তিন রাজা এলেন আর গেলেন, কিন্তু তা ৪ জানুয়ারি, এক সাধারণ রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে নিউ ইয়র্কে মিউজিও ডেল ব্যারিও কর্তৃক আয়োজিত প্যারেডে শত শত শিশুদের সাথে উদযাপন না করে নয়। ক্রিসমাসের উৎসব, যার ইতিহাস ও ধর্মীয় ভাবধারা যথেষ্ট জটিল (খ্রিস্টবাদের মতই), সেটি কয়েক শতাব্দী ধরেই ক্যারিবিয়ান ও ল্যাটিন আমেরিকান সংস্কৃতি ঐতিহ্যের অংশ।
পুয়ের্তো রিকোতে, উদাহরণস্বরূপ, তিন রাজার আগমনের পূর্বে, শিশুরা একটি জুতার বাক্সে পরবর্তী দিনের উপহারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মেলকর, গাসপার, আর বালতাসারের ঘোড়ার জন্য ঘাস ফেলে রাখে। প্রকৃতপক্ষে, বছরের পর বছর ধরে এই ঐতিহ্যটি সৃজনশীল ধারায় পরিবর্তিত হয়েছে। যেমন, তিন রাজা ঘোড়ার পিঠে চড়ে পৌছান, উটের পিঠে নয়, এবং তাদের নিয়ে সান্তেরোসরা (ধর্মীয় চিত্রের কারিগর) প্রতিশ্রুতির [স্প্যানিশ ভাষায়] মাধ্যমে উদযাপন করে যা উৎসাহ ও আনন্দের উৎস।
নিঃসন্দেহে পুয়ের্তো রিকান আর ল্যাটিন আমেরিকান সমাজ যারা নিউ ইয়র্কের মত নগরে জীবিত ও সক্রিয় তারা বিশেষ করে শিশুরা কখনোই অত্যন্ত উৎসাহের মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপন করতে কখনো থেমে থাকে নি। এতই বেশি যে পূর্ব হারলেমের সড়কগুলো ঘোড়ার গাড়ির চলন, পেরুভিয়ান নাচ, ক্যাপোইরা, দৈত্যাকার পুতুল আর এমনকি দুটো উটের পদচারণায় অচল হয়ে গিয়েছিল যেগুলো নিউ জার্সির একটি পবিত্র স্থান থেকে আগত।
এখানে আমরা পুয়ের্তো রিকান শিল্পী জোসে গুয়ারিওনেক্স কর্তৃক তোলা কিছু ছবি দিয়েছি যেখানে এ উৎসবের মাঝে কিছু মুখ তুলে ধরা হয়েছে।