ভাষা এবং সংস্কৃতি হয়ত আলাদা হতে পারে, কিন্তু শিশুদের গানের আনন্দ ধ্বনি চিরায়ত। বৈশ্বিক। একটি গান যার নামঃ “মাররিন গামু“, সেটি তৈরি করা হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য, আর এর উদ্দেশ্য অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী এবং টোরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীর ভাষার বৈচিত্র্যময়তা এবং সৌন্দর্য্য তুলে ধরার জন্য।
এই গানের শিরোনাম “দেহ”,যা মূলত দুটি ভাষায় একই অর্থ দিয়ে তৈরি। নিউ সাউথ ওয়েলস –এর উইরাদজুরি ভাষায় মাররিন মানে হচ্ছে দেহ, আর টোরেস স্ট্রাইট এর ভাষা কালাওয়া কাওয়াও ইয়া ভাষায় গামু মানে দেহ ।
ফাস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ অস্ট্রেলিয়া এবং এবিসি স্প্ল্যাশ নামক দুটি সংগঠনের এক বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার ভিত্তি হচ্ছে এই গান। প্রথমত বিভিন্ন সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো যেন স্থানীয় শিশুদের ইংরেজিতে গানের কথা গুলো শেখানো হয়।
প্রথম চরণ চোখ এবং কান (তিন বার)
দ্বিতীয় চরণ হাত এবং পা (তিন বার)
তৃতীয় চরণ পা এবং বাহু (তিন বার)
চতুর্থ চরণ মাথা এবং পেট (তিন বার)
আর একবার যখন শিশুরা গানটি শিখে ফেলে, তখন সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয় যেন তারা গানের কথাকে নিজেদের মাতৃভাষায় অনুবাদ করে নেয়। সবশেষে, সম্প্রদায় এবং স্কুল একসাথে মিলে প্রতিযোগিতার জন্য একটি ভিডিও তৈরি করে ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য।
মাররিন গামু ওয়েব সাইট এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন যাতে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা সাহায্য পায়। একই সাথে ওয়েব সাইটে যুক্ত রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা সূচি-লিঙ্ক প্রকল্পের সাথে তৈরি করা শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রম লিঙ্ক করা রয়েছে। প্রশ্নের মাধ্যমে আলাপচারিতা এই ধারণা প্রদান করছে যে নিজেদের ভাষার ক্ষেত্রে আলোচনা হচ্ছে নিজেদের ভাষায় আলোচনা সহজতর করার উপায়:
শ্রেণীকক্ষের জন্য করা প্রশ্নঃ
- এই ভিডিও এবং আপনার ভাষায় দেহ বিষয়ক শব্দগুলোর মধ্যে কোন মিল আছে কি ?
- এমন কোন কারণ আছে কি যে আপনার ভাষায় গানটিকে সরাসরি অনুবাদ করা যাবে না?
- এই সমস্যার সমাধানে আপনি কী করতে পারেন?
এই প্রকল্পে অংশগ্রহণে সকল স্কুল যাতে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে তার জন্য এই প্রকল্প আগামী দুই বছর ধরে চলবে। এই প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা এ ভাবে বিষয়টিকে দেখার আশা করছে যে “মাররিন গামু” নামক সঙ্গীতটি হবে অষ্ট্রেলিয়ার শত শত ভাষায় গাওয়া প্রথম গান।
“মারিন গামু” এক বড় পরিসরে নেওয়া কৌশলের সাথে খাপ খায়, এটি স্কুল এবং ছাত্রদের প্রতি মনোযোগ প্রদান করে, আর এটি ভাষার হারিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয় শিক্ষকদের সাথে কাজ করে। অনেক শিক্ষকদের এই সকল ভাষা সম্বন্ধে তেমন গভীর জ্ঞান নেই, কাজে ওয়েব সাইট ক্রস কারিকুলার (বিভিন্ন পাঠ্যসূচির সমন্বয়ে) কর্মসূচি শেয়ার করছে যাতে তা শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার করা যায়। ডিজিটাল মিডিয়ার এক উপাদান এতে যুক্ত করা ও ইন্টারনেট হয়ত ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করবে, যখন তারা দেখবে যে তাদের সৃষ্টিশীলতা ও নিজস্ব ভাষা অনলাইনে প্রতিফলিত হচ্ছে। .

গুয়ারাং ভাষার ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট