আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য জাপানের ফুকুই এক স্বল্প পরিচিত এলাকা। যদিও পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে নয়, তবে জাপানের বাস্তবতায় সেখানেই দেশটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ডাইনোসর জাদুঘরটির অবস্থান।
এই জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৪০টি ভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসরের কংকাল। এই জাদুঘর বিশাল বৈচিত্র্যময় সব সংগ্রহ প্রদর্শন করছে, যা চমৎকার সব টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম পোস্ট তৈরি করেছে।
আমরা ফুকুই জেলা ডাইনোসর জাদুঘরে এসে পৌছেছি।
ফুকুই-এর কাতসুয়ামাতে অবস্থিত ফুকুই জেলা ডাইনোসর জাদুঘর, যা পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি এবং এবং এটি এমন নকশায় নির্মাণ করা হয়েছে দেখে যেন মনে হয় এক ডাইনোসরের ডিম। পুরো পাহাড়ে ডাইনোসরদের প্রদর্শন এবং তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে।
২০০০ সালে টোকিওর ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এক মফস্বল এলাকা কাতসুইয়ামায় এই জাদুঘর খোলা হয়। এই জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে বাস্তব সম্মত ভাবে তৈরি করা ডাইনোসরদের প্রদর্শণী যা কানাডার আলবার্টার রয়্যাল টাইরেল জাদুঘরের নকশায় তৈরি করা হয়েছে।
এই জাদুঘরের ভ্রমণার্থীদের ফুকাইরাপটর সর্ম্বধনা জানায়,যা এক দ্বিপদী মাংসশাসী ডাইনোসর, এটি ফুকাই-এর স্থানীয় এক ডায়নোসরের কঙ্কাল, টাইরেল জাদুঘরের ফিলপ জে.কিউরি, এই প্রাণীটির বর্ণনা এবং শ্রেণীবিন্যাস করেছে।
ফুকুইরাপটর নামক ডাইনোসরের কঙ্কাল কাতসুইয়ামার সামান্য উত্তরে কিটাইদানি ভূগঠন এলাকায় আবিস্কার করা হয়। ফুকাই এলাকার পাহাড় হচ্ছে জাপানের সেই অল্প কয়েকটি এলাকার মধ্যে অন্যতম যেখানে ডাইনোসরের হাড়গোড় পাওয়া যেতে পারে।
স্থানীয় প্রজাতি ছাড়াও, ফুকুই জেলার ডায়নোসার মিউজিয়াম অনেক ডাইনোসরের সম্পূর্ণ মডেল তুলে ধরেছে যার মধ্যে টায়নোসরাস রেক্সও রয়েছে।।
আমি ডাইনোসর ভালবাসি
একই সাথে কিছু বিস্ময়কর পূর্ণনির্মাণ, যেমন এই অ্যালোসারাস-এর ডাইনোসর, দর্শণার্থীরা যাকে খুব কাছ থেকে দেখতে পারবেন।
আহ! ভয়ংকর! ফুকাইডায়নোসরমিউজিয়াম# হোকুরিকু #ত৪থিয়াররানি#অমেন্স#গ্রাজুয়াশনট্রিপ
এই জাদুঘরের বাইরে, পাহাড়ী এলাকাতেও বাস্তবস্মমত ভাবে ডায়নোসাদের তুলে ধরা হয়েছে, যেমন ডেইয়ানকাস একটি ইগুয়ান্ডোন-এর উপর হামলা চালিয়েছে।
এবং এই জাদুঘরের উপরে পাহাড় চুড়ার বিশাল পার্কে ডায়নোসরদের এত বাস্তব সম্মত প্রদর্শন প্রদর্শন করা হয়েছে যে এটি একটি অসাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট হতে পারে।
আমি মানুষ,
বিডাল[না] ?
পর্যটকদের জন্য ফুকোই এলাকায় যাওয়া খুব কঠিন। আর এখনো এটি টোকিও সঙ্গে এক দ্রুত গতির রেল সংযোগের জন্য অপেক্ষা করছে। যে সমস্ত পযটক কানযাওয়া নামের প্রাচীন দূর্গ প্রসাদ দেখতে আসে তারা এই গ্রাম্য এবং ছবির মত এলাকায় ঢু মারে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এই এলাকাকে ডায়নোসারদের আবাসভূমি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, এবং ফুকাই এলাকায় থামার কথা বিবেচনা করার জন্য তাদের প্ররোচিত করা হচ্ছে।
ফুকুই ট্রেন স্টেশন স্বয়ং এক ডায়নসোরদের এলাকায় পরিণত হয়েছে:
যদি আপনি ফুকই ডাইনোসরদের সম্বন্ধে আরো কিছু জানতে চান, তাহলে টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে এই জাপানী #福井県立恐竜博物館 এই হ্যাশট্যাগটি অনুসরণ করুন।