অনলাইন তথ্যচিত্রে বুলগেরিয়ার কিশোরী মায়েদের গল্প

ইরিনা ডাস্কালোভার “ঐ মায়েরা কারা“ তথ্যচিত্রের একটি ফ্রেম

স্বাস্থ্য ও যৌন শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেয়া বেসরকারী সংস্থা বুলগেরীয় পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (বিএফপিএ) বাল্য বয়সে সন্তান জন্ম দেয়া পাঁচজন নারী সম্পর্কে পুরস্কার বিজয়ী তথ্যচিত্র “ঐ মায়েরা কারা” ইউটিউবে প্রকাশ করেছে।

ইংরেজি সাব-টাইটেলসহ ৩০-মিনিটের বুলগেরীয় ভাষার ২০১১ সালের ফিল্মটির সীমানা বিস্তৃত। আসল কথা, কিশোরীদের গর্ভধারণ এবং বাল্যবিবাহ বিশ্বব্যাপী সমস্যা।

বিএফপিএ বলেছে  চিত্রনির্মাতারা অনুগ্রহ করে তাদেরকে তথ্যচিত্রটি ইউটিউবে সহজলভ্য করতে দিয়েছেন। ফিল্মটির বর্ণনায় রয়েছে:

জি ১৫ বছর বয়েসী। তার দ্বিতীয় বাচ্চা গর্ভে ধারণের চার মাস চলছে। তার যখন চৌদ্দ বছর বয়সে সে তার প্রথম পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। সে বুলগেরিয়ার প্রতিবছর ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে সন্তান ধারণ করা প্রায় ৫,০০০ মেয়ের একজন। তাদের কারণ যাই হোক না কেন, তারা সবাই “শিশু-মা“ – যারা নিজেদের শিশুদের লালন-পালন করছে। প্রায়ই তাদের নিজেদেরকে নিজেদের জীবন বেছে নেয়ার কোন সুযোগ দেয়া হয় না এবং তারা আটকে পড়ে থাকে নিরক্ষরতা, বেকারত্ব আর দারিদ্র্যের বদ্ধ আবর্তে। আর তাদের সন্তানেরা এবং তাদের সন্তানদের সন্তানেরা খুব সম্ভব একই আদর্শের পুনরাভিনয় করবে যেহেতু তারা জীবনের যে আরো অনেক সুযোগ রয়েছে তা জানতে পারেনা। ঐ মায়েরা কারা?

২০১২ সালের মার্চ মাসে তথ্যচিত্রটি ৫ম রোমা লাইফ মধ্য ইউরোপীয় তথ্যচিত্র উৎসবে একটি পুরস্কার জেতে। ইউএনএফপিএ – জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল তাদের একটি ইভেন্টে ফিল্মটি  প্রদর্শন করেছে

পরিচালক ইরিনা ডাস্কালোভা আরো কয়েকটি ফিল্ম নির্মাণ করতে যাচ্ছেন।  বিএফপিএ যৌন ও প্রজনন বিষয়ক স্বাস্থ্য ও অধিকারের উপর শিক্ষাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .