আল জাজিরা ইংরেজী টিভি আজ স্থানীয় সময় ৬টার সময় (জিএমটি +২) রিপোর্ট করেছে যে জাতিসংঘের একটি স্কুল ইজরায়েলের দুটি ট্যান্ক শেলের আঘাতে ধ্বংস হয়। জাবালিয়ায় অবস্থিত এই স্কুলে চলমান যুদ্ধের ফলে বাড়ী ঘর হারানো বা পালানো উদ্বাস্তু জনগণের আশ্রয়স্থল ছিল। এই সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে যে ৪০ জনেরও বেশী মারা গেছে। আলজাজিরার ইংরেজী টিভি স্টেশনে (লাইভস্টেশন থেকে সারা বিশ্বে দেখা যায়)এটি রিপোর্ট করা হয়েছে যে ইজরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আক্রমণের জন্যে সব জাতিসংঘ স্কুলের জিপিএস কোঅর্ডিনেট দিয়ে দেয়া হয়েছিল।
দ্যা ফিলিস্তিন সাথে সাথেই রিপোর্ট করেন:
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন যে গাজা স্ট্রিপে একটি জাতিসংঘ স্কুলে ইজরায়েলী বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশী মারা গেছে।
এই আক্রমণ চালানো হয়েছে উত্তর গাজায় স্কুলের আঙ্গিনার ১০ গজের মধ্যে। গত কয়েক ঘন্টায় জাতিসংঘ স্কুলের উপর এটি দ্বিতীয় হামলা।
হসপিটালের ডিরেক্টর বাসাম আবু ওয়ার্দা কনফার্ম করেছে যে দ্বিতীয় বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশী লোক মারা গেছে। উভয় ক্ষেত্রেই স্কুলগুলোতে যুদ্ধের কারনে উদ্বাস্তুরা আশ্রয় নিয়েছিল।
জাতিসংঘের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাএই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ইজরায়েল কোন মন্তব্য করেনি।
সিরিয়া নিউজ ওয়্যার আরও জানাচ্ছে:
গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ৪০ জন লোক ইজরায়েলের বোমার আঘাতে মারা গেছে। সেখানে জাতিসংঘ ৪০০ জন প্যালেস্টাইনিকে আশ্রয় দিয়েছিল।
লন্ডন থেকে টুইটার ব্যবহারকারী ডমিনিক ক্যাম্পবেল এই সংবাদের উপর ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন:
ভাবছি এবার কি ইজরায়েল দাবী করবে যে হামাস জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলকে সরিয়ে তাদের ট্যান্কের সামনে এনে দিয়েছিল?
ফিনল্যান্ডের টুইটার ব্যবহারকারী হ্যালোফেক্টি এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ার অভাব দেখে আহত হয়েছেন:
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া জানতে উদগ্রীব। এটি গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুল ছিল। এটি পুরোপুরী পাগলামি।