যখন কাতারী প্রশাসন ঘোষণা করে যে ২৫০ জন কর্মী নিয়ে সব জায়গায় পঠিত ইসলামঅনলাইন ওয়েবসাইট (আইওএল) বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে, তখন এর শত শত কর্মী, সম্পাদক এবং সাংবাদিক ক্ষিপ্ত হয়ে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। পরিস্থিতি দ্রুত আরো ঘোলাটে হয়ে ওঠে, যখন প্রশাসন অবস্থান ধর্মঘটীদের অপসারণ করার জন্য নিরাপত্তা রক্ষী ডাকার হুমকি দেয়, কিন্তু কর্মচারীরা নিশ্চিত করে যে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের দাবিগুলো পুরণ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের উন্মুক্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেবে না।
এখানে উল্লেখ্য করার প্রয়োজন নেই যে হয়ত এই ধর্মঘট প্রথম, যার মাধ্যমে ধর্মঘটীরা তাদের দাবির সমর্থনে সকলের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তৎক্ষণাৎ নতুন প্রচার মাধ্যমকে দক্ষ এবং কার্যকর ভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে, তারা ক্রমাগত টুইটারে তাজা খবর এবং সরাসরি ধারা বর্ণনা প্রদান করতে থাকে।
আইওএলের এক প্রাক্তন এক সাংবাদিক নাদিয়া এল আওয়াদি খুব কাছ থেকে পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ইসলামঅনলাইনের ধর্মঘটী কর্মচারীদের এক বিবৃতি ভদ্রমহিলা তার ব্লগে পোস্ট করেছেন:
تصاعدت الأوضاع بشدة اليوم الاثنين داخل مقر موقع إسلامأون لاين في القاهرة، بعدما قامت الإدارة القطرية للموقع في الدوحة بإرسال محامين لاستلام المقر بكل ما فيه من ممتلكات وأوراق، والتحقيق مع 250 عامل كانوا قد أرسلوا بيانا للشيخ يوسف القرضاوي رئيس مجلس إدارة الموقع يتظلمون فيه من تصرفات الإدارة الجديدة لمؤسسة البلاغ القطرية المالكة للموقع.
وقالت مصادر مطلعة داخل الموقع إن الهدف من التحقيق مع هؤلاء العاملين هو فصلهم تعسفيا وبالتالي حرمانهم من كافة حقوقهم المالية.
কিছু সংবাদ উৎস বলছে যে তদন্তের পেছনে গোপন যে কারণটি রয়েছে তা হল এই সব কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হবে, যাতে তাদের আর্থিক অধিকারের উপর তাদের কোন ধরনের দাবি না থাকে।
এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে পাওয়া এক সঠিক সংবাদের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে যে, কর্মচারীদের উপর তদন্তের উদ্দেশ্য, অধিকার থেকে তাদের আইনগতভাবে বঞ্চিত করা এবং তাদের যত পাওনা আছে তা প্রদান না করা।
টাডামন মাসর উল্লেখ করছে যে [আরবী ভাষায়] এই বিতর্কের কারণ হয়ত নতুন কাতারি প্রশাসকদের এর সদর দপ্তর কায়রো থেকে দোহায় নিয়ে যেতে চাওয়া। আবদেলমোনিয়েম হতাশ হয়েছেন [আরবী ভাষায়] এবং বিস্মিত এটা উগ্রবাদীদের ব্যাপার যারা পরিশীলিত কণ্ঠস্বর এর মত এক ওয়েবসাইট ইসলাম অনলাইনকে চুপ করিয়ে দিতে চায়।
জেইনোবিয়া আবদেলমোনিয়েম এর মত এক মতামত প্রদান করেছেন, তিনি বলছেন:
নতুন কাতারি প্রশাসনকে বলা হচ্ছে অনেক রক্ষণশীল, যারা বিশ্বাস করে ওয়েবসাইটে কেবল রক্ষণশীল ধর্মীয় বিষয়সমূহ থাকবে বাকী সব অপসারণ করা হবে।
টুইটারে, আইওএলের এক প্রাক্তন সাংবাদিক মোহাম্মেদ সংবাদটি প্রচার করে দিয়েছেন, তিনি বলছেন:
@মোহাম্মেদওয়াই: মিশর এবং আরব বিশ্বে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জুরনোস ওরফে সাংবাদিকতা করা (জুরনোস; কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ধামাধরা সাংবাদিক): জার্নালিস্ট@ইসলামঅনলাইন নতুন প্রশাসন তাকে ঢেলে সাজাচ্ছে, কোম্পানীর খারাপ অনুশীলনের বিরুদ্ধে তারা চুপচাপ রয়েছে।
@মোহাম্মেদওয়াই: কাজেই যখন কর্মীরা তাদের সমস্যা সম্বলিত এক দরখাস্তে সই করে, তখন প্রশাসন কর্মীদের উপর তদন্ত করা শুরু করে। ডাব্লিউটিএফ #ইসলামঅনলাইনের বিষয়ে ভুল ধারণা করেছিল?
