‘দুর্নীতির দ্বার খুলতে’ পারা আইনে নতুন বুলগেরীয় প্রেসিডেন্টের ভেটো

President.bg (প্রেসিডেন্ট.বিজি)-তে বিমানচালক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবনের বিস্তারিত বিবরণসহ বুলগেরীয় প্রেসিডেন্ট রোমিন রাদেভের অফিসিয়াল সিভি উপস্থাপনের একটি স্ক্রিনশট। পাতাটি এখনো ইংরেজিতে পাওয়া যাচ্ছে না।

বুলগেরীয়রা নতুন একজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে এবং খুব সাবধানে তারা তার প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিশ্ব খুব অস্থিরতার মধ্যে থাকলেও রোমিন রাদেভ বুলগেরীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সমর্থন নিয়ে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হন। ২২ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যভার গ্রহণ করেছেন।

উদ্বোধন পরবর্তী দশ দিনে তার প্রথমদিকের অন্যতম একটা পদক্ষেপ হলো নতুন ছাড় আইনে ভেটো প্রদান যা খাবার পানির মতো প্রাকৃতিক সম্পদ শিল্প নিয়ে ব্যবসায়িক লেনদেনকে নিয়ন্ত্রণ করবে। পূর্ববর্তী সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে আইনটি পাস হয়। এতে ছাড় চুক্তিগুলোর সর্বোচ্চ ৩৫ বছরের  মেয়াদ বিলুপ্তির সুযোগ ছাড়াও সরকারি মন্ত্রী ও মেয়রদের একটি ছাড় প্রক্রিয়া শুরু করার অধিকার দেয়া হয়েছে।

আগের ক্ষমতাসীন দল আইনটির প্রতি সমর্থন জানালেও পরিবেশবাদী সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন ও ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী দলগুলোর সবাই বিভিন্ন কারণে এটা গ্রহণ করতে আপত্তি জানিয়েছে। রাদেভের নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক  নাটক এবং দুর্নীতির প্রতি যে জনপ্রিয় অসন্তোষ তাকে ক্ষমতায় আরোহণে সাহায্য করছে তার আলোকে এই ভেটো এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে জুড়ে এটির প্রতি সমর্থনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নতুন ছাড় আইনটি ছাড়প্রাপ্তদের সীমাহীন অধিকার দিতে পারে বলে পরিবেশবাদীগুলো সংগঠন প্রতিবাদ করেছে, জানিয়েছে জাতীয় সংবাদ সংস্থা বিটিএ। ডানপন্থী জোট নয়া প্রজাতন্ত্র অভিযোগ করেছে যে আইনটি করপোরেট স্বার্থ রক্ষা  করবে এবং দশকের পর দশক ধরে “সঠিক কোম্পানিটি”র জন্যে লোভনীয় শহর পরিচ্ছন্নতার ছাড়গুলো পাকাপাকি করে ফেলাই এর লক্ষ্য। নয়া প্রজাতন্ত্র এবং ট্রেড ইউনিয়ন পদক্রিপা উভয়েই যুক্তি দেখিয়েছে যে সংসদের মেয়াদ ফুরোনোর ঠিক আগে আগে তাড়াহুড়ো করে আইনটি গৃহীত হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জর্জি পারভানভ (২০০২-২০১২) দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে ভেটো প্রদান করেন এবং বুলগেরীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা কোর্নেলিয়া নিনোভা, রাদেভকে অভিনন্দন জানান – যেটিকে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি এবং জনস্বার্থ রক্ষার অবস্থান বলে অভিহিত করেছেন।

ভেটো প্রদানের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রেসিডেন্ট রাদেভ বলেছেন আইনটি “দুর্নীতির একটি দুয়ার খুলে” দিতে পারে। তিনি বলেছেন  আরো ২৯টি আইনে পরিবর্তন আনা দরকার যা শুধু “বহুদূর বিস্তৃত  বিতর্ক”-এর পরে সম্ভব হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পাওয়া নতুন নির্দেশনাগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করার জন্যে একটি সংশোধিত আইনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে রাদেভ বলেন তা না হলে বুলগেরিয়ার অর্থনীতি ব্রাসেলস থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেতে পারে।

শীঘ্রই প্রতিষ্ঠানটির সরকারি ক্রয় বিষয়ক নতুন বিধানগুলোকে মোকাবেলা করে একটি আইন পাস করা না হলে ইইউ থেকে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অন্যরাও সতর্ক করেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সাবেক ক্ষমতাসীন দল বুলগেরিয়ার ইউরোপীয় উন্নয়নের জন্যে নাগরিক – জিইআরবি-এর প্রতিনিধি এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন সদস্য এমিল রাদেভ এতটাই বলেছেন।

বুলগেরিয়ার মূলধারার মিডিয়া আইনটি সম্পর্কে খুব গভীরভাবে রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হলেও ভেটোর আগে চারজন নাগরিকের একটি দল নতুন ছাড় আইনের উপর সংসদীয় বিতর্কের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে অনলাইন সংবাদ সাইট বুলটাইমস.বিজি–তে রাদেভকে এটা বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। দলটি যুক্তি দেখিয়েছে যে আইনটি ছাড় চুক্তিগুলোর বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনস্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আরেকজন নাগরিক নিকোলাই ক্রিউমভ ছাড়ের সীমা শব্দটির সমস্যা নিয়ে  ফেসবুক-এ মন্তব্য করেছেন:

Вечна концесия е понятие, равно на собственост. Разширението на срока до безкрайност е начин да бъдат приватизирани собственост, достояние, услуги, права и функции, които обществото гарантира на своите граждани и следователно не са за продан!

অনন্তকাল ছাড় মালিকানারই নামান্তর। অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হলো সেবা, অধিকার ও কার্যাবলী বেসরকারীকরণের একটি উপায় যার নিশ্চয়তা সমাজের তার নাগরিকদের দেয়, আর তাই এগুলো বিক্রয়ের জন্যে নয়!

রাদেভের প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেশি। বিবিসি যেমন বলেছে ক্ষমতায় রাদেভের সাম্প্রতিক উত্থান “দুর্নীতি ও দারিদ্র্য মোকাবেলায় সরকারের নিম্নমানের রেকর্ডের প্রতি ব্যাপকবিস্তৃত অসন্তোষ প্রতিফলিত করে।” এই প্রেক্ষাপটে, মার্চ মাসে অবশ্যই আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে সক্ষম একটি অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগ  প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথমদিকের দিনগুলোর প্রতি তীব্র মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

রাদেভের প্রেসিডেন্ট মেয়াদকাল বিক্ষোভপূর্ণ মনে হলেও জানেটা ডেনিভার মতো কেউ কেউ আবার অফিসে নতুন প্রেসিডেন্টের প্রথম পদক্ষেপ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন

За десет дни Радев не само успя да състави едно от най-балансираните правителства, не само отиде до Брюксел и твърдо заяви волята на България, но и наложи първото си вето!

দশ দিনে রাদেভ সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ সরকারগুলোর একটি তৈরি করতে, ব্রাসেলস যেতে আর দৃঢ়ভাবে বুলগেরিয়ার ইচ্ছা প্রকাশ ছাড়াও তার প্রথম ভেটো প্রয়োগে সফল হয়েছেন!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .