গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের নাড়া দিয়ে ২০০৫ সালের একটি অস্পষ্ট ভিডিও শিরোনামে আসে। এই ভিডিও প্রথমে আমেরিকার এবিসির সংবাদে দেখানো হয় যাতে দেখা যায় শেখ ইসা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান (আরব আমিরাতের রাজকুমার শেখ মোহাম্মাদের ভাই) একজন আফগান কৃষককে নির্যাতন করছেন; তাকে গরু তাড়ানোর ছড়ি দিয়ে আঘাত করছেন। তার পরে তার জখমের উপরে লবন ঢেলে দিচ্ছেন (সাবধানবাণী: ভিডিওতে এমন চিত্র আছে যা সকল দর্শকের উপযোগী না। ভিডিও পাওয়া যাবে এবিসি নিউজে)।
ইউটিউবে প্রকাশিত এই ভিডিও বাহরাইনি কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ করে দেয়ায় বাহরাইনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অবাক হয়েছিলেন। বাহরাইনে নিষিদ্ধ জনপ্রিয় অনলাইন ফোরাম, বাহরাইন অনলাইনে লিখতে গিয়ে মাহদি লক্ষ্য করেছেন:
بشكل فاضح وزارة الاعلام البحرينية تقول بث جرائم المعذبين مخالف للقانون البحريني !قامت وزارة الاعلام البحرينية بتستر على احد الجرائم التي بثت على اليوتيوب بعدما حجبت احد الفيديوهات التي تم نشرها في موقع اليوتيوب الشهير التي تظهر فيه تعذيب افغاني على يد عيسى بن راشد ال نهيان يظهر فيه وهو يعذب افغاني ، الراوبط في الاسفل محجوبة من قبل وزارة الاعلام ؟
http://www.youtube.com/watch?v=5YGWj…eature=related
http://www.youtube.com/watch?v=5YGWjxzMka4
هذا الموقع مغلق لمخالفته الأنظمة والقوانين في مملكة البحرين !
বাহরাইনের তথ্য মন্ত্রণালয় একটা অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে তারা ইউটিউবের প্রকাশিত একটি ভিডিও ফিল্টার করেছে যাতে দেখা যায় শেখ ইসা বিন জায়েদ আল- নাহিয়ানের হাতে একজন আফগানী নির্যাতিত হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয় নীচের লিঙ্কগুলো ব্লক করে দিয়েছে:
http://www.youtube.com/watch?v=5YGWj…eature=related
http://www.youtube.com/watch?v=5YGWjxzMka4
এগুলোকে ব্লক করা হয়েছে কারন এগুলো বাহরাইন রাজ্যের আইন আর নিয়মের পরিপন্থী!
ইউএইতে অবস্থিত একজন ব্লগার আরব লেডি ভিডিও সম্পর্কে শুধু এতোটুকুই বলেছেন:
মন্তব্য নিস্প্রয়োজন! পৃথিবীর উপরে রহম রহম রহম হে আল্লাহহহহহ…
দুবাইতে অবস্থিত টুইটার ব্যবহারকারী টমএসপি আমেরিকার সরকার আর ইউএইর মধ্যে তুলনা করেছেন:
ওমানী ব্লগ মাস্কাট কনফিডেনশিয়াল আমেরিকাকেও তুলে এনেছে তাদের মূল্যায়নে:
শেখের আগের একজন ব্যবসার অংশীদার কর্তৃক প্রকাশিত এই ভিডিওতে, যা গত সপ্তাহে আমেরিকার এবিসি নেটওয়ার্ক দেখিয়েছে, ইউএইর এক শেখ নিজে একজন আফগান বিক্রেতাকে নির্যাতন করছেন হারিয়ে যাওয়া শস্যের জন্য এমনটি দেখা যায়। এই গল্প ২০০৮ সালের মধ্যভাগে চারিদিকে ছড়িয়েছিল, কিন্তু এখন যখন এবিসি এটাকে প্রচার করেছে, এই ব্যাপার আবার সংবাদে চলে এসেছে: আসল প্রশ্ন হচ্ছে নতুন আমেরিকার প্রশাসন কি করবে?
ইউএইতে ব্লক করা মানবাধিকার কর্মীদের সাইট ইউএই টর্চার আরো তথ্য দিচ্ছে এই ঘটনা আর তার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে।