প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার এবং একটিভিস্ট লিটো ওকাম্পো প্রায়শ তার নিজের জন্মস্থান পামপানা ঘুরে আসেন, মফস্বল এই শহরটি ফিলিপাইনসের লুজন দ্বীপের কেন্দ্রীয় এলাকায় অবস্থিত, মূলত দেশটির রাজধানী ম্যানিলার ভীড় আর ধূলার হাত থেকে পালাতে তিনি তার জন্মস্থান ঘুরে যান।
এই বেড়াতে আসার মধ্যে দিয়ে ওকাম্পো তার জন্মস্থানের পুরোন সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন, যা তাঁকে তার ছেলেবেলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
ছবির মাধ্যমে ওকাম্পো গ্লোবাল ভেয়েসেস-এ যা তুলে ধরেছেন তা কেবল নিচু এলাকায় অবস্থিত কৃষিজমি সম্বলিত গ্রামের প্রচলিত দৃশ্য নয়, একই সাথে সম্ভবত অনিচ্ছাকৃত ভাবে তুলে ধরা ফিলিপাইনসের কৃষির পরিস্থিতিও বটে।
যেমন এর এক উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সব সময় তার ছবিতে মহিষের উপস্থিতি সাধারণ ভাবে দেশটির কৃষি খাতের পশ্চাৎপদ অবস্থার বিষয়টি প্রতিফলিত করছে। রাস্তায় শস্য শুকানোর দৃশ্য দেশটির কৃষকদের সুবিধাদির অভাবের বিষয়টি নির্দেশ করছে।
আদ র্শ গ্রামীণ জীবন তুলে ধরা ছাড়াও, ওকাম্পো তরুণ ফটোগ্রাফারদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যেন তারা গ্রামের বাসিন্দা বিশেষ করে কৃষকদের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরে, যারা দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং ক্ষেতকে চাষের উপযোগী করে তোলার দায়িত্ব গ্রহণ করার করতে গিয়ে তারা যে কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করে, তার কারণে তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে যায়।
দেশটিতে যখন শহরায়ণ ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে, তখন ওকাম্পোর নিজের জন্মস্থান পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার কারণে দ্রুত এর কৃষি জমি বাণিজ্যিক জমিতে পরিণত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে। এভাবে ওকাম্পোর ছবি নাগরিকদের ভূমি ব্যবহারের সমস্যা, ভূমি সংস্কার সংক্রান্ত কর্মসূচি ও তার সার্বিক পরিস্থিতি এবং পরিবেশ রক্ষার মত অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ।
ওকাম্পোর ছবির মাধ্যমে আসুন পাম্পাগানার স্টা.রিটা এলাকায় এক ভার্চুয়াল ভ্রমণ করে আসি: