শুধু ভ্রমণের জন্যে নয় অংকনের চর্চা করার জন্যেও তারা বাস, ট্রেন, এবং প্লেনে চড়ে।
ভ্রমণের সময় গণপরিবহনের বিভিন্ন দেয়ালে ছবি এঁকে সময়ের উৎপাদনশীল ব্যবহার করা আঁকিয়েদের কর্মের প্রদর্শনী করার জন্যে এক বছরের বেশি সময় আগে গণপরিবহনে যাতায়াতকারী আঁকিয়েদের ফেসবুক গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গোষ্ঠীটি সিঙ্গাপুর ছাড়াও অন্যান্য দেশের শিল্পীদের অংকনও তুলে ধরে থাকে।
এরূপ আঁকিয়েদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সিঙ্গাপুরের শিল্পী ও শিক্ষক এরউইন লিয়ান ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি কেন গণপরিবহনে ব্যবস্থাকে শিল্পীদের জন্যে একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম মনে করেন:
আমি মনে করি গণপরিবহন ব্যবস্থা খুব অনন্য এবং শান্তিপূর্ণ একটা স্থান। আপনার এই চাকা বা পাখাবিশিষ্ট চলন্ত বাক্সটিতে (গণপরিবহন) সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্য থাকতে পারে, কারণ আক্ষরিক অর্থেই এটা সবাইকে একটা সাধারণ গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে। কোথাও একসঙ্গে যাওয়ার ধারণাটা আমার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়। তাছাড়া ছোট্ট একটা জায়গায় আঁকার জন্যে এতগুলো মুখভঙ্গীর উপস্থিতিও আমাকে উদ্দীপ্ত করে। চারুকলায় আমার প্রথাগত প্রশিক্ষণ এবং প্রথাগত শিল্পের প্রতি ক্ষীণ আগ্রহ আমাকে আমি যা ভালবাসি সেটার চর্চা করার জন্যে গণ যাতায়াতে একটা অনন্য, নিরাপদ এবং নিবিড় সুযোগ উপস্থাপন করেছে।
তিনি আরো বলেছেন যে কানাডার একইরকম আরেকটি কর্মসূচী থেকে গণপরিবহনে যাতায়াতকারী আঁকিয়েদের ধারণাটি অনুপ্রাণিত হয়েছে:
আমি কানাডীয় পাতাল রেল থেকে খুবই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তাদের ‘রেখা-দিয়ে-চিত্র-আঁকা’র একটি কর্মসূচী রয়েছে যেখানে তারা এরূপ আঁকিয়েদের তাদের কাজ জমা দেয়ার আমন্ত্রণ জানায়। তারপর তাদের কাজগুলো পুরো পরিবহন পথে প্রদর্শন করে থাকে। আমি এটাকে এক ধরনের অত্যন্ত গঠণমূলক উদ্যোগ মনে করি। গণপরিবহনে যাতায়াতকারী আঁকিয়েদের বিজ্ঞাপনের একটি স্থান করে দেয়া তাদের অত্যন্ত মহানুভবতা।
গণপরিবহনে যাতায়াতকারী আঁকিয়েদের আরেকজন সক্রিয় সদস্য আলভিন মার্ক ত্যান বাস বা ট্রেন ওঠা অনেক মানুষকেই তাদের চারপাশে যা ঘটে চলছে সে সম্পর্কে অসচেতন দেখে তিনি অবাক হয়ে যান:
সাধারণভাবে জনগণ তাদের মোবাইল যন্ত্রের প্রতি এতটাই সেঁটে থাকে যে আমি যে তাদের স্কেচ করছি অথবা এমনকি তাদের চারপাশে যা ঘটছে সে বিষয়ে তাদের কোন খেয়ালই থাকে না।
তিনি গণপরিবহনে যাতায়াতকারী আঁকিয়েদের জন্যে মৌলিক বিষয়াবলীর বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত নির্দেশনামূলক ভিডিও প্রস্তুত করেছেন: