যদি আপনি ইন্টারনেটে বিড়াল খোঁজার জন্য নতুন কোন স্থান খুঁজতে যান, তাহলে জাপানের সড়কের বেড়াল বা রোজিউরা নেয়ানকিচি নামের এক ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে প্রবেশ করতে পারেন যার অনুসারীর সংখ্যা ১০০,০০০ জন।
পরিচয় হীন এই ফটোগ্রাফার ভবঘুরে বিড়ালদের বন্ধু এবং তিনি এই সকল বিডালদের হাজার হাজার ছবি তুলেছেন, আর জাপানের যে সকল এলাকায় তিনি এই সমস্ত ছবি তুলেছেন সেগুলোর নাম তিনি অপ্রকাশিত রেখেছেন।
শুভ নববর্ষ! আমরা ২০১৯ সালে প্রবেশ করেছি।
বিভিন্ন ভঙ্গিতে এইসকল বিডালের ছবি তোলা হয়েছে। এদের কেউ সরাসরি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অথবা কেউ গর্তে দাঁড়িয়ে ছিল, যেমন এখানে পিচের তৈরি রাস্তার মাঝে থাকা একমাত্র গর্ত থেকে উঁকি দিচ্ছে।
ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি খুব তাড়াতাড়ি রাস্তা পরিষ্কার করব
ভবঘুরে বিড়াল জাপানের এক সাধারণ দৃশ্য। জাপানের প্রায় ৩৫ শতাংশ বাড়িতে প্রাণী পোষা হয় এবং এদের অনেকে বাড়ির আদরের এক সদস্য হিসেবে আরাম আয়েশে জীবন করে, আর জাপানীরা এই সকল পোষা প্রাণীদের খুশী রাখার জন্য বছরে প্রায় ৩.৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৩.৮ বিলিয়ন ডলার) সম পরিমাণ অর্থ খরচ করে।
জাপানে প্রাণী পোষার বিষয়টি খুব জনপ্রিয়, তবে প্রাণী পোষার নিয়ম কানুন সম্বন্ধে পুরো ধারণা না নিয়েই অনেকে বিড়াল কিনে ফেলেন। কেনার পর যখন তারা আবিস্কার করেন এই সকল প্রাণী বিরক্তিকর, পূর্ণ বয়স্ক, এবং যৌনতা বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা রাখা বিড়াল আসলে কেমন, তখন তারা সেই বিড়ালকে রাস্তায় ছেড়ে দেয় বা পরিত্যাগ করে। আবার যখন পোষা প্রাণীর বয়স্ক মালিক ইহধাম ত্যাগ করে কিংবা বৃদ্ধনিবাসে আশ্রয় নেয়, আর তখন যত্নে পালিত প্রাণীটি পরিত্যাক্ত প্রাণীতে পরিণত হয়।
এই ধরনের ঘটনায় বিশাল পরিমাণ ভবঘুরে প্রাণী সারা দেশে ছড়িয়ে যায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ ইনস্টাগ্রামের এই বিড়ালের মত জনগণের আদর, খাবার এবং মনোযোগ লাভ করতে সমর্থ হয়।
২০১৮ সালকে ধন্যবাদ! […] আমি আশা করছি ২০১৯ সাল সকলের দারুণ যাবে।
1 টি মন্তব্য
I have red this news so nice for everybody .