যারা ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে এমন ভূপর্যটক, পর্বত আরোহী, বন্যপ্রাণী প্রেমী এবং উত্তেজনা যাদের রক্তে তাদেরকে হিমালয় দুহিতা নেপাল সবসময় আকর্ষণ করে এসেছে। তবে যদি কেউ প্রজাপতি প্রেমী হয়ে থাকে তাহলে তার তীব্র আগ্রহ পুরণ করার জন্য নেপাল এক উপযুক্ত স্থান। ৬৫০ প্রজাতির প্রজাপতি সমৃদ্ধ নেপাল বিশ্বের ৩.৭২ শতাংশ প্রজাপতির আবাসস্থল।
নেপালের সব জায়গায় প্রজাপতি দেখতে পাওয়া যায়-দক্ষিণের সমতল ভূমির জঙ্গল থেকে উত্তরের পাহাড়ি এলাকার সর্বত্র। কাঠমান্ডু উপত্যকার চারপাশ হচ্ছে এক উত্তম এলাকা যেখানে এই উড়তে থাকা প্রাণীটিকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রজাপতি পর্যবেক্ষণের জন্য সবচেয়ে সেরা সময় হচ্ছে মার্চ থেকে জুন ও আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত।
সুশীল শ্রেষ্ঠা, একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। তিনি ১৫০ প্রজাতির প্রজাপতির ছবি ধারণ করেছেন যেগুলোকে নেপালে দেখতে পাওয়া যায়। নেপালের বাতাসে উড়ে বেড়ানো এই পতঙ্গটিকে দেখতে পাওয়া যায় দেশের সব জায়গায়, নীচু এলাকা থেকে ৩৮১০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত আপার মুস্টাং পর্যন্ত।
শ্রেষ্ঠা, যিনি জাতীয় পর্যায়ের অনেক ছবি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিজয়ী তিনি গ্লোবাল ভয়েসেসকে জানান “মানব জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রজাপতির আবাসস্থল প্রতিদিন ক্রমশ কমে আসছে”।
প্রকৃতি এবং বণ্যপ্রাণীর ছবি তোলার প্রতি দারুণ ভাবে আকৃষ্ট শ্রেষ্ঠা সবসময় নেপালের প্রজাপতির ছবি তুলে গেছেন এবং নেপালের সৌন্দর্য্য এবং দেশটির পর্যটনকে তুলে ধরার জন্য তিনি শক্ত মলাটে বাঁধানো আকারে বড় এক বই (কফি টেবিল বুক) প্রকাশের পরিকল্পনা করেছেন।
শ্রেষ্ঠার ক্যামেরায় তোলা নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রজাপতির ছবির কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
নেপালের প্রজাপতির নিয়ে কেবল শ্রেষ্ঠা একাই নথিবদ্ধের কাজ করছে না, কলিন স্মিথ নামের একজন বৃটিশ নাগরিক নেপালের প্রজাপতি নিয়ে গবেষণার জন্য দেশটিতে ৫০ বছরের বেশী সময় কাটিয়েছে।। তিনি দেশটির ৪০ টি জেলায় ঘুরে ২৫,০০০ প্রজাপতি সংগ্রহ করেছেন এবং “ইলাস্ট্রেটেড চেকলিস্ট অফ নেপালি বাটারফ্লাই” নামের একটি বই লিখেছেন।
স্মিথ যাকে পুটালি বাজে (প্রজাপতিদের দাদামশাই) নামে অভিহিত করা হয়, তার সংগ্রহে যে সমস্ত প্রজাপতি রয়েছে-সেগুলো কাঠমান্ডুর নেচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম; পোখরার অন্নপূর্ণা বাটারফ্লাই মিউজিয়াম এবং ধুলিখেলে অবস্থিত কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটিতে প্রদর্শিত হয়েছে।