
কমনওয়েলথ যুব ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে একজন নাইজেরীয় ভাষণ দিচ্ছেন। ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবারে তোলা কমনওয়েলথ সচিবালয়ের ছবি (সিসি বাই-এনসি-এনডি ২.০)
আন্তর্জাতিক ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা ব্যবস্থা (আইইএলটিএস) সংস্কারের দাবিতে নাইজেরিয়ার যুব-নেতৃত্বাধীন প্রচারণা মঞ্চ পলিসি শেপার্স দ্বারা চালু করা একটি অনলাইন আবেদন মাত্র ১৪ দিনে প্রায় ৪০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।
আইইএলটিএস হলো জন্মগতভাবে ইংরেজিভাষী নয় এমনদের জন্যে পরিচালিত একটি পরীক্ষা। যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়ন, অভিবাসন বা কাজ করতে চাওয়া নাইজেরীয়দের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ দেওয়ার জন্যে এই পরীক্ষাটি বা এর সমতুল্য পরীক্ষা দিতে হয়। ১৯৮৯ সালে এর সূচনালগ্ন থেকে যৌথভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আইডিপি) অস্ট্রেলিয়া এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা মূল্যায়ন আইইএলটিএস পরিচালনা করে।
আবেদনের লেখকরা নাইজেরীয় নাগরিকদের ইংরেজি দক্ষতার পরীক্ষায় বসা থেকে অব্যাহতি চাইছেন। একাডেমিক পরীক্ষার জন্যে ৮৩ হাজার নায়রা (প্রায় ১৭,৩০০ টাকা) এবং সাধারণ পরীক্ষার জন্যে ৮৯ হাজার নায়রা (প্রায় ১৮,৭০০ টাকা))। অথচ মাত্র ১৬,০০০ নায়রা (প্রায় ৩,৪০০ টাকা) খরচের ফরাসি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা ডিএএলএফ পরীক্ষার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও আইইএলটিএস এর মেয়াদ মাত্র দুই বছর।
নাইজেরিয়ার অনলাইন সংবাদপত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র (আইসিআইআর) এর একটি প্রতিবেদনের প্রাক্কলনে ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পরীক্ষায় বসা ব্রিটিশ সরকার সম্ভাব্য নাইজেরীয় শিক্ষার্থী এবং ভিসা আবেদনকারীদের কাছ থেকে স্থূল লাভ হিসেবে ৬,৬৭৫ কোটি টাকা (প্রায় ৩২ হাজার কোটি নায়রা) উপার্জন করেছে।
২০২১ সালের ইএফ ইংরেজি দক্ষতা সূচকে নাইজেরিয়ার ইংরেজি দক্ষতার স্তর আফ্রিকায় তৃতীয়-সেরা এবং বিশ্বে ২৯তম অবস্থান লাভ করেছে। পলিসি শেপাররা যুক্তি দেখান যে নাইজেরিয়ার ইংরেজি দক্ষতার স্তর যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র ম্নত্রণালয়ের ছাড় দেওয়া ১৮টি দেশের কয়েকটির চেয়ে বেশি।
গ্রেট ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশ নাইজেরিয়ার লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা এবং স্কুলে শিক্ষার ভাষা ইংরেজি হলেও সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ এবং কমনওয়েলথভুক্ত নাইজেরিয়া এবং অন্যান্য আফ্রিকীয় দেশগুলি ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা আইইএলটিএস থেকে ছাড় পায়নি।
এখনি আইইএলটিএস সংস্কার করো!
অনেক সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারী বিশ্বাস করে যে আইইএলটিএস একটি পয়সা বানানোর উদ্যোগ:
No single Anglophone African country is exempted from writing the IELTS because they know we are their cash cow.
I can argue that majority of the profit from IELTS might come from Nigeria.
It’s time to put an end to this exploitation.#ReformIELTSPolicy pic.twitter.com/FCvFs2M0kp
— Uncle Charles (@AkwariCharles) January 26, 2022
আফ্রিকার ইংরেজিভাষী একটি দেশও আইইএলটিএস থেকে ছাড় পায়নি, কারণ তারা জানে যে আমরা তাদের দুধেল গাই।
আইইএলটিএস থেকে লাভের বেশিরভাগ হয়তো নাইজেরিয়া থেকে আসে বলে আমি যুক্তি দিতে পারি।
এই শোষণ বন্ধ করার এখনই সময়। #আইইএলটিএস_নীতি_সংস্কার_করো
I join Nigerians asking for a change in IELTS policy
Why should my English proficiency expire after 2yrs?
I heard the French proficiency test does not expire & it's way cheaper than IELTS
Help spread this till they respond. It's a win for all@UKinNigeria
— Samuel Ajayi 🇳🇬🗣️🌐 (@SamdGreat01) January 26, 2022
আইইএলটিএস নীতিতে পরিবর্তনের জন্যে আমি নাইজেরীয়দের সাথে আছি
আমার ইংরেজি দক্ষতা কেন ২ বছর পরে শেষ হবে?
আমি শুনেছি ফরাসি দক্ষতা পরীক্ষার মেয়াদ শেষ হয় না এবং এটা আইইএলটিএসের চেয়ে অনেক সস্তা
তারা সাড়া না দেওয়া পর্যন্ত এটি ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করুন। এটা সবার জন্য জয় @নাইজেরিয়ার_ইউকে
#আইইএলটিএস_নীতি_সংস্কার_করো
IELTS is pure extortion.
Nigeria with English as its lingua Franca should not be mandated to write IELTS before working or schooling in the U.K.
it makes no sense at all.I took up a job in the UK and I didn’t have communication issues even without IELTS#ReformIELTSPolicy
— General Okwulu Okalisia (@RapidMax01) January 26, 2022
আইইএলটিএস হলো খাঁটি চাঁদাবাজি।
যুক্তরাজ্যে কাজ করা বা পড়ার আগে লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ইংরেজিসহ নাইজেরিয়াকে আইইএলটিএস-এ বসতে বাধ্য করা উচিত নয়।
মোটেই এর কোনো মানে নেইআমি যুক্তরাজ্যে চাকরি নিয়েছি এবং আইইএলটিএস ছাড়াও আমার যোগাযোগের কোন সমস্যা নেই #আইইএলটিএস_নীতি_সংস্কার_করো
নাইজেরিয়ার উপ-রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়েমি ওসিনবাজো আইইএলটিএস সংস্কার করার দাবির সাথে একমত হয়েছেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর তারিখে ২০২১ সালে ম্যান্ডেলা ওয়াশিংটন ফেলো এবেনেজার উইকিনার সাথে কথা বলার সময়, ওসিনবাজো বলেন, “আমি সম্পূর্ণরূপে একমত যে একটি ইংরেজিভাষী দেশ হিসেবে, প্রতি দুই বছর পর পর বাধ্য হওয়ার বিপরীতে আমাদের কিছু ছাড় পাওয়া উচিত, বিশেষ করে একই পরীক্ষা কেউ যদি আগে পাস করে থাকে।”