ভিডিও: সারা বিশ্বের তরুণরা ৬০ সেকেন্ডের ভিডিওতে নিজেদের তুলে ধরছে
ওয়ানমিনিটজেআর নামক প্রকল্প ইউরোপিয়ান কালচারাল ফাউন্ডেশন, ওয়ানমিনিটজেআর ফাউন্ডেশন এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগের ফসল এবং তাদের সাথে আরো কিছু অংশীদার জড়িয়ে রয়েছে। সারা বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো এক মিনিট দৈর্ঘ্যের অনেকগুলো ভিডিও দেখতে পাবেন তাদের ওয়েবসাইটে। এসব ভিডিওর কিছু ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঠানো হয়েছে এবং কিছু কর্মশালার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মশালায় তরুণদের শেখানো হয় কিভাবে তাদের চিন্তাকে লিখে ভাষায় প্রকাশ করতে, চলচ্চিত্র বানাতে এবং সেগুলোকে সম্পাদনা করতে হয়।
এইসব সংক্ষিপ্ত ভিডিও-তে ভিন্ন দেশে ও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বাস করা তরুণরা তাদের সচেতনতা, চিন্তা এবং স্বপ্নগুলো তুলে ধরে এবং এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের প্রতিদিনের জীবনের জানালায় প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। যেমন পোল্যান্ডের লুডিমিলা কেইরেসজাক একটি ভিডিও নির্মাণ করেছে। এই ভিডিওতে সে বর্ণনা করেছে, সে আসলে কে। এই ভিডিওটি দেখতে চাইলে নিচের ছবিতে ক্লিক করে ওয়ানমিনিটজেআর সাইটে প্রবেশ করুন।
বাংলাদেশের মোবাশ্বেরা তারান্নুম আদিবা তার এই ভিডিওতে শিশু অধিকার সনদ থেকে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছে। “আমি স্বাধীনতা চাই” নামের এই ভিডিওতে সে ১২ নম্বর অনুচ্ছেদের উপর আলোকপাত করেছে: এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে শিশুদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে দেখার অধিকার থাকতে হবে এবং তাদের কণ্ঠস্বরকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হবে এবং ১৬ নম্বার অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্রত্যেক শিশুর নিজস্ব গোপনীয়তা বজায় রাখার অধিকার থাকবে।
মঙ্গোলিয়া হতে টুভডেনজামাটস (টুভডেন) আলটানকইয়াগ প্রত্যেকটি শিশুর নিজস্ব সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠার অধিকার চিত্রিত করেছেন:
পরবর্তী ভিডিও আন্টিগুয়া ও বারবুডার সিমন টোঙ্গার। ভিডিওতে এক কিশোরী (সিমন) বয়সন্ধিকালের স্বীকারোক্তি প্রদান করার মধ্য দিয়ে তার মত প্রকাশের অধিকার চর্চা করেছে:
নাইজেরিয়ার ইব্রাহিম ইদে তুলে ধরেছেন পরিবারের মধ্যে শিশুদের যে অধিকার রয়েছে তার কথা। যে পরিবার তাকে ভালবাসে সে পরিবার তাকে তার ঘরে এবং বাইরের অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে:
আরো এ ধরণের এক মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও দেখতে চাইলে দিওয়ানমিনিটজেআর.অর্গের মুল সাইট অথবা ইউটিউবে ইউনিসেফের ওয়ান মিনিট জেআর. চ্যানেল প্রবেশ করতে পারেন। সেখানে দেখতে পাবেন শিশু অধিকারের উপর অনেক তরুণ ৬০ সেকেন্ডের বেশ কিছু ভিডিও তৈরি করেছে।