এই নিবন্ধ এবং রেডিও রিপোর্ট মূলত শিরিন জাফারি করেছেন দ্য ওয়ার্ল্ড এর জন্য, যা PRI.org এ ১৮ মে, ২০১৫ প্রকাশিত হয়, এবং নিবন্ধ ভাগের চুক্তির অংশ হিসেবে এখানে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে।
“আমি যখন বাইক চালাই, আমার মনে হয় পুরো দুনিইয়াটা আমার।”
ঠিক এইভাবেই ডানা আদম তার মোটরবাইক চালানর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন — অন্য কোন বাহক নয়, হার্লে ডেভিডসন — দুবাইয়ের বিস্তৃত মহাসড়ক জুড়ে।
ডানা আদম তার আসল নাম নয়; তাকে ছদ্মনাম ব্যবহার করতে হচ্ছে কারণ যে ইয়েমেনের একটি রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে, যেখানে মটরসাইলেক চালানো শুধুমাত্র স্বপ্ন। “ইয়েমেনে এটা নিষিদ্ধ,” সে বললো। “কোন মহিলা বাইক চালায় না। আমার পরিবার আমাকে তা কখনো করতে দেয় না।”
কিন্তু দুবাইয়ে ডানা তার স্বপ্নের পেছনে ছুটছে — এবং সে একা নয়। এখানে একদল মহিলা চালক রয়েছেন এবং রিপোর্টার আমান্ডা ফিসার ঠিক করেন যে, তিনি তাদের সাথে কিছু সময় কাটাবেন। “আমি অনুভব করেছি এখানে কত শত শক্ত মনের নারী বাস করছেন, যারা নিগৃহীত আরব নারীর প্রতিচ্ছবি থেকে বেরিয়ে আসছেন।” ফিসার বলেন।
ফিসার আর একজন চালকের গল্প বলেন, যার নাম সিমা মেহরি। সিমা একজন ইরানি নারী যার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল মোটরবাইক চালানো। ইরানে নারীদের গাড়ি চালানর অধিকার আছে কিন্তু জনসমক্ষে মোটরবাইক চালানো অবৈধ।
মেহরি এবং তার স্বামী দুবাইয়ে আসেন যখন তার বয়স ২৯, এবং এরপর তিনি তার মটরসাইকেল লাইসেন্স নেন। “দুবাই পৌছানোর পরপরই, আমি বললাম,'ঠিক আছে, এখনি সময়,'” মেহরি ফিসারকে জানান।
মেহরি তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তার মাকে অবহিত করে, কিন্তু তিনি তা সহজএ মেনে নেননি। তিনি হতাশ হন এবং চিন্তিত ছিলেন মেহরি'র পরিবারের প্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তা করে।
কিন্তু মেহরি'র মা শুধু মেনেই নেননি, একসময় যে তিনি মোটরবাইক চালিয়েছেন তা তিনি স্বীকার করেছিলেন। “[মেহরি] মা'র কাছ থেকে একটি ছবিসহ বার্তা পেয়েছে, এবং সেই ছবিতে মেহরি'র মা ১৮ বছর বয়সে বাইক চালাচ্ছেন,” ফিসার জানান।
ফিসার জানান দুবাই হার্লে ডেভিডসন দলটি খুবই সংঘবদ্ধ, চালকেরা নিরাপত্তার জন্য মিশ্র দলের সাথে বের হন,নিরাপত্তা ছাড়াও আনন্দ যার একটি কারণ।
“হার্লে রাইডার্স তাদের নিজেদের কাছে এক বর্ধিত পরিবার,” সে জানায়।
তাছাড়া অধিকাংশ সদস্য দুবাইয়ে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিক। “দুবাই বিভিন্ন দেশি মানুষের মিলনস্থল,” গ্রুপ সম্পর্কে ফিসার বলেন. “এখানে রাশিয়ান, পোলিশ, মরক্কান, লেবানিজ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।”
গরমের কারণে বাইকচালকেরা গরমকালে যত ভোরে সম্ভব বাইক চালানো শুরু করেন। কিন্তু গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাদেরও একটি পদ্ধতি আছে, তা হচ্ছে আইস বা বরফ জ্যাকেট।
একটি আস্তরণের আছে জ্যাকেটে, যার মধ্যে বাইকচালকরা বরফ রাখতে পারেন, যা তাদেরকে কয়েক ঘন্টার জন্য শীতল রাখে।
“এই মেয়েদের রাস্তায় যাওয়া থেকে বিরত রাখতে অনেক কষ্ট করতে হবে!” বলেছেন ফিসার।