এই পোস্টটি আমাদের বিশেষ কাভারেজ: সৌদি আরবের সংস্কারবাদীদের বিচার এর অংশ
উমর আল-সাইদ এর বিচারের তৃতীয় অধিবেশন গতকাল [১৮ আগস্ট] সৌদি আরবের বুরিধাহতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এসোসিয়েশন (এসিপিআরএ) এর একজন সদস্য। গত ২৮ এপ্রিল তারিখে আইনজীবী ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাঁকে আটক করা হয়।
দ্বিতীয় সেশনের মতোই, উমর আল-সাইদকে হাতকড়া পড়িয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি হাতকড়া পড়ার ফলে ব্যথার কারণে অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু বিচারক ইসা আল-মাত্রুদি তা সরানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অংশগ্রহণকারীদের আদালত ঘরে প্রবেশের শুরুর সময় বিচারক আল-সাইদকে ঘিরে রাখার জন্য কর্মকর্তাদের আদেশ দেন এবং পাশাপাশি বসা তার দুই প্রতিনিধি, আব্দুল্লাহ আল-সাইদ এবং ইসা আল-হামেদকে প্রত্যাখ্যান করেন। উপরন্তু, তিনি প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বসতে দিতেও অস্বীকৃতি জানান।
এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা এসিপিআরএ’র সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আল সাইদকে বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগ “শাসকদের সমালোচনা” সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। উমর আল-সাইদ তার প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। “উত্তর দিতে কেন আপনার প্রতিনিধিদের সাহায্য দরকার ? আপনি কি পুরুষ লোক নন ?” বিচারক তাঁকে একথা জিজ্ঞাসা করেন। তার প্রতি অসদাচরণের কারণে উমর শেষে উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। এর আগে উমর আল-সাইদ জিজ্ঞাসাবাদকারীদের অসদাচরণের ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন।
আদালতে মামলা চলাকালে অংশগ্রহণকারীদের একজন মোহাম্মদ আল-রাবিয়াহ [@মোহাদ_এফ] বিচারককে তাঁর আইনবিরূদ্ধতা সম্পর্কে বলেন, তিনি বিবাদীকে এবং তার প্রতিনিধিদের জিজ্ঞেস করুন। বিচারক আল-রাবিয়াহকে তাঁর কাছাকাছি বসতে বলেন এবং তাকে ফৌজদারী আইন দেখিয়ে দিয়ে বলেন নিবন্ধের সেই বিষয়টি দেখাতে যে আইনের বলে বিচারক যা করছেন তা করতে পারবেন না।
অন্য অংশগ্রহণকারী মুহাম্মদ আল-আহমদকে বের করে দেওয়া হয়ঃ
في محاكمة #عمر_السعيد طردني القاضي عيسى المطرودي بحجة أكل (علك)! الغريب إنه ما كلمني،على كلام العسكري الأمر من القاضي! #محاكمة_حسم_القصيم
— محمد الأحمد (@Muhammad_Ab) August 18, 2013
উমর আল-সাইদের আদালতে বিচারক চুইং গামের জন্য আমাকে বের করে দিলেন ! অদ্ভুত, তিনি আমার সাথে কথা বলেননি, কিন্তু একজন কর্মকর্তা এসে আমাকে জানালেন যে এটি বিচারকের আদেশ।
বাইয়ান আল-বাজাদি [@ইউরব_] এবং জিনান আল-ঘাইথ [@জিএমএনজি৬] কে বিচারে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তারা তাঁদের বলেন যে, বিচারক মহিলাদের ভেতরে যাবার অনুমতি দেননি এবং তাদের বাড়িতে যেতে বলেন। নারীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিচারের শেষ পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করেন।
বাইয়ান টুইট করেছেনঃ
وبس .. صحيح اننا مادخلنا المحاكمة ، بس اعتبرنا دخلنا ، و ابجي ثانية وثالثة و رابعة وخامسة ان شاء الله لمين يسمحون لنا #الضغط_يفيد
— بيان البجادي (@Urooobh_) August 18, 2013
এমনকি আমরা কোর্টের ভেতরও ঢুকতে পারিনি। আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেবার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত বার বার আমি সেখানে যাবার চেষ্টা করি।
বিচারের সময় উপস্থিত থাকার ব্যাপারে মহিলাদের উপর বিচারকদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা এটাই প্রথম নয়। কিছু টুইটার ব্যবহারকারী বিচার ব্যবস্থা কর্তৃক নারীর বিরুদ্ধে একটি পদ্ধতিগত বৈষম্যে হিসেবে এটাকে দেখেছে:
همة الجبال هي : أن يذهبن نساء وطني لحضور المحاكمات رغم علمهم المسبق بأنهم سيعانين من #تمييز_القضاء_ضد_المرأة و سيتم منعهن بدون وجه حق
— 사느 (@ISUN__) August 18, 2013
আমাদের দেশে নারীরা জানে যে আদালতে বিচার কাজে অংশ নিতে গেলে তাঁদের সেখানে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। কারণ নারীদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের বৈষম্য।
উপস্থিতিদের মতে, তিনি প্রতিনিধিদের কাছে তাঁর বদলি লোক চেয়ে বলেন, তিনি এই মামলায় আর থাকতে চান না। তিনি এতোই বিরক্ত ছিলেন যে, পরের সেশনের জন্য তিনি কোন তারিখ নির্ধারণ করেননি। বিবাদী এবং প্রতিনিধিদের দ্বারা কোন রেকর্ডও স্বাক্ষরিত হয়নি।
নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এসোসিয়েশনের আরও ছয় সদস্য বর্তমানে সৌদি আরবে কারাগারে আছেন। মোহাম্মদ আল-জাদি তাদের একজন, যিনি গত ৬ আগস্ট তারিখে মুক্তি পান এবং কোন আপাত কারণ ছাড়াই গত ১৪ আগস্ট তারিখে তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়।
এই পোস্টটি আমাদের বিশেষ কাভারেজ: সৌদি আরবের সংস্কারবাদীরা বিচারাধীন এর অংশ