সমগ্র ইরাক জুড়ে প্রধান প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা তুলে নেয়া হয়েছে, এমন একটি প্রতিবেদন অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
গ্লোবাল ভয়েসেসের এডভোকেসি গতকাল জানিয়েছে, ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে ইরাকের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব বন্ধ করে দেয়ার আদেশ দিয়েছে। অন্যান্য ওয়েবসাইট এবং সেবার মাঝে স্কাইপ এবং ভাইবার ও ওয়াটসএ্যাপ এর মতো ভিওআইপি সেবাগুলোও অন্তর্ভুক্ত আছে।
কয়েক মিনিট আগে ইরাকি ব্লগার হামজজ [আরবি] জানিয়েছেনঃ
شركة الجزيرة نت للأنترنيت رفعت الحجب عن المواقع والتطبيقات ولكن شركة #ايرثلينك وهي الاكبر لم ترفعه لغاية الآن ومازالت تحجب #insm_iq #العراق
— Iraqi Blogger (@Hamzoz) June 14, 2014
বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং এ্যাপ্লিকেশনের উপর থেকে জাজিরা নেট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট আর্থলিংক এখনও বন্ধ আছে এবং ক্রমাগত ভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
কিন্তু লেবানিজ সক্রিয় কর্মী মোহাম্মাদ নাজেম সতর্ক করে দিয়ে বলেছেনঃ
Apparently blockage of social media sites were removed now in #Iraq, the fear is that the Gov is getting ready 2 cut the Internet! #insm_iq — Mohamad محمد (@MoNajem) June 14, 2014
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ইরাকে এখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। তবে ভয়ের বিষয় হচ্ছে সরকার ইন্টারনেট লাইন কেটে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!
সাংবাদিক মার্টিন সুলভের মতে, ইসলামিক রাষ্ট্র ইরাক এবং সিরিয়ার সদস্যদেরকে “সংগঠিত” হওয়া এবং “জায়গা পরিবর্তন” করা থামাতে ইরাকে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারন, তারা বর্তমানে ইরাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরাকের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জন্য ফেসবুক পাতা থেকে আরেকটি কৈফিয়ত এসেছে। এতে গতকাল একটি বার্তা পোস্ট করা হয়। বার্তাটিতে “ফাইবার অপটিক ক্যাবল মেরামতের” জন্য সমগ্র ইরাক জুড়ে ১৫ জুন তারিখ থেকে ধীরে ধীরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত এই পরিকল্পনারই একটি অংশ কিনা সেটি এখনও অস্পষ্ট।