যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ: কথোপকথনে আলি ঘারাভি #ইস্তানবুল১০

#ইস্তানবুল১০ এর একটি ছবি। ছবির কৃতজ্ঞতা: উইকিমিডিয়া সাধারণের মাধ্যমে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল [সিসি বাই-এসএ ৪.০]।

সম্পাদকের দ্রষ্টব্য: এই সাক্ষাৎকারটি গ্লোবাল ভয়েসেস এবং আইএফএক্স এর মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি এখানে পড়ুন।

আলি ঘারাভি বিভিন্ন মানবাধিকার সুরক্ষক, তাদের সংগঠন এবং সম্প্রদায়ের সাথে কর্মরত একজন কৌশলগত এবং সর্বজনীন সুরক্ষা পরামর্শক। তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তুরস্কের প্রাক্তন পরিচালক ইদিয়েল এসারসহ তুরস্কের বুয়ুকাদা দ্বীপে অনুষ্ঠিত একটি তথ্য ব্যবস্থাপনা ও কল্যাণ কর্মশালা থেকে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার হওয়া দশজনের একজন। তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ বাতিল এবং তাদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক প্রচারণা প্রচেষ্টায় #ইস্তানবুল১০ হ্যাশট্যাগটি ব্যবহৃত হয়েছিল।

আলি আগে থেকেই স্থগিত হলেও প্রত্যাশিত একটি  রায়ের শুনানির প্রাক্কালে তুরস্কে তার গ্রেপ্তার ও চার মাস কারাবরণের অভিজ্ঞতা তার জীবনকে কতোটা প্রভাবিত এবং তার কাজ সম্পর্কে কতোটা অবহিত করেছে সেই কথা ২০২০ সালের মার্চ মাসে আইএফএক্সের আঞ্চলিক সম্পাদক ক্যাথাল শেরিনকে বলেছেন।

সিএস: আসন্ন শুনানি সম্পর্কে আপনি কেমন অনুভব করছেন?

আমি প্রত্যাশা এবং উদ্বেগের সংমিশ্রণ অনুভব করি। প্রায় তিন বছর ধরে এটা আবেগের রোলার কোস্টার হয়ে গেছে এবং শেষ শুনানিতে এসে রায় পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে আশা করা যায়। বাস্তবসম্মত ফলাফল বিবেচনায় আমরা আমাদের পরিবার, আইনজীবী এবং সুইডেনে কর্তৃপক্ষের সাথে দু-তিনটি সম্ভাবনার কথা বলেছি। আমি যে কোন কিছুর জন্যেই প্রস্তুত আছি আর তাই আমি আমার সমস্ত ডিম এক ঝুড়িতে রাখছি না। তবে ফলাফলটি খালাস হওয়ার ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।

আপনি কী কারণে খালাস পাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী?

আমি আসলে শুধু নামমাত্র আশাবাদী কারণ এই জিনিসগুলি হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। শেষের শুনানিটির সময় প্রসিকিউটর বলেছিলেন যে আমাদের দশজন এবং ট্যানার কিলিচ এর মধ্যে প্রমাণের অভাবে তিনি  হয়ত পাঁচ জনকে খালাস দেবেন, তবে বাকিদের তিনি দোষী সাব্যস্ত করতে চাইবেন। আমি খালাসের দলে ছিলাম। এই ‘বিভক্ত’ রায় না হওয়ার ব্যাপারে আমরা সবাই বেশ নিশ্চিত।

আপনি কেন ভাবেন যে আপনারা দু’টি দলে বিভক্ত?

এটা বলা সত্যিই কঠিন। খালাসদলের গ্রুপে – পিটার স্টুয়াদনার এবং আমি – আমরা দুজন তুর্কি নই। আর তাই সম্ভবত তারা এসব থেকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণটি সরাতে চাইবেন। তবে এটা শুধু আমার অনুমান মাত্র। এটা আসলে বেশ একতরফা। অনেকটা এ কারণে আমি মনে করি তার কারণ তাদের কোন প্রমাণ নেই। এটা এমনকি বিষয়টিকে ছোট করে আনার উপায়ও হতে পারে: আপাতত এখন তাদের অর্ধেককে খালাস করা যাক এবং তারপরে বাকি গুলিকে এক এক করে মুক্ত করে দেওয়া হবে।

আপনার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের উপর আপনার গ্রেপ্তার, আটক এবং বিচারের প্রভাব কী রকম ছিল?

এটা আমার জন্যে সত্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কারণ আমরা সব সময় সংকটের কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তির প্রতি মনোনিবেশ করে থাকি। তবে আমি অভিজ্ঞতাটিকে একটা গুচ্ছ বোমার সাথে তুলনা করবো, যেখানে প্রথম বিস্ফোরণটা হোল আমাদের গ্রেপ্তার এবং পরবর্তী বিস্ফোরণ গুলি আমাদের পরিবার, আমাদের বন্ধুবান্ধব এবং আমাদের কাজের মধ্যে ঘটার পর লোকজন জেনেছে যে কী ঘটেছে। এটা শুধু কারাগারে থাকা দশ বা ১১ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় – এটা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ে, সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে সংক্রমিত করে। এটার কারণে আমার সঙ্গী আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো দারুণ আঘাত পেয়েছিল। এটা অনেক লোকের মতো আমার কাছেও সর্বব্যাপ্ত ছিল।

এটা একজনের জীবনের পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয়। আঘাতটা সহ্য করার পর আপনি ভিন্ন এক ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন: চার মাস তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে এটি পদচিহ্ন রেখে এসেছেন; এবং তারপর আপনার সঙ্গী জানতে পারেনি তার প্রিয়জন দুই মাস ধরে কোথায় আছে, আদৌ বেঁচে আছে কি নেই।

আমার স্ত্রী লারেসা ডিকি, পিটারের সঙ্গিনী ম্যাগডালেনা ফ্রয়ডানশুস, এবং আমাদের সহকর্মী ড্যান ও'ক্লনেকে যার যার জায়গা থেকে সাড়া দেওয়ার একটি সংস্থা তৈরি করতে হয়েছে যা আইএফএক্সের মতো  অন্যান্য সব প্রচারণা গোষ্ঠীগুলির কর্মকাণ্ডকে সমন্বিত ও অবহিত করতে সহায়তা করেছে। আমরা এটাকে ‘পারিবারিক একক’ বলছি এবং এর কর্মকাণ্ড গুলি পিটার, ড্যান এবং আমি ডিজিটাল পদচিহ্ন, শারীরিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মনস্তাত্ত্বিক মঙ্গল সহ একটি সঙ্কটের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সক্রিয়ভাবে সচেতন থাকার মাধ্যমে সামগ্রিক সুরক্ষার যে কাজটি করে থাকি তার মাধ্যমে জানানো হয়েছিল।

‘পারিবারিক একক’ কৌশলগত পরিকল্পনা করে কারাবন্দিদের পরিবারের যত্ন নেয়া এবং প্রতিটি পরিবারের কাছে তাদের প্রিয়জনের সম্পর্কে সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য যাতে  থাকতে এমন করে নিয়মিত যোগাযোগ সরবরাহ করার মতো লক্ষ্য গুলি নির্ধারণ করেছে। তারা আমাদের আইনজীবীদের সাথে প্রোটোকলও তৈরি করেছে যার মধ্যে আমাদের জন্যে জিনিসগুলি তার যেন কিনতে পারে এজন্যে আইনজীবীদের কাছে আমাদের জুতো এবং অন্তর্বাসের মাপ দেওয়ার মতো দৈনন্দিন সাধারণ কিছু কাজও ছিল। এগুলি প্রাথমিক হলেও  এগুলির মাধ্যমেই আইনজীবীরা তাদের আসল কাজটি সহজ করে তোলে। আইনজীবীরা আমাদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে; আমার নিজের আইনজীবী এখন আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কারণ তিনি আমার আইনজীবী হয়েও একাধারে আমার ব্যক্তিগত ক্রেতা, বিশ্বাসভাজন, পরামর্শক এবং উপশমকারী।

আলি ঘারাভি। ছবির কৃতজ্ঞতা: অ্যানি গেম

আপনার পক্ষ থেকে চলা প্রচারণার জন্যে আপনি আটক হওয়ার সময় আপনি কতটা সচেতন ছিলেন? এটি আপনার মনোবলের উপর কী প্রভাব ফেলেছিল?

