বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গ্লোবাল ভয়েসেসের জীববৈচিত্র্যের সেরা গল্পগুলি

একটি চামড়াখড়ি কচ্ছপছানা সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে, টোবাগো, ২০১০। স্পিসিস এর সৌজন্যে রায়ান পি ম্যানেটের ছবি, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস – পরিবেশের অত্যাবশ্যকীয় গুরুত্ব সম্পর্কে বিশ্ব সচেতনতা বাড়াতে ১৯৭২ সালে জাতিসংঘ এই তারিখটি বেছে নিয়েছিল।

গ্লোবাল ভয়েসেস বছরের পর বছর ধরে পরিবেশগত সমস্যাগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করেছে এবং আমাদের গল্পগুলোর একটি কেন্দ্রবিন্দু জীববৈচিত্র্য যা পরিবেশগত অখণ্ডতার মৌল সূচক। একটি বাস্তু তন্ত্রে জীববৈচিত্র্যের মাত্রা তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার একটি পরিমাপক এবং জীববৈচিত্র্য কমে যাওয়া সমাজকে অতিরিক্ত জনসংখ্যা, অতি ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঘটানোর অন্যান্য অনেক কারণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়।

গ্লোবাল ভয়েসেসের অনেক গল্প জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব এবং বিশ্বজুড়ে এই প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত অসংখ্য অর্জন ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে। এই বছর পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার বিষযগুলো এখানে উপস্থাপন করা হলো:

জ্যামাইকাতে এই দ্বীপের মানুষের উপার্জনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস ৬৯টি প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে। জ্যামাইকার মৌমাছি বিষয়ে সক্রিয় কর্মীরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একটি দেশে জৈববৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য রাজধানী কিংস্টনে আরো সবুজ জায়গা বাড়ানোর জন্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।

নরম বা শক্ত খোলস যাই হোক ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কচ্ছপগুলো দেশের পরিবেশ-পর্যটন খাতের একটি স্তম্ভ এবং জীববৈচিত্র্যে অবদান রাখে। তবে মাংস, ডিম এবং খোলসের জন্যে সংগ্রহ করা হয় বলে এদের সবাই কিছুটা বিপদগ্রস্ত। তাছাড়া প্লাস্টিকের দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি এরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

২০ মে বিশ্ব মৌমাছি দিবস। মৌমাছির প্রাকৃতিক বাসস্থান একই ধরনের ফসল চাষ এবং কীটনাশকের কারণে ক্রমশ হুমকির মুখে রয়েছে। তারা পরাগায়নে ভূমিকা নিতে না পারলে খাদ্য সুরক্ষা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। মহামারীটিও মৌমাছিদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরী করেছে – লকডাউনের কারণে মৌ-পালনকারীদের সান্ধ্য আইন এড়িয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাতের বেলায় দরকারি মধুচক্রে স্প্রে করতে যেতে অসুবিধা হচ্ছে।

নেপালে মেছো বিড়াল হিসাবে পরিচিত বিড়ালের উপস্থিতি জলাভূমিগুলো যে বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে তার ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু দূষণ, জলাবদ্ধতা এবং অত্যাধিক মাছ ধরার পাশাপাশি মেছো বিড়াল শিকারের কারণে নেপালের জলাভূমির বাস্তুতন্ত্রের পুরো শৃঙ্খলা এখন হুমকির মধ্যে রয়েছে।

নেপাল থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সংবাদ। চোরাশিকারি বিরোধী এবং পরিবেশ-পর্যটনের বিভিন্ন পদক্ষেপকে ধন্যবাদ, যে কারণে গণ্ডারের স্থানীয় সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণী সংরক্ষণকে জোরদার করা যেতে পারে: এটাই মোটাস প্রকল্পের পেছনের ধারণা – যা পাখি, বাদুড় এবং পোকামাকড়ের স্থানান্তর অনুসরণ করতে স্বয়ংক্রিয় রেডিও টেলিমেট্রি ব্যবহার করে।

ক্যামেরুনে বনগুলো কেবল জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্র নয় – এগুলি শিম্পাঞ্জির অভয়ারণ্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সমাধিস্থল হিসেবেও  কাজ করে। ফলে কাঠ কাটা প্রকল্পগুলো এই অঞ্চলগুলোর মানুষ ও প্রাণী উভয়ের জন্যেই বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .