জিভি অভিব্যক্তিঃ মিশর ও বাহরাইনে আলা আব্দুল এল ফাত্তাহ এবং মরিয়ম আল খাজার অনশন ধর্মঘট, কারাগার সময় এবং সক্রিয়তাবাদ

কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত, মরিয়ম আল খাজা এবং আলা আব্দুল এল ফাত্তাহ অনশন ধর্মঘট পালন এবং কারাগারে ছিলেন। কারাগার থেকে তাদের মুক্তির দাবিতে টুইটারে ব্যবহৃত হ্যাশট্যাগ বাহরাইন এবং মিশরে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

এই বিশিষ্ট কর্মীরা তাদের বাড়ি থেকে স্বাধীন ভাবেই অনলাইনে জিভি অভিব্যক্তির এই পর্বে আমাদের সঙ্গে যোগদান করেছেন, কিন্তু তাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।

মরিয়ম বর্তমানে কোপেনহেগেনে বসবাস করছেন। তিনি তার পিতাকে দেখার অনুমতি পাননি। মরিয়মের বাবা একজন নেতৃস্থানীয় বাহরাইন কর্মী, যিনি ২০১১ সাল থেকে কারাগারে আছেন এবং দুইবার অনশন ধর্মঘট পালন করেছেন। 

মিশরে কয়েক সপ্তাহ আগে কারাগারে ৪০ দিনের অনশন ধর্মঘট শেষ হওয়ার অল্পকাল পরেই আলা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে পুনরায় বিচারের জন্য অপেক্ষাধীন এবং তাঁর উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার ২০ বছর বয়সী ছোট বোন কারাগারে তাঁর ৪৭ তম অনশন দিবস পালন করছেন।

মিশর ও বাহরাইনের শত শত রাজনৈতিক বন্দীরা বর্তমানে অনশন ধর্মঘট পালন করছেন।

মরিয়ম এবং আলা গত তিন বছর ধরে তাদের প্রতিদিনের সংগ্রাম সম্পর্কে টুইট করে আসছেন, এমনকি সেই ‘আরব বসন্ত’ থেকে যা সারা বিশ্বের হাজার হাজার শত শত কল্পনাকে আকৃষ্ট করেছে। মাইক্রোব্লগিং সাইটে আলার ৬৩৬,০০০ এরও অধিক এবং মরিয়মের ১০১,০০০ এর কাছাকাছি টুইটার অনুগামী রয়েছে।  

মিশরে গত ২৫ জানুয়ারী, ২০১১ তারিখে শাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে কিছু অনশনকারীরা অন্তরীন হয়েছেন। বাহরাইনে সেই রকম শাসন বিরোধী বিক্ষোভ দেখা দেয় ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১১ তারিখে এবং ৬০০ জন রাজনৈতিক বন্দী কারাগারে নির্যাতনের প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘটে চলে গেছেন।

জিভি অভিব্যক্তির এই পর্বে আলা এবং মরিয়মের সাথে তাঁদের কাজকর্ম সম্পর্কে আমরা কথা বলেছি। এছাড়াও বাহরাইন এবং মিশরে তাদের করা সংগ্রাম ও যে আশা দেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে তাদের প্রাণবন্ত রাখে সে সম্পর্কেও আমরা আলোচনা করেছি।

আলাকে অন্তরিন রাখা বা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে … [Alaa has been jailed or investigated under every Egyptian head of state who has served during his lifetime.] ২০০৬ সালে একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ গ্রহণের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১১ সালে আলা কারাগারে দুই মাস অতিবাহিত করেন, ফলে তার প্রথম সন্তানের জন্মের সময় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি আবারও গ্রেফতার হন এবং তাঁকে বিনা বিচারে ১১৫ দিনের জন্য আটক রাখা হয়। এবং এখন তিনি ১৫ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন।

মরিয়মকে গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়। তিনি তার বাবাকে দেখার জন্য বাহরাইনে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন। তাঁরা বাবা হচ্ছেন একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী, যাকে ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। মরিয়মের বাবা তার দ্বিতীয় অনশন ধর্মঘটের ২৭ তম দিন পালন করছিলেন। ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে নির্যাতনের প্রতিবাদে বাহরাইনে প্রায় ৬০০ জনেরও অধিক রাজনৈতিক বন্দী শাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে  অনশন ধর্মঘটে চলে গেছেন। বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর, পুলিশ বাহিনীর সদস্যকে আঘাত করার অভিযোগে মরিয়মকে অভিযুক্ত করা হয়। মরিয়ম তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আটক হওয়ার পরপরই তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং তারপরই দেশ ত্যাগ করেছেন। তার পিতা কারাগারে রয়ে গেছেন। মরিয়ম হচ্ছেন উপসাগরীয় মানবাধিকার সেন্টারের সহ পরিচালক।  

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .