্গ নারীবাদী কর্মী ও সমালোচনামূলক চিন্তাবিদ। #কৃষ্ণাঙ্গনারীদেররবিবারদেখান
ক্যারিবীয় অঞ্চল জুড়ে নারীদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি “এই অঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলা যৌন ও অন্যান্য আহরণমূলক সহিংসতার বিরুদ্ধে অভিযোগ বা প্রতিবাদকারীদের” নীরব করার এই ধরনের প্রচেষ্টার নিন্দা করে:
নারী, আদিবাসী ও পরিবেশ রক্ষায় লাল থ্রেডের নারীদের সংগ্রাম শুধু একটি জাতীয় নয়, পুরো ক্যারিবীয় সংগ্রাম। যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা এই অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক। জাতিসংঘ জানিয়েছে জ্যামাইকাতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নারীহত্যার হার প্রতি লক্ষে ১১ জন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এটা প্রতি লক্ষে ৬.৬-এ দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা অঞ্চলের যেখানেই থাকি না কেন আমাদের মঙ্গলের জন্যেই সবাইকে যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে দাঁড়াতে হবে।
জরুরি বিবৃতিটি আরো বলেছে এটাও সত্য যে “পুরো ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্যপট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে”:
প্রতিদিন আমাদের সৈকতগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জমি উজাড় হচ্ছে। আমাদের জনগণ তাদের বাড়িঘর থেকে উৎখাত হচ্ছে। আমাদের পানি ও বাতাস দূষিত। আমাদের মাছ মারা যাচ্ছে এবং আমাদের জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পৃথিবী জ্বলছে বলে আমরা জ্যামাইকা, বার্বাডোস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, অনেক সুন্দর ক্যারিবীয় দ্বীপ সুরিনাম, বেলিজ বা গায়ানা যেখানেই থাকি না কেন এটা স্পষ্ট আমাদের সবাইকে খনিজ ও জীবাশ্ম জ্বালানি আহরণ, বন উজাড়, দূষণ এবং দখলের মাধ্যমে আমাদের পরিবেশের ধ্বংস বন্ধে সংগ্রামের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতি ও ইমেল হুমকির প্রতিবেদন সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গায়ানা ক্রনিকল পত্রিকার জন্যে ১২ আগস্টের একটি কলামে ফ্রেডি কিসুন জিজ্ঞাসা করেছেন, “রেড থ্রেড কী কাজ করে, তারা জনগণের জন্যে ক্ষতিকর বিতর্কিত প্রকৃতির কোনো সংগঠন?”
রেড থ্রেড সামাজিক গণমাধ্যম ও তার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অগ্রগতি ভাগাভাগি করলেও গোষ্ঠীটি সম্পর্কে কিছু মন্তব্য রাজনৈতিক ও শ্রেণীগত উভয় ধরনের অর্থপূর্ণ। সমালোচকরা রেড থ্রেডকে সরকারবিরোধী ও অভিজাত হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। রেড থ্রেড বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তালিকাবদ্ধ করে প্রতিক্রিয়ায় তারা সরকারে থাকাকালে বর্তমান বিরোধীদলীয়দের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল বলে জানিয়েছে যে এদের “রাজনৈতিক এজেন্ডা”য় “জাতি ও রাজনৈতিক দল জুড়ে, তৃণমূল নারীদের থেকে শুরু করে গায়ানিদের সাথে একসাথে কাজ করা …” রয়েছে।
সকল বিবেচনায় হুমকিগুলি শুধু পরিবেশের বিরুদ্ধে আহরণ কেন্দ্রিক সহিংসতার চারপাশে আবর্তিত হয়নি, বরং নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও সুশীল সমাজকে নীরব করার সাধারণ প্রচেষ্টার সাথেও জড়িত বলে মনে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গায়ানা-ভিত্তিক একটি গণমাধ্যম সূত্র গ্লোবাল ভয়েসেসকে বলেছে সরকারের বিরুদ্ধে ভিন্নমত প্রকাশকারী ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলি বিভিন্নভাবে শিকার হচ্ছে – তাদের মতে এই কৌশলটি পূর্ববর্তী প্রশাসনও ব্যবহার করেছিল। তবুও সূত্রটি ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের নতুন তেল ও গ্যাস অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার প্রেক্ষিতে এই ধরনের নির্যাতন আরো তীব্রতা পেলেও রেড থ্রেড এক্সনমোবিলের সাথে দেশের তেল চুক্তির কিছু মূল ধারা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের বাইরে মাসিক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত করছে।
এই গোষ্ঠীটি ১৬ বছরের আদিবাসী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত স্থানীয় সরকার ও আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রী নাইজেল ধরমলালের পদত্যাগ আহ্বানে খুব সোচ্চার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে থাকা জীবনযাত্রার ব্যয়ের মতো সাধারণ জনগণকে প্রভাবিত করা রেড থ্রেডের কথা বলা সমস্যার পাশপাশি এসব সমস্যাই রয়েছে। “রেড থ্রেডের সমালোচকরা এই নারীদের জুতোয় একটি পাও রাখতে পারেনি,” আমাদের সূত্র আমাদের জানিয়েছে। “এই নারীরা সরেজমিন প্রতিদিন জনস্বার্থে পরিচালিত হয়ে কাজ […] করে গেছে।”
রেড থ্রেডের বিবৃতি জোর দিয়েছে:
আমরা আমাদের সরকারগুলিকে মনে করিয়ে দিচ্ছি আপনারা যাদের যৌন সহিংসতা ও আমাদের ভূমিতে আহরণ সংশ্লিষ্ট সহিংসতার বিরুদ্ধে নির্ভীক প্রতিরক্ষা পুরো অঞ্চল জুড়ে আমাদের সবার জন্যে একটি আদর্শ তাদের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন আমরা তা দেখছি।
রেড থ্রেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কারেন ডি সুজা ইঙ্গিত দিয়েছেন হুমকির প্রতি পুলিশের প্রতিক্রিয়া তাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। আমাদের সূত্র বিশেষত সাইবার ক্রাইমের সাথে সম্পর্কিত পুলিশের প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হয়নি, যেখানে প্রতিবেদন তৈরি হলেও খুব কম ক্ষেত্রেই সঠিক তদন্ত করা হয়।
অন্তর্বর্তী সময়ে ক্যারিবীয় নারী ও নারী সংগঠনগুলি রেড থ্রেডের পিছনে সমাবেশ করছে, সমর্থন প্রদর্শনে এর বিবৃতিতে সহ-স্বাক্ষর করছে: “রেড থ্রেডের নারীদের থেকে হাত গুটাও। একজনকে আঘাত মানে সবাইকে আঘাত!”