গতকাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট মিখাইল সাকাসভিলির অনুগত ইউএনএম (সম্মিলিত জাতীয় আন্দোলন)- বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত একটি শীর্ষস্থানীয় চ্যানেল রুস্তাভি ২-এর মালিকানার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত রায় দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ায় জর্জিয়ায় বিশেষ করে রাজধানী তিবিলিসিতে জনগণ চাপা উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।
ইউএনএম সরকারের বাইরে থাকা কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রুস্তাভি ২ জর্জিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিজিনা ইভানিশভিলি সমর্থিত ইউএনএম-এর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন জর্জীয় স্বপ্ন জোট সরকারের উপর সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রচারের একটি উৎসে পরিণত হয়েছে।
নতুন মালিকদের কাছে রুস্তাভি ২-এর সম্ভাব্য স্থানান্তরের প্রতিবাদে জনগণ এই বিশাল সংখ্যায় – কোন কোন হিসেব অনুসারে প্রায় ১০,০০০ জন – এই সপ্তাহান্তে তিবলিসির কেন্দ্রে জড়ো হয়েছে।
Тысячи людей в Тбилиси?? пришли на митинг в защиту оппозиционного телеканала “রুস্তাভি ২”. pic.twitter.com/C2Jh5GGAhb
— আলেকজান্ডার (@আভাজা১৯৭২) ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
হাজার হাজার লোক বিরোধীদলীয় টিভি চ্যানেল রুস্তাভি ২-এর সমর্থন সভায় তিবিলিসিতে এসেছিল।
রুস্তাভি ২ নিয়ে ধস্তাধস্তিটি প্রলম্বিত হয়েছে অন্তত: সেই ২০১৫ সালের শরৎকাল থেকে, আর এখন একটি উপসংহারে পৌঁছাচ্ছে।
তিবিলিসি-ভিত্তিক নজরদারি সংস্থা ডিএফ-ওয়াচ অনুসারে:
সুপ্রিম কোর্টকে সাকাসভিলি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময় তাকে তার টিভি কোম্পানীটির মালিকানা ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি করে কোম্পানিটির একজন সাবেক মালিক কিবার খাল্ভাশি’র রুস্তাভি ২-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি বেসরকারি মামলার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। তিনি তিবলিসি মহানগর আদালত এবং আপীল আদালতেও জয়ী হয়েছেন।
এই ব্যবসায়ী দেশটির বিচার বিভাগীয় চূড়ান্ত আশ্রয় সুপ্রিম কোর্টে জিতে গেলে তিনি কোম্পানিটি নিজের কাছে নিয়ে সেখানে নতুন একটি ব্যবস্থাপনা বসাতে পারবেন।
ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে এবং তাদের সমর্থন নিয়ে কাজ করছেন বলে খাল্ভাশির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে; সুতরাং মামলায় তার বিজয়ী হওয়ার অর্থ হতে পারে যে রুস্তাভি ২ তার সম্পাদকীয় স্বাধীনতা হারাবে বলে ইউএনএম এবং কিছু বিশ্লেষক মনে করেন।
রুস্তাভি ২ সাকাসভিলির দলের একটি জোরালো সমর্থক এবং সরকারবিরোধী সমালোচনার কণ্ঠস্বর।
আদেশটিকে জর্জিয়ার বিচারিক প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি মুখ্য পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ ককেশাসের দেশটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক হলেও সোভিয়েত স্টাইলের কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যটি জাতীয় রাজনীতির উপর তার কালো ছায়া ফেলছে।
রুস্তাভি ২-এর ভাগ্য নিঃসন্দেহে জর্জিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, বাকস্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র বেঁচে থাকতে পারে না!
— একা টিকেশেলাশভিলি (@টিকেশো৩) ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
ইউএনএম সমর্থকরা শুধু চ্যানেলটির সম্ভাব্য নপুংসক করণ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়।
#মিডিয়া সমাজের একটি প্রাকৃতিক মিত্র। এটা ত্রুটিগুলো দেখাতে পারে! … আর কখনো ভুল করবেন না যেটা ইতোমধ্যে আপনার বিরোধীরা করেছে। #রুস্তাভি ২ সমর্থন করুন
— জর্জি কবিরিদজ (@জর্জি কব) ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
#জর্জিয়া‘র মুক্ত মিডিয়ার উপর বড় আঘাত; সরকার রুস্তাভি ২-কে তার অনুগতদের কাছে হস্তান্তর করতে যাছে। https://t.co/gkkVDsoXrc pic.twitter.com/CQctAi2Vfk
— দেবী দাম্বাদজ (@ইলিকিলার) ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
উপরে উল্লিখিত টুইটটিতে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে চলমান আইনি লড়াই এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের উপর চাপ প্রয়োগের কথিত অভিযোগে রুস্তাভি ২ সপ্তাহান্ত জুড়ে সম্প্রচার বন্ধ করে রেখেছে। তারপর থেকে এটা সম্প্রচার-তরঙ্গে ফিরেছে।
#রুস্তাভি ২ সম্প্রচারে ফিরে এসেছে। #রাস্তেভিলিওভি #বাকস্বাধীনতা #তিবিলিসি –এ #প্রতিবাদ pic.twitter.com/poX4v7Lfrw
— আন্না মাখরাদজ (@ মাখরাদজিয়ানা১) ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
সুপ্রিম কোর্ট কখন রুলিং (সিদ্ধান্ত) জানাবে সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।
1 টি মন্তব্য
এই দেশের আয়ের ব্যবস্থা কি রকম ?