
একজন ব্যবহারকারী তার ফোন থেকে ফেসবুকে লগ ইন করেছেন। ছবিঃ ফ্লিকার ব্যবহারকারি মারিয়া ইলেনা (সিসি: এটি)
ইরানে “বুদ্ধিমান” ফিল্টারিং ইন্টারনেট নীতির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। “বুদ্ধিমান” ফিল্টারিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে তারা সমগ্র সাইটে ফিল্টারিং না করে বরং শুধু সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের কিছু নির্বাচিত বিষয়বস্তু ফিল্টার করে থাকেন। আমাদের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ইন্সটগ্রামেও এই অভিযান বিস্তৃত হয়েছে। “বুদ্ধিমান” ফিল্টারিং এর আলোচনার জবাবে অপরাধ বিষয়বস্তু নির্ধারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির (সিসিডিওসি) একজন উপদেষ্টা আব্দুলসামাদ খোরামাবাদি গত ৫ মে তারিখে তাবনাক নিউজ’কে বলেছেন, “অবশ্যই ফেসবুক এই ধরনের [স্মার্ট] ফিল্টারিং এর আওতাভুক্ত থাকবে না, বরং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।”
গত ১৪ মে তারিখে এই নীতির ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ইরানের মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান বলেছে,
ফেসবুকে নিষেধাজ্ঞার এই ধারাবাহিকতায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে ইরানী কর্মকর্তারা সামাজিক মিডিয়া নেটওয়ার্ককে গভীরভাবে ভয় পান, যা ইরানে অতিশয় জনপ্রিয় বলে প্রমানিত হয়েছে। বিশেষকরে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।
ফেসবুকর মতো এইচটিটিপিএস প্রোটোকল ব্যবহারকারি নেটওয়ার্কে সরকার কিভাবে এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করবে, সে ব্যাপারে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে “বুদ্ধিমান” ফিল্টারিং সম্পর্কে ইরানের পূর্ববর্তী আলোচনা কখনই তা খোলাসা করেনি। এনক্রিপশনবিহীন (উন্মুক্ত) ইন্সটগ্রামে এপিআই মাধ্যমেই কেবল এই কার্যক্রমের বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানা যায়।
এই ঘোষণা সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন দেখুন: “ইরানী কর্মকর্তারা পুনরায় দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা দিয়েছেন যে ইরানে ফেসবুক সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ থাকবে।” “বুদ্ধিমান” ফিল্টারিং সম্পর্কে প্রযুক্তিগত তথ্য বোঝার জন্য, ফ্রেডেরিক জ্যাকব এর ইন্সটগ্রাম টেস্টিং এবং গিটহ্যাব এর বিশ্লেষণ দেখুন।