মনোবল ধরে রাখাটা আমার পক্ষে বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাকে চারটা বিভিন্ন স্থাপনায় আটক রাখা হয়েছিল। এক পর্যায়ে তারা আমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে সন্ত্রাস বিরোধী সদর দপ্তরে নিয়ে যায় – যেটা শুনতে যেমন তেমনই একটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল।  তারপর সেটা শুনে আমার পরিবার। ভিড়ের কারণে তারা আমাকে দুজন আইএসআইএস সদস্যসহ আরো চারজনের সাথে একটা দুজনের কক্ষে রাখে।

এটা শোনার পর আপনার কাছে আসলেই এটাকে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বলে মনে হলেও বাস্তবে পরিবেশটা ছিল খুব সহায়ক। আইসিসের কথিত সদস্য দুজনই আসলে দাড়ি বড় হয়ে যাওয়া দুটি ধার্মিক ছেলে। আমি এই ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পা ফেলার আগেই তারা সবাই ‘বিশাল-গুপ্তচরদের’ আসার কথা শুনেছিল। তাই আমি জার্মানিতে থাকতাম জেনে উনিশ বছর বয়সী কথিত এক আইএসআইএস সদস্য আমার সাথে জার্মান ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। সে বলেছিল: “আপনি আমাদের বড়, আমাদের চাচার মতো, এটা আপনার বাড়ি, আপনার যা যা দরকার আমরাই সব এনে দেবো।” বাইরে থেকে বেশ হতাশাজনক মনে হলেও মাঝে মাঝে এমন মুহুর্তগুলি ছিল আশ্চর্য সংহতির।

আমাদের কারাবাসের বেশিরভাগ কেটেছিল উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত কারাগারে। তারা অতি উচ্চমানের গুপ্তচর মনে করে আমাদেরকে অতিরিক্ত সুরক্ষা বিশিষ্ট নয় নম্বর কারাগারে রেখেছিল। আমি সপ্তাহে মাত্র এক ঘন্টা বাইরের লোক – সাধারণত আমার আইনজীবী বা কখনো কোন কূটনীতিক – দেখতে পেতাম।

বাইরেটা কেমন আপনি ভুলতে বসেছেন এবং ধরে নিয়েছেন বাইরেটাও আপনাকে মনে রাখছে না। তবে প্রতি সপ্তাহে আমার স্ত্রী আমাদের জন্যে যা যা করা হয়েছিল তার সমস্ত বিবরণ আমার আইনজীবীর কাছে ইমেল করতো, যাতে আমার আইনজীবী এটাকে একটা আইনী দলিলের মতো করে (যেহেতু আমার শুধু এটা দেখার অনুমতি ছিল) ছাপিয়ে নিতে পারেন।

অতীতে আমি চিঠি লেখার প্রচারণা চালালেও কারাগারে থাকা লোকদের উপর এগুলির তেমন কোন প্রভাব সম্পর্কে আমি কখনোই নিশ্চিত ছিলাম না, তবে ভেতরে থাকায় আমি বলতে পারি এই মুহূর্ত গুলি জীবন রক্ষা করতে পারে। কখনো কখনো আমার আইনজীবী টুইটারে আমার নাম খুঁজে আমার সম্পর্কে এই সপ্তাহে পোস্ট করা সব টুইট ছাপিয়ে আনতেন; সেখানে #আলির_জন্যে_হাইকু, ব্রাসেলসে বিক্ষোভ এবং দূতাবাসগুলির সামনে অবস্থান ধর্মঘটের মতো টুইটার প্রচারণাও থাকতো।

এই সব মুহুর্তগুলি আমাকে মনে করিয়ে দিতো যে বাইরের লোকেরা আমাকে নিয়ে ভাবছে এবং চেষ্টা করছে। যখন আমি বলি যে আমি অতল গহ্বরের গভীরে নিমজ্জিত থাকার সময় সেই জিনিসগুলিই আমাকে রক্ষা করেছিল, আমি বাড়িয়ে বলছি না।

অভিজ্ঞতাটি আপনার কাজকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে?

আমি যে ধরনের কাজ করে এসেছি তা আসলে এই ধরনের পরিস্থিতির জন্যেই, যেখানে আপনাকে শুধু তাদের যন্ত্রপাতি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নয় পুরো ব্যক্তিটির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কারাগারে থাকার কারণে আমি এখন সেটা একটা আণবিক স্তর পর্যন্ত বুঝতে পারি। আমার জন্যে পুরো অভিজ্ঞতাটাই মানুষকে তাদের কাজের যে দিক বিবেচনা করেই আমরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করে থাকি না কেন সেসব নির্বিশেষে – যা তারা, তারা কোথায় আছে – এটা বোঝার একটা বড় সুযোগ করে দিয়েছে।

