ভারত শাসিত কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টুইটারসহ ২২টি সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে দিয়েছে।
২৬ এপ্রিল তারিখ রোজ বুধবারে জারি করা এবং গ্লোবাল ভয়েসেসের পাওয়া একটি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে উপত্যকার “শান্তি ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি”কে অস্থির করে তোলার জন্যে সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম পরিষেবাগুলোকে “অপব্যবহার করছে জাতি এবং সমাজ বিরোধী বিভিন্ন উপাদান” এবং এটি ৩০ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। একটি উদ্ধৃতাংশে বলা হয়েছে:
The government hereby directs all internet service providers that any message … through the following social networking sites shall not be transmitted in Kashmir Valley with immediate effect for a period of one month or till further orders, whichever is earlier.
এতদ্বারা সরকার সকল ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদেরকে নির্দেশ প্রদান করছে যে … অবিলম্বে কাশ্মীর উপত্যকায় নিম্নলিখিত সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি দিয়ে যে কোন বার্তা সম্প্রচার একমাস অথবা পরবর্তী আদেশ – যেটি আগে হয় – পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মুখে এই পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে একজন কাশ্মীরিকে একটা সামরিক জীপের সামনে বেঁধে রেখে কয়েকটি গ্রাম প্রদক্ষিণ করার অভিযোগে ভারতের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সমালোচিত হওয়ার পর এই পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে (গ্লোবাল ভয়েসেস প্রতিবেদন দেখুন)।
অনেক কাশ্মীরী নাগরিক ও ভারতীয়রা খোলাখুলিভাবে – ভারতের সংবিধানের নিশ্চয়তা প্রদান করা বাক স্বাধীনতার মৌলিক নীতি পরিপন্থী – এই ওয়েব নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে। তারা এই নিষেধাজ্ঞা প্রতিহত করার জন্যে সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। সাংবাদিক গওহর গিলানি টুইট করেছেন:
Frustrated by pro-Aazadi protests led by girls & boys across Kashmir Valley, the PDP-BJP Govt suspends 22 social networking sites 4 a month.
— Gowhar Geelani (@gowhargeelani) April 26, 2017
কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে ছেলেমেয়েদের নেতৃত্বে আজাদী-পন্থীদের বিক্ষোভে হতাশ হয়ে পিডিপি-বিজেপি (জন-গণতান্ত্রিক দল ও ভারতীয় জনতা দল জোট) সরকার ২২ টি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটকে এক মাসের জন্যে স্থগিত করেছে।
World's ‘largest democracy’ is so scared of truth coming out of Kashmir that it has to block social media for a month. Hiding war crimes!
— Gowhar Geelani (@gowhargeelani) April 26, 2017
সত্য কাশ্মীরের বাইরে বেরিয়ে আসার ভয়ে ভীত হয়ে বিশ্বের ‘বৃহত্তম গণতন্ত্র’ এক মাসের জন্যে সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধ গোপন করছে।
কাশ্মীরের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মুখে এই পদক্ষেপটি এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (এএফএসপিএ)-এর অধীনে নিয়োজিত কঠোর পদক্ষেপ কৌশলের মাধ্যমে “বিশৃঙ্খল” হিসেবে বিবেচিত অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভগুলি তীব্রতর হয়ে উঠেছে। নীতিটি এই পদটির মাধ্যমে চিহ্নিত অঞ্চলগুলিতে নেওয়া পদক্ষেপের জন্যে কর্মকর্তাদের ব্যাপক আইনী দায়মুক্তি প্রদান করেছে। ১৯৯২ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য এএফএসপিএ-এর অধীনে রয়েছে। বর্তমানে এখানে সাত লক্ষেরও বেশি সেনা মোতায়েন থাকায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকা।
সম্প্রতি ৯ এপ্রিল তারিখে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা রাজ্যের নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানালে বড় ধরনের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। এর ফলে ৯ জন নিহত হয় (গ্লোবাল ভয়েসেস প্রতিবেদন দেখুন)।
ইজাইন ডেইলিও.আইএন এর জন্যে লেখায় অংশুকান্ত চক্রবর্তী ভারতীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ে ভিন্নতর একটি বিবরণ প্রদর্শনের কারণে কাশ্মীরের সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন:
By presenting the other side to the Kashmir storyline, the locals once again were able to own for a while what constitutes the highly complex and conflicted Kashmir narrative, something that made the government extremely uncomfortable, and it was left without a moral high ground.
কাশ্মীরের কাহিনীর অন্য দিকটি উপস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয়রা আবারও অল্প সময়ের জন্যে হলেও কাশ্মীরের অত্যন্ত জটিল ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ বর্ণনা দিতে সক্ষম হওয়ায় সেটা সরকারকে নৈতিকতার উচ্চ অবস্থান থেকে সরিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তিকর জায়গায় নামিয়ে এনেছে।
‘জাতীয়তাবিরোধী’ বক্তৃতা থামাতে সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম অবরোধ
অতীতের ভারতীয় সরকার কাশ্মীর উপত্যকায় ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলির কিছু ফ্রিকুয়েন্সি আলাদা করে দিয়ে ইন্টারনেট সেন্সর করলেও বিক্ষোভ দমনের জন্যে এত বড় আকারে সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলিকে অবরুদ্ধ করা একটি অসাধারণ ঘটনা। ভারতীয় সরকার তার নীতির সমালোচক – সেটা চলচ্চিত্র নির্মাতা, অ্যাক্টিভিস্ট বা এনজিও যেই হোক না কেন – তাদের প্রশ্ন করতে “জাতীয়তা-বিরোধী” শব্দটি প্রায়ই ব্যবহার করে থাকে।
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টুইটারের পাশাপাশি উপত্যকার চীনা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম যেমন কিউকিউ, বাইদু এবং উইচ্যাটকে নিষেধাজ্ঞাটির লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। কিউজোন, গুগল প্লাস, স্কাইপ, পিন্টারেস্ট, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, ভাইন এবং ফ্লিকারকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Here is a copy of the order issued by the government, blocking Facebook, WhatsApp, twitter and other apps in #Kashmir. pic.twitter.com/zneL9Fg4uk
— Ieshan Wani (@Ieshan_W) April 26, 2017
এখানে #কাশ্মীরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশান অবরুদ্ধ করতে সরকারের জারি করা আদেশটির একটি অনুলিপি রয়েছে।
বাঙ্গালোর-ভিত্তিক সফটওয়্যার স্বাধীনতা আইন কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীর ২০১২ সাল থেকে ২৮বার ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া দেখেছে। এটা যে কোনো ভারতীয় রাজ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৃষ্ট বিক্ষোভের ফলে সরকার পাঁচ মাসের জন্যে ইন্টারনেট তরঙ অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। এই স্বাধীনতাকামী জঙ্গি নেতার মৃত্যুতে হিমালয় অঞ্চল জুড়ে বড় বড় প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল।
ইন্টারনেট নীতি বিশেষজ্ঞ এবং ডিজিটাল অধিকার এনজিও এখনি প্রবেশ–এর সমন্বয়ে প্রণীত ইন্টারনেট বন্ধের একটি জন-উত্সারিত সংজ্ঞা এগুলোকে নিম্নলিখিতভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে:
একটি ইন্টারনেট বন্ধ হলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী অথবা চৌহদ্দিতে অপ্রবেশ্য অথবা কার্যকরভাবে অব্যবহারযোগ্য করে তোলা ইন্টারনেট বা ইলেকট্রনিক যোগাযোগের একটি ইচ্ছাকৃত বিঘ্নতা।
পদক্ষেপটি – দেশীয় এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার পর্ষদের সদস্য – উভয় হিসেবেই ভারতের মানবাধিকার অঙ্গীকারের একটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন তুলে ধরেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্ষদে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে গৃহীত একটি সিদ্ধান্তে ইন্টারনেট বন্ধের নিন্দা জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত ৩২/১৩ এর অনুচ্ছেদ ১০-এ লেখা রয়েছে:
[মানবাধিকার পর্ষদ] দ্ব্যর্থহীনভাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন করে অনলাইন তথ্যে প্রবেশাধিকার বা প্রচারে ইচ্ছাকৃত নিরস্ত অথবা বিঘ্ন সৃষ্টি করার পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে সমস্ত রাজ্যকে এই ধরনের পদক্ষেপগুলি থেকে বিরত থাকা ও অবসানের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ ও অ্যাক্টিভিস্টদের মতামত
টুইটের একটি ধারাবাহিকের মাধ্যমে ভারতীয় ডিজিটাল গোপনীয়তা এবং গণযোগাযোগ মাধ্যম আইন বিশেষজ্ঞ প্রানেশ প্রকাশ ব্যাখ্যা করেছেন কেন এই নিষেধাজ্ঞাটি অবৈধ:
3/ I'd argue this is illegal: (1) s.5(2) of Telegraph Act may not be used for blocking of Internet services when s.69A of IT Act exists.
— Pranesh Prakash (@pranesh) April 26, 2017
৩/ আমি এটাকে অবৈধ বলবো: আইটি আইনের ৬৯ক বিদ্যমান থাকা অবস্থায় ইন্টারনেট পরিষেবা অবরুদ্ধ করার জন্যে টেলিগ্রাফ আইনের (১)-এর ৫(২) ব্যবহার করা যাবে না।
4/ I'd argue this is unconstitutional: (2) Blocking 22 widely-used platforms cannot be held to be a “reasonable restriction” u/Art 19(2).
— Pranesh Prakash (@pranesh) April 26, 2017
৪/ আমি বলতে চাই এটি অসাংবিধানিক: (২) ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা ২২টি প্ল্যাটফর্মকে অবরুদ্ধ করা ১৯(২) ধারার আওতায় একটি “যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ” হতে পারে না।
5/ It violates intl law: (3) This order violates Art.19 of ICCPR: Not provided by Telegraph Act, no legitimate aim, no proven necessity.
— Pranesh Prakash (@pranesh) April 26, 2017
৫/ এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: (৩)এই আদেশটি আইসিসিপিআর (নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি) ১৯ লঙ্ঘন করেছে: স্বতন্ত্র আইন লঙ্ঘন করে: টেলিগ্রাফ আইনে নেই, বৈধ কোন লক্ষ্য নেই, নেই কোন প্রমাণিত প্রয়োজনীয়তা।
কেউ কেউ বলছেন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রতিরোধ বন্ধ করা যাবে না:
Bans are temporary. Resistance is permanent.
— Kaiser Majeed (@iKaicer) April 27, 2017
নিষেধাজ্ঞাগুলো অস্থায়ী। প্রতিরোধ স্থায়ী।
A screenshot of the mobile screen of a #Kashmir activist after the social media ban. pic.twitter.com/LVcWp1IlNh
— faysal (@_Faysal) April 27, 2017
সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম নিষেধাজ্ঞার পর একজন #কাশ্মীর অ্যাক্টিভিস্টের মোবাইল পর্দার একটি স্ক্রিনশট।
এছাড়াও নিষেধাজ্ঞাটি অনলাইনে সক্রিয়তার নতুন তরঙ্গ সৃষ্টি করেছে:
Cmon guys let's make a hashtaq for internet ban in #Kashmir Let world know darkness we r reeling under Tweet using #KashmirwithoutInternet
— Kashmirinternetban (@umermystic) April 26, 2017
আসুন সবাই #কাশ্মীর-এর ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হ্যাশট্যাগ তৈরি করি। #ইন্টারনেটবিহীনকাশ্মীর ব্যবহার করে বিশ্বকে জানতে দিন আমরা যে অন্ধকারে ঘুরপাক খাচ্ছি
Indian govt ban internet in Kashmir. now you can read our posts on walls of Kashmir now each & every corner of Kashmir will be our timeline
— Irshad Nabi (@kashmir_rise) April 26, 2017
ভারতীয় সরকার কাশ্মীরে ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করেছে। এখন আপনারা কাশ্মীরের দেয়ালে দেয়ালে আমাদের পোস্ট পড়তে পারেন। কাশ্মিরের প্রতিটি কোণ আমাদের টাইমলাইন হয়ে উঠবে
Last year they imposed curfew.We were without food & other stuff. Barring internet is not a big deal. We will sustain our struggle. #Kashmir
— Haziq Qadri (@haziq_qadri) April 26, 2017
গত বছর তারা সান্ধ্য আইন জারি করেছিল। আমাদের খাদ্য ও অন্য কিছু ছাড়া ছিলাম। ইন্টারনেট অবরোধ তেমন কিছু নয়। আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। #কাশ্মীর
E-curfew in Kashmir. Social media banned. What next? Ban on TV channels, so no news can come out of the Valley?
