রাইজিং ভয়েসেস আর ওপেন সোসাইটি ইন্সটিটিউটের হেলথ মিডিয়া ইনিশিয়েটিভ আনন্দের সাথে তাদের নতুন ছয়টি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নাগরিক মিডিয়া প্রসার প্রকল্পের ঘোষনা করছে। আমরা ৫০ টিরও বেশী দেশের স্বাস্থ্য কর্মী আর সংস্থার কাছ থেকে ১১০ টিরও বেশী প্রকল্প প্রস্তাবের আবেদন পেয়েছি। ছয়টি প্রকল্প চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে যারা সব থেকে বেশী নাগরিক মিডিয়ার টুলগুলো যেমন ব্লগ, পডকাস্ট আর অনলাইন ভিডিওর মাধ্যমে গনস্বাস্থ্যের প্রচারনার কাজ করবে বলে দরখাস্ত দিয়েছে। তারা এসব টুল ব্যবহার করে তাদের চলমান গণস্বাস্থ্য উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেবে আর যে সমস্ত সম্প্রদায়ে তারা কাজ করে তাদেরকে শক্তিশালি করতে উদ্যোগী হবে।
রোমানিয়ার ব্রাসোভো কাসা স্পেরান্টি হস্পাইস সেন্টার তাদের নার্স, ডাক্তার আর কর্মীদের প্রশিক্ষন দেবে কি করে অডিও আর ভিডিও যন্ত্র ব্যবহার করা যায় যাতে যে সকল রুগী প্রাণ নাশক রোগে ভুগছে তাদের কথা সরাসরি সবাইকে জানানো যায়। সেন্টারের কর্মীরা তাদের অনলাইন মিডিয়া প্রশিক্ষন আর ইন্টার এক্টিভ ওয়েবসাইট এর প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে উপশমকারি সেবার লক্ষ্য, সাফল্য আর বাধা ব্যাখ্যা করতে পারবে যা গুরুত্ব দেয় জীবনের সায়ান্হে অবস্থিত রোগী আর তার পরিবারের সেবার, যা আবার বিশেষ গুরুত্ব দেয় সেইসব লোকদের যারা বৃদ্ধ, বাচ্চা আর ক্যান্সার বা এইচআইভি/এইডস রোগে আক্রান্ত।
ডারবান, সাউথ আফ্রিকার কোয়া মাসু শহরে কোয়া মাসু কমিউনিটি এডভান্সমেন্ট প্রোজেক্ট (কে-ক্যাপ) তাদের এখায়া ইম্যাজিনেশান ল্যাব ব্যবহার করবে শহরের ভিতরের ২০ জন নতুন নাগরিক সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিতে যারা কিভাবে স্বাস্থ্য সমস্যা তাদের স্থানীয় সম্প্রদায়কে আক্রান্ত করছে সেই খবর সবাইকে জানাবে। ১৯৯৮ সালে গুগু দালামিনিকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা করা হয় যখন সে জানায় যে সে এইচআইভি পজিটিভ। ২০ জন নাগরিক সাংবাদিক যাদেরকে কে-ক্যাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তারা এইচআইভি আর এইডস এর সাথে যে ঘৃণা জড়িত আছে তার যেমন সম্মুখীন হবে তেমন স্থানীয় স্বাস্থ্য সমস্যা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরবে।
ড্রপ-ইন -সেন্টারের পাভেল কুটসেভ ব্লগ পোস্ট, ছবি, পডকাস্ট আর অনলাইন ভিডিও ব্যবহার করবে কিয়েভ, ইউক্রেনে অবস্থিত একটা ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র তার কাজের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করতে। এই ব্লগ যারা প্রতিদিন মাদক ব্যবহার করে তাদের জন্য তথ্যের দার উন্মোচণ করবে আর ব্যাখ্যা করবে এই বাস্তবতা যে তারা কি করে সারা দেশের গনস্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রোমানিয়ার কাম্পুলুং মল্দোভেনেস্ক এ অবস্থিত ওরিজন্টুরি ফাউন্ডেশন একটা ব্লগিং ক্লাব তৈরি করবে মানসিক সাস্থ্য সেবা গ্রহণকারিদের জন্য যা তাদেরকে প্রশিক্ষন দেবে কি করে ওয়েবলগ রাখতে হয়, অনলাইন সাইটে কি করে ভিডিও আপলোড করতে হয়, আর সামাজিক নেটওয়ার্ক কি করে ব্যবহার করতে হয়। এই সব জ্ঞান তাদেরকে তাদের কাহিনী অন্যকে শোনাতে আর তাদের পরিচয় গোপন করতে সাহায্য করবে।
কঙ্গোর ব্রাজাভিলে আজুর উন্নয়ন সংস্থা তাদের এইডস নেটওয়ার্ক আফ্রিকা ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসাবে স্থানীয় এইডস সংস্থার কমিউনিকেশন অফিসারদের প্রশিক্ষন দেবে ডিজিটাল মাধ্যমে কাহিনী বলায়, পডকাস্টিং এ আর ব্লগ তৈরি করতে যেখানে কঙ্গোতে যারা এইচআইভি আর এইডসে আক্রান্ত তাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব আর ঘৃনার নথি লিপিবদ্ধ করা যায়। একে পরে এডভোকেসি, শিক্ষা আর এইচআইভিতে আক্রান্তদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক কমিউনিকেশন অফিসার ব্যাখ্যা করবে যে কি করে এইডস স্থানীয় সম্প্রদায়কে জর্জরিত করছে। তারা জানাবে তাদের কার্যক্ষেত্র সম্পর্কে আর যারা এইচআইভি আর এইডসে আক্রান্ত তাদের দৈনন্দিন জীবন কেমন।
পরিশেষে রয়েছে ফ্রন্টএইডস প্রজেক্ট যা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে নাগরিক মিডিয়া ব্যবহার করবে রাশিয়ার আশেপাশে ২০টা এলাকায় যে সব লোক এইচআইভি, হেপাটাইটিস আর টিবিতে আক্রান্ত তারা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কি না দেখার জন্য। এই প্রতিক্রিয়াশীল ব্লগ সাইট সংযোগকারী হিসাবে কাজ করবে আর নাগরিক মিডিয়ার তথ্য ভান্ডার হিসাবে কাজ করবে রাশিয়ার আশপাশের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে।
এই ছয়টি প্রকল্প তাদের ভৌগোলিক আর কাজের ধরনের দিক থেকে পৃথক , কিন্তু তাদের প্রত্যেকের ইচ্ছা হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া নতুন মিডিয়া ব্যবহারে যাতে তারা তাদের কাজ আর তারা যে সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে তার সম্পকে সচেতনতা তৈরি করতে পারে।
1 টি মন্তব্য