
ভারতের রাজস্থানের পাহাড়ি গ্রামের মহিলারা রান্নার জন্য মাথায় করে প্রতিদিন ৭০ পাউন্ড কাঠ বয়ে নিয়ে যান। ফ্লিকার থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ফর চেঞ্জের ফটো। ক্রিয়েটিভ কমন্স-শেয়ারঅ্যালাইক ২.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত
এই পোস্টটি ভারতের পুরস্কারজয়ী আন্তর্জাতিক নাগরিক গণমাধ্যম সংস্থা ভিডিও ভলান্টিয়ার্সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। কনটেন্ট-শেয়ারিং চুক্তির আওতায় এটির একটি সম্পাদিত সংস্করণ এখানে প্রকাশ করা হল।
বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মতো ভারতেও প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের একটি প্রধান কারণ হল অরণ্য নিধন। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে যে গত আট দশকে ভারত ২৪৩,৪৪৭ বর্গ কিমি (২৮%) বনাঞ্চল হারিয়েছে। এই অরণ্য নিধন যজ্ঞের কারণে সারা দেশ জুড়ে প্রাকৃতিক বাসস্থান এবং সংবেদী বাস্তুতন্ত্র লুপ্ত হওয়ার মতো অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, দেখা দিচ্ছে খরা, তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী গত কয়েক দশকে গাছ কেটে ফেলার কারণে ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ লক্ষণীয়ভাবে কমে গেছে।
স্থানীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে, মানুষের চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ বনাঞ্চলকে কৃষি জমিতে পরিণত করা হচ্ছে তা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। বাণিজ্যিক কাঠ কাটা, খনি, নগরায়ণ এবং শিল্পায়নের কারণেও বন ধ্বংস করা হচ্ছে। ভিডিও ভলান্টিয়ার্সের সদস্য, অমিতা টুট্টির এই ভিডিওতে কিভাবে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য জুড়ে প্রশাসনের সড়ক নির্মাণ এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য হাজার হাজার গাছের বলি দেওয়া হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে। আরও বহু শতবর্ষী গাছ বিনাশের দিন গুনছে।
কিছু নাগরিক সংগঠন এবং সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ এলাকায় রাস্তা তৈরির জন্য গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। “প্রচণ্ড গরমে সওয়ারি এবং পথচারীদের এই গাছগুলোই ছায়া দেবে”, বলেছেন খুন্তির নিবাসী পিঙ্কি কুমারী।
যদিও সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন যে রাস্তা চওড়া করার জন্য আগেভাগেই অনুমতি নেয়া হয়েছে কিন্তু একজন অ্যাক্টিভিস্ট জানিয়েছেন যে কর্মকর্তারা মুনাফার জন্য কাটা গাছ কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন।
In Junagarh. India. This morning. Sad. Deforestation. pic.twitter.com/E5FRdHAjQE
— shriny (@shriny) December 19, 2016
জুনাগড়। ভারত। আজ সকালে। দুঃখজনক। অরণ্য নিধন।
খুন্তি নিবাসীরা এই অঞ্চলের স্বাভাবিক গাছ লাগানো এবং জেলার বনাঞ্চল সংরক্ষণের অনুরোধ জানিয়েছেন। গত জুলাই মাসে, পড়শি রাজ্য উত্তর-প্রদেশের ৮০০,০০০ জন নাগরিক অরণ্য বিনাশের প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টায় ৪৯০ লক্ষেরও বেশি বৃক্ষ রোপণ করেছিলেন। নগরায়ন এবং উন্নয়নের জন্য ভারতে যে পরিমাণে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে তাতে এমনই আরও বহু প্রয়াস ভীষণভাবে প্রয়োজন।