গ্লোবাল ভয়েসেসের অংশীদার তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হওয়া সহযোগী হচ্ছে নাগরিক গণমাধ্যম ভিত্তিক সংগঠন ভিডিও ভলান্টিয়ারস। ভিডিও সাংবাদিকতার মাধ্যমে ভারতে বিশ্বের দরিদ্রতম নাগরিকদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এবং ডেটা ব্যবহার করে নিজেদের ইন্টারনেট জ্ঞান সমৃদ্ধ করা যাতে করে তাদের নিজেদের কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সংগঠনটি।
মূলত অনগ্রসর সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়েই কাজ করা এ সংগঠনটির নিজেদের নেটওয়ার্কে রয়েছে প্রায় ২০০ সম্প্রদায় প্রতিনিধি। এ প্রতিনিধিরা নিজেদের ভিডিও সুবিধাযুক্ত মোবাইল ফোনে বৈষম্য, নিপীড়ন, অবহেলা, দুর্নীতি এবং সংস্কৃতির বিষয়গুলো ভিডিও করে থাকেন।
ইন্ডিয়াআনহেয়ার্ড নামের ভিডিও ভলান্টিয়ার্সদের বিকল্প একটি সংবাদমাধ্যমে ভিডিওগুলো প্রচারিত হয় যা সাধারণত বেশির ভাগ সময়ই মূল গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার হয় না। পাশাপাশি ভিডিওগুলো ভারতের বিভিন্ন গ্রামে হাজারও মানুষের সামনে বড় প্রজেক্টর সুবিধার মাধ্যমে প্রচার করা হয় যাতে করে অন্যরাও এতে উৎসাহিত হন এবং এসবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে উদ্যোগ নেন। দেখা গেছে, চারটি ভিডিও’র মধ্যে অন্তত একটি ভিডিও দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেন অথবা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন।
টেড ফেলো জ্যাসিকা ম্যাবেরি ২০০৩ সালে ভিডিও ভলান্টিয়ার্স সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ডব্লিউ.জে ক্লিনটন ফেলো হিসেবে তিনি এক বছর স্থানীয় নারীদের ভিডিও তৈরির বিষয়টি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি এ সময়ে ভারতের ডকুমেন্টরি নির্মাতা এবং কমিউনিটি রেডিও অ্যাক্টিভিস্ট স্টালিন কে’র সঙ্গে কাজ করেন।
বাল্যবিবাহ, মন্দিরে বেশ্যাবৃত্তি, বিদ্রোহী সংঘর্ষ, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে নৃশংসতা ও শান্তি ইত্যাদি নানা বিষয়ে ইতিমধ্যে তৈরি ৫০০ ভিডিও প্রায় ৩০০,০০০ লাখের বেশি সাধারণ মানুষ দেখেছেন।
ভিডিও ভলান্টিয়ার্সরা ভিডিও ভিত্তিক আরো কয়েকটি প্রকল্পেও কাজ করছেন। এর মধ্যে একটি ভিডিওশালা, যার সাহায্যে এ সংগঠনের সদস্যরা কিভাবে শিক্ষাভিত্তিক ভিডিও তৈরি করতে হয় সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেন। এছাড়াও রয়েছে ভিডিওঅ্যাক্টিভ গার্লস যা কিভাবে মেয়েরা ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতে নিজেদের কথা বলতে পারে সে বিষয়টি শেখানো হয় এবং কাজ হয়। এর সঙ্গে ভারতের জাতীয় গণমাধ্যম দূরদর্শনের সঙ্গে একটি চুক্তি রয়েছে যার সাহায্যে নাগরিক সাংবাদিকদের তৈরি ভিডিওগুলো সারাদেশের দর্শকদের জন্য প্রচার করা হয়।
গ্লোবাল ভয়েসেস বিভিন্ন সময়ে ভিডিও ভলান্টিয়ার্সদের উদ্যোগ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, স্বেচ্ছাসেবকদের করা ভিডিও নিয়েও বিভিন্ন পোস্ট প্রকাশ করেছে। এ সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভিডিও ভলান্টিয়ার্স এর নাগরিক সাংবাদিকদের তৈরি বিভিন্ন ভিডিও, লেখা বা অন্যান্য কনটেন্ট আমরা প্রকাশ করি আমাদের পাঠকদের জন্য যা ১৬০টি দেশে পঠিত হয় এবং লিংগুয়া অনুবাদ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদও করা হয়।
ভিডিও ভলান্টিয়ার্সদের আরো নানা তথ্য পাওয়া যাবে ফেসবুকে, টুইটারে এবং ইউটিউবে।