“সিরিয়াতে প্রতিদিন বোমা হামলা চলে। সকল পক্ষই এই হামলাগুলো চালায়। তারা বিদ্যালয়, হাসপাতাল এবং অন্যান্য আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলা চালায়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ফেব্রুয়ারি মাসে সিরিয়াতে নির্বিচারে বোমা হামলা চালান বন্ধের দাবি জানিয়েছে। যদি এই আক্রমণ চলতে থাকে তবে সংস্থাটি আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দিন দিন সিংসতা আরও বেড়ে যাচ্ছে। তাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাতে দয়া করে আপনাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করুন”।
এটি #সিরিয়ারসাথে হ্যাশট্যাগ থেকে দেয়া একটি বার্তা। এটি প্রায় ১৩০ টিরও বেশি সংখ্যক সংস্থার একটি আন্দোলন। সিরিয়ার প্রবাসী জনগোষ্ঠী এবং সারা বিশ্ববাসী কোন পক্ষ অবলম্বন করছেন না। তবে এই যুদ্ধের শিকার হচ্ছেন যারা তাদের সাথে তারা সংহতি প্রকাশ করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গৃহযুদ্ধটি এখন চতুর্থ বছরে পদার্পণ করেছে।
#সিরিয়ারসাথে হ্যাশট্যাগটি বিশ্ব নেতাদের সিরিয়ার জনগণের কথা শোনাতে এবং সে অনুযায়ী তাদের কাজ করাতে চায়। জাতিসংঘের ৬৯ তম সাধারণ সম্মেলনে এটি সেই আহ্বান জানিয়েছে। সম্মেলনটি আজ (২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখ) থেকে নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে। এটি সেই একই সংস্থা যার শিশু এবং সশস্ত্র যুদ্ধ বিষয়ক সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ প্রতিনিধি হচ্ছেন লাইলা জেরোগুই। তিনি সিরিয়াকে “একটি শিশুর জন্য সবচেয়ে বিপদজনক একটি স্থান” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ প্রতিবেদনে বর্তমান সিরিয়াকে বসবাসের জন্য অন্যতম বিপদজনক একটি স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেননা সিরিয়ার নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোতেও এখন রকেট হামলা চালান বেশ সাধারণ ঘটনাতে পরিণত হয়েছেঃ
সিরিয়াতে নাগরিকদের জন্য বসবাসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপদজনক জায়গা হচ্ছে বাজার, হাসপাতাল এবং বিদ্যালয়গুলো। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এবং আক্রমণের চলমান হুমকির মাঝে বাজার, হাসপাতাল এবং বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভুলে যাবেন না
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্বিচারে হামলা চালানো বন্ধের দাবি জানানো সত্ত্বেও সিরিয়াতে উপর থেকে চালানো পিপা বোমা হামলায় প্রতিদিনই লোকজন মারা যাচ্ছেন। গৃহযুদ্ধের সকল পক্ষের আক্রমণের মাধ্যমে এসব নিষ্পাপ নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। #সিরিয়ারসাথে প্রচারাভিযানটি ইউটিউবে “স্রোতের বিপরীতে” নামে একটি চলচ্চিত্র পোস্ট করেছে। মাঠে ফুটবল খেলতে থাকা নিষ্পাপ সিরিয়ান বাচ্চারা সিরিয়াতে নির্বিচারে চালানো একটি বোমা হামলার শিকার হওয়ার দৃশ্য চলচ্চিত্রটিতে দেখান হয়েছে। [হৃদয়বিদারক দৃশ্য সম্পর্কিত সতর্কতা।]
ভিডিওটির শেষে একটি অনলাইন আবেদনের লিঙ্ক যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আবেদনটির মাধ্যমে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ সভাতে উপস্থিত বিশ্ব নেতাদের প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়াতে চালান এই নির্বিচার বোমা হামলা বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান হয়েছে। প্রচারাভিযানটির লক্ষ্য ১০০,০০০ সংখ্যক সমর্থন আদায় করা। তবে প্রচারাভিযানের আয়োজকেরা বলেছেন, যত বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করা যাবে তত বেশি বিশ্ব নেতা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উপর চাপ প্রয়োগ করা যাবে।
#সিরিয়ারসাথে প্রচারাভিযানটি এ সপ্তাহের শুরুতে টুইটার এবং ফেসবুক গতিধারায় বেশ ঝড় তুলেছে। এটি বিশ্ব নেতাদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করার এই সুযোগটি না হারানোর তাগিদ দিয়েছে।
#সিরিয়ারসাথে প্রচারাভিযানের টুইটগুলো
পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে?
যদি আপনি এটি সমর্থন করে থাকেন, তবে সকল সিরিয়ানের পক্ষ থেকে আপনাকে অগ্রিম ধন্যবাদ জানানো হল। এমন একজন সিরিয়ানের পক্ষ থেকেও আপনাকে ধন্যবাদ, যিনি তাঁর বাড়ির বাইরে একজন শরনার্থীতে পরিণত হতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁর দেশটিকে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছেন, তাঁর দেশের মানুষকে মেরে ফেলতে দেখেছেন। দেশটির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিভিন্ন শিবিরে শিবিরে বসবাস করে বোমা বিধ্বস্ত বিদ্যালয়গুলো এবং বাস্তুহারা পরিবারগুলোর মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। এই নির্মম ঘটনাগুলো আপনাদের খুব কাছে ঘটতে দেখছেন না তাঁর মানে এই নয় যে ঘটনাগুলো আদৌ ঘটছে না।
উদ্যোগ নিয়ে আপনি শুধুমাত্র আপনার উদ্বেগই প্রকাশ করবেন না, বরং সিরিয়ান নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে আপনি সারা বিশ্বের হাজার হাজার সক্রিয় কর্মীর সাথে যুক্ত হতে পারবেন। যে উপায়ে আপনি আমাদের সাহায্য করতে পারেনঃ
১. #সিরিয়ারসাথে হ্যাশট্যাগটিতে টুইট করে অন্যান্য আরও ১৩০ টি এনজিও’র সাথে প্রচারাভিযানটিতে যোগ দিন।
২. ভিডিওটি দেখুন এবং অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করুণ।
৩. ভিডিওটি শেয়ার করুন।
৪. আপনার অনুসারী, আপনার সমর্থক এবং আপনার ভক্তদের অনলাইন আবেদনটি যতোটা সম্ভব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে শেয়ার করতে ইমেইল করুন।
৫. আপনার টুইট আরও সমৃদ্ধ করতে এখান থেকে যেকোন একটি ছবি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। প্রচারাভিযানটির এই স্তরের জন্য ছবিগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।