ইরান: মীর হোসেন মুসাভির ব্যঙ্গচিত্র গ্রীন মুভমেন্ট নামক আন্দোলনকে আহত করেছে

নিকহঙ্গ কাউসার কানাডায় বাস করা ইরানের এক অন্যতম ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন শিল্পী। তিনি এ মাসে একটি কার্টুন পোস্ট করেছেন। এই কার্টুন ইরানের বিরোধী নেতা মীর হোসেন মুসাভির। তার এই কার্টুন ইরানের নাগরিক প্রচার মাধ্যমে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

এই কার্টুনে দেখা যাচ্ছে মুসাভি এখন থেকে ১০ বছর পরে একটি টেবিলে বসে তার ৩০০-তম বিবৃতিটি লিখছে।

এই কার্টুনে মুসাভিকে সরাসরি অপমান করা হয়নি, কিন্তু এই কার্টুন তাকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করেনি বলে তার সমর্থকরা মনে করে। সম্ভবত এই কার্টুনের উপর প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে গিয়ে বিরোধী এক ওয়েবসাইট রুজঅনলাইন তাদের নিজস্ব সাইট থেকে কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই এটি সরিয়ে ফেলে। অন্যদিকে ইরানের ভেতরে অনেক রক্ষণশীল (সরকারপন্থী) ওয়েবসাইট এই কার্টুনটি পুনরায় প্রকাশ করেছে এবং এটি নিয়ে “উদযাপন করে”, যাকে তারা “প্রতি বিপ্লবীদের” অবস্থান পাল্টে যাবার মেজাজ হিসেবে (বিরোধীদের) দেখছে।

সাবজা ১৩৮৮ লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:

মুসাভি ফেরেশতা নন, তিনি পৃথিবীর একজন মানুষ, যিনি ভুল করতে পারেন। নিকহঙ্গ, ১৯৮০-এর দশকে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে মুসাভির ভূমিকা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করেন…, আমি জানি না, সে সময় তার ভূমিকা কি ছিল, সে সময় আমি বেশ ছোট ছিলাম। কিন্তু মুসাভি বর্তমানে প্রদান করা মৃত্যুদণ্ডের সমালোচনা করেনি….. নিকহঙ্গ এর পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি কেবল গ্রীন মুভমেন্টের সংবাদ ও কাজ থেকে আমাদের দুরে সরিয়ে দেবে।

জ্যাকবজ্যাকোবি উল্লেখ করেন [ফার্সী ভাষায়] কার্টূনে দেখান মুসাভির ৩০০ তম বিবৃতির কথা এবং বলেন, এমনকি মৌসাভির কঠোর সমালোচকও অস্বীকার করতে পারবে না যে, তিনি প্রতিরোধ করছেন না এবং ইরানের নাগরিকদের অধিকারের দাবি জানাচ্ছেন না।

সোগলমে যুক্তি দেখাচ্ছে [ফার্সী ভাষায়] যে নিকহঙ্গ মুসাভির অহিংস আন্দোলনকে নিয়ে মজা করেছেন। নিকহঙ্গ নিজে এই বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং লিখেন [ফরাসী ভাষায়], তিনি নিজেও অহিংস আন্দালনের সমর্থক:

“আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছে আমি কি মুসাভিকে ধ্বংস করতে চাই। আমার উত্তর হচ্ছে আমি মোটেও তা চাই না। তার সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। আমি এক ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী এবং ক্ষমতার উভয় দিকে যা রয়েছে, সে সব নিয়ে আমি মজা করব, সেগুলোকে নিয়ে প্রশ্ন করব”।

নিকহঙ্গ আরেকটি কার্টুন এঁকেছেন, যেখানে তিনি মৌসাভি একজন সবুজ ফেরেশতা বা গ্রীন সেইন্ট হিসেবে চিত্রিত করেছেন। তাকে তিনি ইরানের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমেদিনেজাদের সাথে তুলনা করেছেন, যে মৌসাভি এক সময় দাবি করেছিল জাতি সংঘে ভাষণ দেবার সময় তার মাথার চারপাশে এক উজ্জ্বল আলো দেখা দিয়েছিল।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .