লেবাননে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন না। অহরহ সেটা ঘটছে। তাতে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ। তাই বোমা বিস্ফোরণের পর নিকটজনকে বেঁচে থাকার কথা জানাতে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটির নাম “আমি বেঁচে আছি”। ২৬ বছর বয়সী সান্দ্রা হাসান এটি বানিয়েছেন। সান্দ্রা হাসান লেবানিজ হলেও এখন প্যারিসে বসবাস করেন।
এই অ্যাপটি খুব সহজে কাজ করে: বিস্ফোরণের ঘটনা যখনই ঘটবে, তখন আপনি অ্যাপ ওপেন করে ক্লিক করবেন। ক্লিক করা মাত্রই আপনার টুইটার থেকে #লেবানন #সর্বশেষবোমাবিস্ফোরণ হ্যাশট্যাগ-সহ “আমি এখন বেঁচে আছি” শিরোনামে একটি টুইট পোস্ট হবে।
হাসানের এই অ্যাপ তৈরি করার পিছনের কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন এনপিআর ব্লগার র্যাচেল মার্টিন:
“হতাশা থেকেই এটা এসেছে। আমরা লেবাননে এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি, যেখানে এ ধরনের একটি অ্যাপ খুব দরকারি। এই অ্যাপ তৈরি করে আমি আমার হতাশা প্রকাশ করেছি… পীড়াদায়ক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে এটা একটি প্রতিবাদ, এটা একটা অসন্তোষ, যেটা আমি চাইলে প্রকাশ করতে পারি।”
অ্যাপটি প্রকাশ পাবার পর নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। লেবাননের বিখ্যাত ব্লগার গিনো রেইডি তার ব্লগে পাঠকদের কাছে অ্যাপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন। বেশিরভাগ পাঠকের উত্তর ছিল নেতিবাচক:
@GinoRaidy sad and poorly done. There are many other ways to resist and state you are alive
— Uberstreet (@NourKhoury) January 25, 2014
@GinoRaidy, লজ্জাকর এবং খুব জঘন্য ভাবে করা। প্রতিবাদের আরো অনেক উপায় আছে। প্রিয় স্বদেশ, তুমি দীর্ঘজীবী হও।
@GinoRaidy dark humor much?
— Lama Miri (@LamaMiri) January 25, 2014
@GinoRaidy, এটা কি হাস্যকর নয়?
@GinoRaidy i don't like it. It's like they're telling us that we'll never be safe
— Mona (@MonaaSalemm) January 25, 2014
@GinoRaidy,আমার এটা পছন্দ হয়নি। যাদের এটা পছন্দ হয়েছে, তারা আমাদের বলতে চায়, আমরা কখনোই নিরাপদ নই।
মন্ডেগ্রিন ২ এর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগার এরিক নেউ তার অনুভূতি শেয়ার করেছেন।
This must be the saddest app ever.http://t.co/S8J9QnKZc0 #Lebanon #LatestBombing
— Erik Neu (@ErikNeu) February 3, 2014
এটা সবচে’ বিষাদময় অ্যাপ।
তবে পিএসএফকে ব্লগের ব্লগার রস ব্রুক অ্যাপটির ইতিবাচক ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন:
“বোমা বিস্ফোরণের পরপরই আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে অবস্থার কথা জানাতে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেসময়ে ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো অন্যতম বিকল্প হতে পারে।”