রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সম্ভবত রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রকাশ করা মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, অভিযোগ রয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটি দেখায় তারা কিছু অস্ত্র ভাণ্ডার আবিস্কার করেছে যা ছিল “অন্তর্ঘাত চালানো বিদ্রোহীদের”। ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেন সরকার এগুলো ক্রিমিয়ায় পাঠিয়েছে (কিয়েভ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে)।
১০ আগস্ট–এ রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ান তার সংবাদ বিভাগে একটি সংবাদ প্রদান করে যা এফসিবির (রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার) থেকে সরবরাহকৃত কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী পরিচালিত ৮ আগস্টের বিশেষ অভিযানের ফলাফল। এতে বেশ কিছু উন্নতমানের বিস্ফোরক সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, মাইন, এবং অস্ত্রশস্ত্র দেখানো, ধারণা প্রদান করা হয় যে এগুলো ইউক্রেনের গুপ্তচরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই প্রচারে সামান্য পরে ক্রিমিয়ার আকাশের দৃশ্য প্রদর্শন করা হয় যেখানে পূর্ণিমার চাদের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মস্কোতে বাস করা এক ব্লগার শাশা আন্দ্রেভা এই বিষয়টি তুলে ধরছে যে এই দৃশ্যের সাথে চাদের যে ছবি দেখানো হয়েছে তা ২১ জুলাই-এর পরে কোন ভাবেই তোলা নয় সম্ভব-কারণ এই সময়টা ছিল উত্তর গোলার্ধে পূর্ণিমার সময়।
ফেসবুকে সাংবাদিক সের্গেই পার্খোমেঙ্কো নিজে আন্দ্রেভার আবিস্কার বিষয়টি শেয়ার করেছেন এবং সাথে যোগ করেছেন, রাশিয়ার তদন্তকারীরা একই ভাবে ইউক্রেনের বৈমানিক নাদিয়া শেভচেঙ্কের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ এনেছে, যখন রাশিয়ায় তার বিচার হচ্ছিলো। সংঘাত বিষয়ক বুদ্ধিবৃত্তিক দল (কনফ্লিক্ট ইন্টেলিজেনস টিম)-এর ওপেন সোর্স সাংবাদিকদের করা এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি রসিকতা করেন যে “ এফএসবি”–এর কর্মকর্তাদের জ্যোতির্বিদ্যা সম্বন্ধে পড়ালেখা শুরু করা দরকার, তারা পরামর্শ প্রদান করছে যে শেভচেঙ্কের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তার পেছনে গাছের ছায়া পড়েছে, সেটা সরকারি তদন্ত কর্মকর্তার দাবী অনুসারে তাকে বন্দী করা যে সময় উল্লেখ করা হয়, তা খণ্ডন করে, আর এর ফলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ধোপে টেকে না।
ক্রিমিয়া সংক্রান্ত চ্যানেল ওয়ান-এর এই সংবাদের ক্ষেত্রে একটি বিষ্য পুরোপুরি পরিষ্কার নয় যে চাঁদের এই দৃশ্য এফএসবি-এর বিশেষ কার্যক্রমের হিসেবে অংশ হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে নাকি এটি এলাকার একটি সংরক্ষিত ফুটেজ। যদি তা দ্বিতীয় বিষয়ের অংশ হয়ে থাকে তাহলে, সেক্ষেত্রে আন্দ্রেভা এবং পার্খেমেনকো দ্রুত উপসংহার টানার জন্য প্রস্তুত।