যে সব সাংবাদিক ধর্মঘট যোগ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ এল শাহমাই এবং মোহাম্মাদ গাফারি উভয়ে রয়েছেন, তারা সরাসরি তাজা সংবাদ প্রদানের উপর কাজ করছেন, তারা সব সময় তাদের টুইটার একাউন্ট সচল রাখছেন এবং উক্ত এলাকা থেকে পাওয়া ছবি পোস্ট করছেন।
@গাফারি: যারা সচেতন তাদের জন্য, #ইসলামঅনলাইন-এর কর্মচারীদের ধর্মঘটের তাজা সংবাদ সরাসরি এখানে প্রদান করা হল:
এচইটিটিপি://ডাব্লিউডাব্লিউডাব্লিউ. আসস্ট্রিম.টিভি/চ্যানেল/আইওএল-অন-এয়ার
গাফারি উল্লেখ করতে ভোলেননি যে, ধর্মঘটের ক্ষেত্রে মেয়েরা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে:
@Ghafari
مش محتاج اقول اد ايه العنصر النسائي كان مشارك في الاعتصام والهتاف وتأليف الشعارات كمان http://bit.ly/cDXyf4 #IslamOnline #strike #women
নাদিয়া এল আওয়াদি তার বন্ধুদের মাধ্যমে সময়নুসারে টু্ইটারে তাজা সংবাদ প্রদান করছে, যেখানে সে উল্লেখ করেছে:
@নাদিয়াই: #ইসলামঅনলাইনের মহিলা কর্মচারী তার স্লিপিং ব্যাগ (ঘুমানোর বিশেষ বিছানা) নিয়ে সারারাত অফিসে থাকার কথা বলছেন, যাতে সে তার ধর্মঘট চালিয়ে যেতে পারে।
@নাদিয়াই: #ইসলামঅনলাইনের কর্মচারী @মস৩আবাফ শ্র্রোতাদের আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা তাদের ওয়েবসাইটের উপাদানগুলোকে সমর্থন করে [কাতার বোর্ড এটিকে গ্রহণ করেছে এবং ওয়েবসাইটটিকে পরিষ্কার না করার পরিকল্পনার করেছে]
মিশরীয় ব্লগার আহমেদ শোকিইর এমন এক মতামত প্রদান করেছেন যা সকলের অনুভব করে, তিনি মন্তব্য করেছেন কি ভাবে নতুন প্রচার মাধ্যম ভিন্ন ভাবে এই সময় ব্যবহার হচ্ছে:
@Shokeir
أعتقد أن إعتصام إسلام اون لاين هو الأول الذي يتم بثه مباشر من موقع الحدث فيديو ستريم على الإنترنت – لاشك انها ستصبح وسيلة فعالة ومنشرة قريبا
উল্লেখ করা প্রয়োজন, টুইটারে গুজব ছড়িয়ে যে এল কারাদাউইয়ি হয়ত পদত্যাগ করতে পারে, মোহাম্মেদ অন্তত তাই মনে করেন:
@মোহাম্মেদওয়াই: কাতারের #ইসলামঅনলাইনের ব্যবস্থাপনা পরিষদ আল-কারাদাউইয়ির আহ্বানকে উপেক্ষা করছে, কারণ তিনি কর্মচারীদের পক্ষে অবস্থান নিতে যাচ্ছেন (আইওএলের ফাতির মাধ্যমে)।
নাদিয়ার জন্য করা আরেক টুইটের মাধ্যমে তাকে সমর্থন করা হয়েছে:
@নাদিয়াই: শেখ আল কারদাউইয়ির আল জাজিরার প্রদর্শিত অনুষ্ঠানের পরিচালক মোতাজ-এল খাতিব শেখের সেক্রেটারির সাথে কথা বলেছেন, যিনি এখনো পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন।
ঘুমানোর আগে গাফারি তার উপসংহার টানেন এই বলে যে যতক্ষণ না তাদের দাবি পুরণ হচ্ছে ততক্ষণ তারা তাদের ধর্মঘট তুলে নেবে না:
@Ghafari: اعتصام العاملين بإسلام اونلاين مستمر حتى الصباح لحين صدور قرار ضمانات العاملين بشكل رسمي #IslamOnline
আরো অনেক ছবি পাওয়া যাবে এখানে।