১২ জানুয়ারি বুধবার সকালে, টুইটারে এক অভ্যূত্থানের খবর তিউনিশিয়ায় দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপের সময় অনুসারে সকাল ৫.১০ (সিইটি-সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইম) মিনিটে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়া শুরু করে। যারা প্রথম এই সংবাদ টুইট করেছিল, তাদের মধ্যে ওয়েসিম আমারা (@ওয়েসে_এম) অন্যতম:
@ওয়েসে_এম এবং অন্যদের টুইট অনুসরণ করার মধ্যে দিয়ে টুইটার অভ্যূত্থানের গুজবে ভরে যায়, এবং দি নেক্সট ওয়েব প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা এই অভ্যূত্থানের সম্ভাব্যতার ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করে:
টুইটারে যে সংবাদ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই অনুসারে বেল আলির শাসনের বিরুদ্ধে এক সামরিক অভ্যূত্থান ঘটেছে এবং রাষ্ট্রপতি জিয়ান এল আবেদিন বেন আলির তিউনিশিয়া থেকে উৎখাত হয়েছে। তবে মনে হচ্ছে যে গত কয়েক সপ্তাহে দেশে যে খণ্ড যুদ্ধ চলছে সেই সব ঘটনার উপর মূলধারার প্রচার মাধ্যম সামান্যই মনোযোগ প্রদান করেছে। তবে এর উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছিল ২৬ বছর বয়স্ক এক প্রতিবাদকারীর প্রতিবাদ, যে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পরে মারা যায়। .
সম্ভাব্য এক অভ্যূত্থানের সংবাদের সাথে, ইউটিউবে এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যা দেখায় যে ফ্রান্সে তিউনিশিয়ার দূতাবাসের সামনে এক ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে:
তবে শেষে দেখা গেছে যে এই অভ্যূত্থানের সংবাদ ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে; নাসের ওয়েডড্যাডি (@ওয়েডড্যাডি) যার সম্ভাব্য অভ্যূত্থানের সংবাদ, অন্যতম এক টুইটে পরিণত হয়, সে এর জন্য পরে ক্ষমা প্রার্থনা করে। সে জানাচ্ছে:
ঠিক আছে, আমি ভূল ছিলাম, কারণ আমি @সাবজ_নিউজের #তিউনিশিয়া#সিদিবোউজিদের উপর করা অভ্যূত্থানের সংবাদের উপর নির্ভর করে ছিলাম। আমারই ভুল। কোন অভ্যূত্থান ঘটেনি। সাথে থাকুন।
আমির চৌচান (@মিরোহ) উপসংহার টেনেছে:
la rumeur d'un coup d'Etat d'aujourd'hui est la réponse de ce que veux vraiment le peuple.#sidibouzid