জর্জিয়াতে প্রধান সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান দখলের যুদ্ধ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট মিখাইল সাকাসভিলির অনুগত ইউএনএম (সম্মিলিত জাতীয় আন্দোলন)- বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত একটি শীর্ষস্থানীয় চ্যানেল রুস্তাভি ২-এর মালিকানার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত রায় দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ায় জর্জিয়ায় বিশেষ করে রাজধানী তিবিলিসিতে জনগণ চাপা উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।

ইউএনএম সরকারের বাইরে থাকা কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রুস্তাভি ২ জর্জিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিজিনা ইভানিশভিলি সমর্থিত ইউএনএম-এর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন জর্জীয় স্বপ্ন জোট সরকারের উপর সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রচারের একটি উৎসে পরিণত হয়েছে।

নতুন মালিকদের কাছে রুস্তাভি ২-এর সম্ভাব্য স্থানান্তরের প্রতিবাদে জনগণ এই বিশাল সংখ্যায় – কোন কোন হিসেব অনুসারে প্রায় ১০,০০০ জন – এই সপ্তাহান্তে তিবলিসির কেন্দ্রে জড়ো হয়েছে।

হাজার হাজার লোক বিরোধীদলীয় টিভি চ্যানেল রুস্তাভি ২-এর সমর্থন সভায় তিবিলিসিতে এসেছিল।

রুস্তাভি ২ নিয়ে ধস্তাধস্তিটি প্রলম্বিত হয়েছে অন্তত: সেই ২০১৫ সালের শরৎকাল থেকে, আর এখন একটি উপসংহারে পৌঁছাচ্ছে।

তিবিলিসি-ভিত্তিক নজরদারি সংস্থা ডিএফ-ওয়াচ অনুসারে:

সুপ্রিম কোর্টকে সাকাসভিলি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময় তাকে তার টিভি কোম্পানীটির মালিকানা ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি করে কোম্পানিটির একজন সাবেক মালিক কিবার খাল্ভাশি’র রুস্তাভি ২-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি বেসরকারি মামলার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। তিনি তিবলিসি মহানগর আদালত এবং আপীল আদালতেও জয়ী হয়েছেন।

এই ব্যবসায়ী দেশটির বিচার বিভাগীয় চূড়ান্ত আশ্রয় সুপ্রিম কোর্টে জিতে গেলে তিনি কোম্পানিটি নিজের কাছে নিয়ে সেখানে নতুন একটি ব্যবস্থাপনা বসাতে পারবেন।

ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে এবং তাদের সমর্থন নিয়ে কাজ করছেন বলে খাল্ভাশির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে; সুতরাং মামলায় তার বিজয়ী হওয়ার অর্থ হতে পারে যে রুস্তাভি ২ তার সম্পাদকীয় স্বাধীনতা হারাবে বলে ইউএনএম এবং কিছু বিশ্লেষক মনে করেন।
রুস্তাভি ২ সাকাসভিলির দলের একটি জোরালো সমর্থক এবং সরকারবিরোধী সমালোচনার কণ্ঠস্বর।

আদেশটিকে জর্জিয়ার বিচারিক প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি মুখ্য পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ ককেশাসের দেশটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক হলেও সোভিয়েত স্টাইলের কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যটি জাতীয় রাজনীতির উপর তার কালো ছায়া ফেলছে।

ইউএনএম সমর্থকরা শুধু চ্যানেলটির সম্ভাব্য নপুংসক করণ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়।

উপরে উল্লিখিত টুইটটিতে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে চলমান আইনি লড়াই এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের উপর চাপ প্রয়োগের কথিত অভিযোগে রুস্তাভি ২ সপ্তাহান্ত জুড়ে সম্প্রচার বন্ধ করে রেখেছে। তারপর থেকে এটা সম্প্রচার-তরঙ্গে ফিরেছে।

সুপ্রিম কোর্ট কখন  রুলিং (সিদ্ধান্ত) জানাবে সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .