
ফিলিপিনো পরিবেশ কর্মীরা মানবাধিকারের ন্যায্যতা এবং রক্ষার জন্য আহ্বান জানায়। ছবি লই মানালানসান-এর ফেসবুক-এর পাতা থেকে নেয়া।
সারা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় এই অঞ্চল জুড়ে সরকারের আরো জবাবদিহিতার দাবিতে বিক্ষোভ করে গত সপ্তাহে ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন করেছে।
সিঙ্গাপুরে মারুয়াহ্ মানবাধিকার দলটি সরকারকে জাতিসংঘের অঙ্গিকারনামা অনুমোদন করার আর্জি জানিয়েছে: জাতিসংঘের দু'টি অঙ্গিকারনামা: অর্থনৈতিক সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক অঙ্গিকারনামা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক অঙ্গিকারনামা। মারুয়াহ'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে:
Singapore still has much to do to build political institutions, judicial systems, and economies that allow ordinary people to live with dignity. The growth of hate speech against religious and racial minorities, the justification of rights violations in the name of combating terrorism, the clawing back of economic and social rights in the name of economic crises or security, and the failure to respect the right to privacy in the digital age, show the relevance of the 2 Covenants and the need to respect them.
সাধারণ জনগণকে মর্যাদার সাথে বাস করতে সুযোগ দেয় এমন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, বিচার ব্যবস্থা, এবং অর্থনীতি নির্মাণ করায় সিঙ্গাপুরের অনেক কিছু করার বাকী আছে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাবাচক বিবৃতির বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে অধিকার লঙ্ঘন করে আত্মপক্ষ সমর্থন, অর্থনৈতিক সংকট বা নিরাপত্তার নামে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়া, এবং এই ডিজিটাল যুগে একান্ততার অধিকারকে মর্যাদা দিতে অপারগ হওয়া এই দুই অঙ্গিকারনামার প্রাসঙ্গিকতা এবং এগুলোকে মান্য করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
মালয়েশিয়াতে সুয়ারাম মানবাধিকার দলটি মিয়ানমার থেকে নৌকা করে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থিদেরকে সাহায্য দিতে অস্বীকার করায় সরকারের নিন্দা জানিয়েছে। বেশীরভাগই মুসলমান রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় না ফলে তাদের অনেকেই প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছে। একটি সংবাদ বিবৃতিতে সুয়ারাম-এর মানবাধিকার দিবস বিষয়ক পরামর্শদাতা কুয়া কিয়া সুং লিখেছেন:
The tragedy of Rohingya refugees being stranded in the Andaman Sea in 2015 was bad enough but the refusal of Malaysia and other regional authorities to take them in was a human rights abomination of major proportions. The numbers stranded aboard rickety ships was estimated to be in the thousands. The Malaysian government did not engage in any search and rescue efforts to provide desperately needed aid at sea nor did they allow migrants to land on offshore islands for such aid.
২০১৫ সালে আন্দামান সাগরে রোহিঙ্গা শরণার্থিদের আটকে পড়ার দুঃখজনক ঘটনাটি যথেষ্ট খারাপ ছিল কিন্তু মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের তাদেরকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করা বেশ বড় মাপের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। দূর্বল জাহাজে করে বিদেশে আটকে পড়াদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে অনুমান করা হয়। মালয়েশিয় সরকার সাগরে নিদারূণভাবে প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদান করার জন্য কোন রকম অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে নি এমন কি এই সাহায্যগুলো পাওয়ার জন্য অভিবাসীদেরকে অদূরবর্তী দ্বীপগুলোতেও নামতে অনুমতি দেয় নি।
ফিলিপিন্সে ভিন্নমতাবলম্বীদের গ্রেফতার ও খনি-বিরোধী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সামরিকীকরণের বিষয়গুলো তুলে ধরতে দেশজুড়ে কর্মীরা সমাবেশ করেছে। দেশের রাজধানী ম্যানিলাতে বিক্ষোভের কয়েকটি ছবি:

একজন বিক্ষোভকারী ফিলিপিন্স-এর রাষ্ট্রপতি এ্যকিনোর শাসনামলে সংঘটিত কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে একটি পোষ্টার ধরে আছে। ছবি জে জেরার্ড সেগিয়ার সৌজন্যে, স্বত্ব ডেমোটিক্স (১২/১০/২০১৫)

বিক্ষোভকারীরা এ্যকিনো সরকার কর্তৃক গ্রেফতারকৃত সকল রাজনৈতিক বন্দীদেরকে মুক্ত করার দাবী জানাচ্ছে। ছবি জে জেরার্ড সেগিয়ার সৌজন্যে, স্বত্ব ডেমোটিক্স (১২/১০/২০১৫)
ক্যাম্বোডিয়াতে প্রায় ১০,০০০ মানুষ ১৫টি ভিন্ন প্রদেশে ন্যায্যতা, মজুরী বৃদ্ধি, এবং ভূমি অধিকারের দাবীতে বিক্ষোভ পালন করেছে। সরকার রাজধানী নম পেন-এ বিক্ষোভ করা নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু তা মানবাধিকার কর্মীদেরকে বিভিন্ন সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে তাদের দাবী পেশ করা থেকে বিরত রাখা যায় নি। নীচে ক্যাম্বোডিয়া জুড়ে বিক্ষোভের বেশ কয়েকটি ছবি দেয়া হলো:

ক্যাম্বোডিয়াতে কর্মী দলগুলোর দাবীর মধ্যে একটি হলো দেশের সর্বনিম্ন মজুরী বৃদ্ধি করা। ছবি লিকাঢো নামের একটি মানবাধিকার দল থেকে নেয়া।
People from various provinces throughout the country celebrating IHRD in Phnom Penh. #JusticeKh15pic.twitter.com/XaXBgnJ1P2
— Tola Moeun (@Tolamoeun) December 10, 2015
সারা দেশ থেকে বিভিন্ন প্রদেশের লোকজন নম পেন-এ আন্তজার্তিক মানবাধিকার দিবস পালন করছে।
এবং পরিশেষে, মুসলমান-অধ্যুষিত দক্ষিণ থাইল্যান্ডে স্থানীয় ব্যক্তিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বিষয়ক দাবীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পাতানির ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা সংঘাত-বিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের আহ্বানও করেছে, যেখানে এখনও একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এখনও বিদ্যমান: