২০০৮ সাল ক্যারিবীয় বাণিজ্যের নয়া দিগন্ত উন্মোচনের শুভ সংবাদ দিয়েছে। ইইউ এর ২৭টি দেশ এবং আঞ্চলিক ভূখন্ডসমূহের মধ্যে নয়া বাণিজ্য জোটের প্রথম পর্ব ঘোষণা করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। একটা সামান্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আর কি বড় সমঝোতা হবার আছে? শুধু ঘটনা হলো এই দুটো বাণিজ্য অঞ্চল যেভাবে সম্পর্কযুক্ত তার মৌলিক বিষয়গুলো নতুন আইন পরিবর্তন করে দেয়। বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক ধারণাকে ভিত্তি করে তৈরীকৃত ২০০১ কোটোনু চুক্তি বাতিল করে ক্যারিফোরাম ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) প্রস্তুত হয়েছে। নতুন ইপিএ পারস্পরিক দেয়া-নেয়ার ভিত্তিতে রচিত – যার মানে প্রথমবারের মত খেলার মাঠটা সমান থাকছে।
স্টেকহোল্ডার এবং বিশেষ আগ্রহী দলগুলো কিছু আঞ্চলিক সরকারের সাথে সাথে এ নিয়ে বেশ উচ্চকিত ছিল – গায়ানার মত - তারা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিল যে ইপিআই যে পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছে তারা এতে স্বাক্ষর করবে না। সমস্যা হলো চুক্তি স্বাক্ষরের একটা সময়মীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। স্বাক্ষর করুন অথবা আপনার পণ্য-সামগ্রীকে উচ্চমুখী প্রবেশ করের ধাক্কা সামলাতে দিন। ফলে পন্যের দাম যাবে বেড়ে এবং বাজারে কম বিকিকিনি হবে। কয়েক জন গায়ানীজ ব্লগার এ বিষয় আলোচনা করেছেন…
গায়ানা ৩৬০ মনে করেন জাতি ভুলভাবে পরিচালিত হচ্ছে:
ভারাত জাগদেও ইপিএ সমাঝোতার বিষয়ে সত্য কথা বলেন নি। ইপিআইতে স্বাক্ষর নিয়ে গায়ানার অযথা বাড়াবাড়ি চুপসে গেছে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কমিশনের একজন বাণিজ্য নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ডগি ব্রিউ এর প্রদত্ত বিবিসির সাক্ষাৎকারের ফলে। ডগি বলেছেন বিগত মার্চে গায়ানা ইপিআই এর প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছিল কমিশনের কাছে এবং এর বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য অনুরোধও করেছিল।
একটা পর্যবেক্ষণমূলক পোস্টে তিনি বিষয়টাকে তুলে ধরেছেন বিবিসির ইন্টারভিউ এর অডিও কপি লিংক হিসাবে প্রদান করে।
প্রোপাগান্ডা প্রেস কেবলমাত্র একটা ইন্টার প্রেস সার্ভিসের সংবাদ ভাষ্যের লিংক দিয়েছে যাতে বলা হয়েছে চুক্তিতে স্বাক্ষর না করলে গায়ানা হয়তো শাস্তি ভোগ করতে পারে। লিভিং গায়ানা ধৃষ্ঠপূর্ণভাবে উত্তর দাবী করেছে:
ওহে পরাক্রমশালী ভারাত আমাদের বলুন আপনি কি করছেন। আপনাকে বিশ্বাস করি। আপনার জন্য আমরা সব কিছু ত্যাগ করতে পারি যেহেতু আপনি বিজ্ঞ, শক্তিশালী, মহান নেতা। আমাদের নেতা আপনি। আপনি অবশ্যই বেশি জানেন।
সেজন্য বলুন হে পরাক্রমশালী! স্বাক্ষর নাকি না-স্বাক্ষর?
চুক্তি অনেক কিছুর উপরে প্রভাব ফেলবে যেমন বাজারে প্রবেশ, বাণিজ্য সংশ্লিস্ট বিষয়, সেবা ও বিনিয়োগ এবং আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়। গায়ানা যদি ইপিআই তে স্বাক্ষর করতে রাজী হয় তবে তা আগামী কালের মধ্যে করতে হবে।