অভিজ্ঞতাটা যত্ন ও সঙ্কট মোকাবেলাগুলির সংস্থান এবং গবেষণা: শুধু কারাগারে থাকা ব্যক্তি নয়, তার পরিবার, তার চারপাশের সম্প্রদায়, তার সহকর্মীদেরও কীভাবে যত্ন নেবেন সেসব কতটা অপর্যাপ্ত – তা উন্মোচিত করেছিল।

একবার সংকটটা ‘শেষ’ হয়ে গেলেই ধরে নেওয়া হয় যে জীবন আগের মতোই চলবে, বাস্তবে ক্ষতিপূরণের জন্যে যা যা করা দরকার তখনই করতে হয়। প্রায়শঃই আইনী ব্যয় এবং সে সময়্টা কাজ করতে না পারার কারণে একটি বিশাল আর্থিক বোঝাও থাকে। আমার মুক্তির পরে আমি বার্লিনে ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার মতো একটি অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশে চলে এসেছিলাম। এই অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিস্থিতিটি আমার এই আঘাত ও পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া আমাকে সেই দশটি দিনকে বুঝতে সাহায্য করেছিল যে এটা নিত্য-নৈমিত্তিক কোন ব্যাপার নয়। আমার জন্যে আমাকে যেন সঙ্গে সঙ্গেই কাজে ফিরে যেতে না হয় তার জন্যে গণ-তহবিলসহ শারীরিক ও মানসিক থেরাপিও প্রস্তুত ছিল।

আগে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে জেনে থাকলেও এখন এটা আমি দৃশ্যত জানি – কারণ আপনি শুধু মুক্তি পেলেই ট্রমাটি দূরে চলে যায় না। আবার আগের মতো কার্যকর হতে কয়েক বছর সময় লাগে। আপনাকে উদ্ধার করা হলেই যে আপনি আগে যে অবস্থায় ছিলেন সেই অবস্থায় ফিরে যাবেন – লোকজনের এই ধারণাটা আসলে ঠিক নয়।

আপনি কি কখনো তুরস্কে ফিরে যাবেন?

আমার সেখানে নিরাপদ বোধ করা খুব কঠিন হলেও শুধু ‘ঘোড়ায় চড়তে’ ইচ্ছে হলে আমি যাব। আমাদের প্রত্যাশিত পথে রায়টি না এগুলে আমি সেখানে ফিরে গেলেই আমাকে কারাগারে আটকানো হবে, সেরকম হলে আমি অবশ্যই ফিরে যাব না। আমি তুরস্ক এবং সেখানকার মানুষ ও পরিবেশকে ভালবাসি, আর অনুভব করি আমার জীবন ও বন্ধু-বান্ধবদের বড় একটা অংশ এখন আমার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু আমি ভাবি আবার কখন ফিরে গিয়ে আমার সাথে ভেতরে থাকা লোকদের বুকে জড়িয়ে ধরতে আর তাদের সাথে বাকলভা খেতে পারব। সিসেরো যেমন বলেছিলেন: ‘যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ।‘

আটক অবস্থায় আমার দেখা মানবতা হতাশাব্যঞ্জক। আমার সাথে জার্মান ভাষায় কথা সেই ১৯ বছর বয়সী তরুণ এবং অন্যান্যরা কেন আমার সাথে কারাগারে বন্দি ছিল – তারা ছিল আমার অনুপ্রেরণা এবং সমর্থনের এক আশ্চর্যজনক উৎস। কঠিনতম সময়গুলিতে আমি তাদের সাথে রাগ করলেও তারা ছিল আশ্চর্যরকমভাবে অবিচল। আমি শুধু মুখে মুখে শুনেছি যে আইএসআইএস-এর সেই দুজন কথিত সদস্য এখন তাদের পরিবারের কাছে ফিরে গেছে এবং তাদের সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতাপাশে বিশালভাবে ঋণী।

বেশিরভাগ সময় আমি বানোয়াট অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়া অথবা অভিযুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় বছরের পর বছর ধরে (এবং অব্যাহতভাবে) আটক থাকা রাজনৈতিক বন্দিদের পাশাপাশি ছিলাম। আর এখন আমরা শুনছি জেল ব্যবস্থাটিকে প্রভাবিত করা কোভিড -১৯ এর মারাত্মক হুমকি সত্ত্বেও সেসব বন্দি কারারুদ্ধ থাকবে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .