প্রাথমিক দাবিগুলি একচেটিয়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেও দ্রুত এর সাথে রাজনৈতিক বিভিন্ন স্লোগান যুক্ত হয়। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতটি ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে থেকে স্বাধীন কাজাখস্তানের রাষ্ট্রপতি থাকা নুরসুলতান নজরবায়েভকে সম্বোধন করা: “শাল, কেত!” (বুড়ো, চলে যাও)! নজরবায়েভ ২০১৯ সালে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে বর্তমান রাষ্ট্রপতি কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের হাতে লাগাম হস্তান্তর করলেও নজরবায়েভ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলির মূলত দেশের নিরাপত্তা পর্ষদের প্রধানের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন। যা থেকে জনগণ ও কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করে ক্ষমতার পরিবর্তনটি নামমাত্র এবং দেশ পরিচালনার আসল হাতিয়ারগুলি নজরবায়েভ এবং বড় বড় কর্পোরেশন ও সরকারি সংস্থার উচ্চপদে আসীন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বেশিরভাগ শহরে বিক্ষোভ স্বাভাবিক জীবনযাত্রার উপর সামান্য প্রভাব ফেললেও আলমাতি অশান্তি ও দাঙ্গা মিশ্রিত মিছিল ও লুটপাটের নিমজ্জিত হয়। কিছু বিক্ষোভকারী নগর প্রশাসন ভবন ও রাষ্ট্রপতির স্থানীয় বাসভবন দখল করে এসবের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে আগুন ধরিয়ে দেয়, আর অন্যরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি জানানোর চেষ্টা করে। তোকায়েভ ৫ জানুয়ারি বিক্ষোভকারীদের “আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী” অভিহিত করে মস্কোর নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (সিএসটিও) সদস্য দেশগুলির কাছে দেশের পরিস্থিতি সমাধানে সহায়তা করার অনুরোধসহ আবেদন করেন। বেলারুশ, রাশিয়া, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও আর্মেনিয়া থেকে ২,০০০ এরও বেশি সৈন্য সিএসটিও ব্যানারে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত বস্তুগুলিকে রক্ষা করতে কাজাখস্তানে পৌঁছে।
আলমাতিতে ৬ জানুয়ারি, ২০২২ রাতে একটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে পরের দিন শহরের কেন্দ্রীয় চত্বরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সামরিক পোশাক পরা লোকজন গুলি চালায়। তোকায়েভ ৭ জানুয়ারি বলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে “২০,০০০” সন্ত্রাসীকে “গুলি করে হত্যা করার” নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ১৩ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের মতে, এই কয়েক দিনে ২২৫ জন মারা গেলেও সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা মনে করে এই সংখ্যাটিকে কমিয়ে বলা হয়েছে।
গ্লোবাল ভয়েসেস বেঁচে থাকাদের গল্প কভার করে গত দুই বছর ধরে কান্দি কান্তার বিষয়ে সক্রিয় গবেষণাকারী কাজাখস্তানের অন্যতম বিখ্যাত স্বাধীন সাংবাদিক দানিয়ার মোল্ডাবেকভের সাথে কথা বলেছে।তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে তার “গড-ইয়ানভার” (“জানুয়ারির বছর”) শিরোনামের বই প্রকাশের ঘোষণা দেন। এটিতে তিনি বিক্ষোভের সাইটগুলি থেকে প্রতিবেদন ও পরবর্তী রাজনৈতিক দমন-পীড়ন থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎকার ভাগাভাগি করলেও দুই সপ্তাহ পর মোল্ডাবেকভ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষের মনোযোগের কারণে ছাপাখানা তার বই ছাপতে অস্বীকার করেছে।
রামিল নিয়াজভ-আদিউজিহান (আরএনএ): না “নৌকা দোলানো” ও স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন না করার জন্যে নিরাপত্তা বাহিনীর বা স্বতঃপ্রণোদিত বিধিনিষেধে ছাপাখানাগুলি আপনার বই ছাপানো প্রত্যাখ্যান করেছে কি?