— Harinder Baweja (@shammybaweja) April 27, 2017
কাশ্মীরে ই-সান্ধ্য আইন। সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ। এরপর কী? টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ, যেন উপত্যকা থেকে কোন খবর বেরিয়ে আসতে না পারে?
অন্যান্যরা নিষেধাজ্ঞাটির কোনও কারণ খূঁজে পায় নি:
The Resistance in #kashmir Was there when There was no #Internet so Banning Social Media Will not Change Anything
We resist We Exist— Musa Kashmiri (@Musa_Kashmiri) April 26, 2017
#ইন্টারনেট না থাকলেও #কাশ্মীর-এ প্রতিরোধ চলছে। সুতরাং সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করে কোন কিছু পরিবর্তন করা যাবে না।
আমরা প্রতিহত করি বলেই আমরা অস্তিত্বশীল
You're entitled to your opinion. So are we. To justify banning social media is not okay, and playing the victim even more. https://t.co/4I17CMUzwb
— faysal (@_Faysal) April 27, 2017
আপনি আপনার মতামতের অধিকারী। তেমনি আমরাও। সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করা ঠিক নয়, এবং শিকারকে আরও বেশি খেলা হচ্ছে।
মীর লায়েক একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন:
এই ধরনের কাঁচা সাহস এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা “ক্রোধ” বা “বেপরোয়াভাব” এরই একটি সরল অভিব্যক্তি হিসেবে মেনে নিতে পারা বা না পারাটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে কোন কিছুর তুলনায় রাস্তায় থাকা জনগণই সবসময় সাহসের সঙ্গে কাশ্মীরে ভারতীয় সামরিক দখলদারিত্বের প্রচার মাধ্যমের প্রচার মাধ্যমের তৈরি করা বিভ্রান্তির বেশি মোকাবেলা করে এসেছে এবং এই প্রতিরোধ – ইনশাল্লাহ (ঈশ্বর চাইলে) শীঘ্রই – আজাদির (স্বাধীনতা) ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে!
‘শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা'র অজুহাতে একটানা সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম সেন্সর করে শান্তি বা শৃংখলা আনা যাবে না। এই ধরনের ব্যাপক সেন্সর ভারত যেই গণতান্ত্রিক আদর্শ এবং মানবাধিকারকে সমুন্নত করতে চায় তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
স্ক্রল.আইএন-এ্র একটি প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে:
ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্যে একটি বৈধ নিরাপত্তার বিষয় থাকতে পারে, তবে এর জন্যে দেয়া মূল্যের বিনিময়ে প্রাপ্ত সুবিধা পরখ করে তা নিয়ে প্রকাশ্যে জোরালো বিতর্কের প্রয়োজন। যখন এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা) ছিল, তখন তা নিষিদ্ধ করে কি সত্যিই পাথর ছোঁড়া কমানো গিয়েছে? সমাবেশ করার জন্যে যারা ডেটা পরিষেবা ব্যবহার করে ডিজিটাল ভারতের কায়দা-কানুনকে অসহায় করে রেখে তারা কি শুধু অন্য প্লাটফর্মে স্থানান্তরিত হয়নি? এটা কি কেবল প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হতে থাকা একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের অসারতা নয়?