Данияр Молдабеков (ДМ): 5 января я сообщил о предзаказе своей книги – в тот же день мне написал директор издательства: «Акимат вышел на наше руководство, сказав, что к нам обратились из КНБ с просьбой предоставить аннотацию книги и контакт автора». Потом одна площадка, несмотря на договорённости, отказалась проводить презентацию. Через 2 недели мне звонят из издательства и говорят: «В типографию обратились представители правоохранительных органов с просьбой дать почитать текст». На следующий день я узнаю, что, со слов издателей, все типографии отказались печатать мою книгу, несмотря на то, что количество предзаказов моей книги чуть ли в первый же день побил их прошлый рекорд – предзаказы на мемуары Назарбаева. Всё это «дичь» короче, особенно на фоне заявлений Токаева о том, что в Казахстане нет цензуры. Я не вижу разницы между Назарбаевым и Токаевым – режим как был авторитарным, так и остался.
দানিয়ার মোল্ডাবেকভ (ডিএম): আমি ৫ জানুয়ারি আমার বইয়ের অগ্রিম-আদেশ ঘোষণা করলে ঐদিনই প্রকাশনা সংস্থার পরিচালক আমাকে লিখেন: “আকিমত কর্তৃপক্ষ আমাদের ব্যবস্থাপনার সাথে যোগাযোগ করে বলেছে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি আমাদেরকে বইটির একটি টীকা ও লেখক পরিচিতি দেওয়ার অনুরোধ করেছে।” তারপর চুক্তি সত্ত্বেও একটি স্থান এটি উপস্থাপন করতে অস্বীকার করে। দুই সপ্তাহ পরে আমাকে প্রকাশনা সংস্থা থেকে ডেকে বলেছে: “আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের পাঠ্যটি পড়তে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ছাপাখানার সাথে যোগাযোগ করেছে।” আমার বইয়ের অগ্রিম-আদেশের সংখ্যা প্রায় প্রথম দিনেই তাদের আগের নজরবায়েভের স্মৃতিকথার জন্যে অগ্রিম-আদেশের রেকর্ড ভেঙে দিলেও পরের দিন আমি জানতে পারলাম প্রকাশকদের মতে সকল ছাপাখানা আমার বই ছাপতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিশেষ করে তোকায়েভের — কাজাখস্তানে কোনো সেন্সর নেই — বিবৃতির পটভূমিতে এক কথায় এর সবই একটি “খেলা।” আমি নজরবায়েভ ও তোকায়েভের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি না — শাসকগোষ্ঠী কর্তৃত্ববাদী ছিল এবং থাকবে।
আরএনএ: এটা কি বলা যায় কান্দি কান্তারের সময় কী ঘটেছিল তা আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারি?
ДМ: Конечно, только надо понимать, где и когда. В Алматы кто-то митинговал на площади и требовал политических реформ, и погиб в результате расстрела или же был запытан после, а кто-то грабил магазины. Параллельно с искренними мирными протестами гражданского населения, чья цель была надежда на перемены, была какая-то грызня в верхах – например, мы видим, что после Қаңтара Назарбаев начал реально терять власть. Поэтому тогда было много всего: и расстрелы, и пытки, и игра элит какая-то, и вдохновляющие примеры гражданской солидарности, и вера в лучшее будущее, и это всё я пытался передать в своей книге. В отличии от гос. пропаганды – на телеканале Хабар недавно вышел документальный фильм про Қаңтар, и там всё преподносится исключительно как попытка гос. переворота (но кто именно за ней стоит не называется).
ডিএম: অবশ্যই, আপনাকে বুঝতে হবে কোথায় এবং কখন। আলমাতিতে, কেউ স্কোয়ারে প্রতিবাদ করে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি করায় তার মৃত্যু হয় মৃত্যুদণ্ডে বা পরে নির্যাতনে এবং কেউ দোকানে ডাকাতি করে। বেসামরিক জনগণের আন্তরিক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পাশাপাশি পরিবর্তনের আশা ছিল যার লক্ষ্য, মোতের ঊপর একধরনের মতান্তর ছিল। উদাহরণস্বরূপ, কান্দি কান্তারের পরে আমরা দেখতে পাই নজরবায়েভ ক্ষমতা হারাতে শুরু করেন। ফলে তখন মৃত্যুদণ্ড, নির্যাতন, একধরনের অভিজাত খেলা, নাগরিক সংহতির অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ এবং একটি উন্নত ভবিষ্যতের বিশ্বাসের মতো অনেক কিছু ফিরে আসে। সম্প্রতি সংবাদ টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত কান্দি কান্তার সম্পর্কে নতুন তথ্যচিত্রে প্রদর্শিত রাষ্ট্রীয় প্রচারণার বিপরীতে, আমি আমার বইতে এসব বোঝানোর চেষ্টা করেছি। প্রচারণায় সবকিছুই একচেটিয়া সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এর পেছনে কারা ছিল তার কোনো তথ্য নেই।
আরএনএ: আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে কান্দি কান্তারের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সিএসটিও সৈন্যদের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র মোতায়েন। জানুয়ারির ঘটনার সময় আপনি কীভাবে তাদের ভূমিকা মূল্যায়ন করবেন?
ДМ: Крайне негативно, потому что это неприемлемо, когда вооружённые иностранцы – и неважно, как они называются: ОДКБ, НАТО, ООН – по твоей земле ходят. Необходимости в их присутствии не было. Более того, во время работы над книгой я сталкивался с людьми, бывшими в Алматы на площади Республики 6-го января, которые решили не пытаться убежать подальше от летящих в них пуль, а спрятаться и провести ночь в торговом центре “Алмалы” [на той же площади]. Они утверждают, что слышали армянскую и кыргызскую речь, а говор того русского языка, на котором говорили между собой некоторые солдаты, был явно не местный. Причём, мне также разные люди говорили, что видели ОДКБ в центре города, а не только возле гос. объектов. Пусть читатели сами судят о достоверности рассказов моих собеседников. По-моему, просто один авторитарный режим помог другому авторитарному режиму.
ডিএম: অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে, কারণ সিএসটিও, ন্যাটো, বা ইউএন — তাদের যে নামই হোক, সশস্ত্র বিদেশীদের আপনার জমিতে হাঁটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের উপস্থিতির কোন প্রয়োজন ছিল না। তাছাড়া বইটি নিয়ে কাজ করার সময় আমি ৬ জানুয়ারি আলমাতির কেন্দ্রীয় স্কোয়ারে উপস্থিত লোকদের সাথে দেখা করি। তারা তাদের লক্ষ্য করে উড়ে আসা গুলি থেকে পালানোর চেষ্টা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একই চত্ত্বরে অবস্থিত সেখানকার “আলমালি” শপিং সেন্টারে লুকিয়ে রাত কাটায়। তাদের দাবি তারা আর্মেনীয় ও কিরগিজ বক্তৃতা এবং কিছু সৈন্যকে নিজেদের মধ্যে রুশ ভাষার উপভাষা বলতে শুনেছে যা স্পষ্টতই স্থানীয় ছিল না। অধিকন্তু, বিভিন্ন লোক আমাকে শহরের কেন্দ্রে, কর্তৃপক্ষের দাবি অনুসারে যা শহরের কেন্দ্রের বাইরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বস্তুর কাছাকাছি নয় , সিএসটিও দেখার কথাও বলেছে। আমার সাথে কথোপকথনকারীদের গল্পগুলির নির্ভরযোগ্যতা পাঠকরা নিজেরাই বিচার করুন। আমার মতে, এটি কেবল একটি কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর অন্য একটি কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীকে সাহায্য মাত্র।
আরএনএ: প্রচুর গুরুত্ব সত্ত্বেও প্রায়শই রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার চ্যানেলে কান্দি কান্তার কভার করা হয় না। আপনি এ ব্যপারে কী বলেন?
ДМ: Властям мусолить эту тему не надо, потому что им-то это зачем? Они людей убивали, пытали – зачем? Государству это просто не нужно: они знают, что значительная часть населения сама всё видела и сама всё понимает. Властям некого переубеждать: люди смирились с пытками и убийствами – даже многие из тех, кто от них пострадал, тоже смирились. Никто ничего от властей не требует, вот они и не отвечают.
ডিএম: এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ভাবার দরকার নেই, কারণ তারা কেন করবে? তারা জনগণকে হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে—কেন [এটা আবার দেখবে]? রাষ্ট্রের শুধু এটির প্রয়োজন নেই, কারণ: তারা জানে জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিজেরাই সবকিছু দেখেছে এবং নিজেরাই সবকিছু বোঝে। কর্তৃপক্ষের কাউকে বোঝানোর নেই: জনগণ নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ছেড়ে দিয়েছে – এমনকি ভুক্তভোগীদের অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে কেউ কিছু চায় না বলে তারা সাড়াও দেয় না।