
দুল্লাহ’র আঁকা গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি। ছবি তুলেছেন অর্পণ রাচমান।
ইন্দোনেশিয়ার ৭১তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে সংরক্ষিত শিল্পকর্মগুলো সাধারণ মানুষদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রথমবারের মতো এ ঘটনা ঘটলো। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি ভবনে বিপুল সংখ্যক শিল্পকর্ম রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া একসময় ডাচ এবং জাপানের উপনিবেশ ছিল।
প্রদর্শনীতে ইন্দোনেশিয়ার ২০ জন বরেণ্য শিল্পীর ২৮টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন রাদেন সালেহ, আফান্দি, এস সুজোজোনো, হেন্দ্রা গুনায়ান, বাসেওকি আবদুল্লাহ, দুল্লাহ, ট্রাবাস সুদারসোনো, সুডজোনো আবদুল্লাহ, হারিজাদি সুমাডিডজাজা, কারটোনো ইয়োধোকুসুমো, হেনক এনগানটাং এবং গামবিরানোম।
এই শিল্পীদের কেউ কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামের ছবি এঁকে খ্যাতি পেয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো “জোকোউয়ি” উইদোদো জাতীয় গ্যালারিতে এই শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই মাস শেষ পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।
প্রদর্শনীতে ‘এক রহস্যময়ী নারীর প্রতিকৃতি’ শিরোনামের একটি ছবি স্থান পেয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ ছবিটি এঁকেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার অনেকেই জানেন না, তাদের শ্রদ্ধেয় নেতা একজন শিল্পী এবং শিল্পকর্মের সংগ্রাহক ছিলেন।

রিনি নামের এই ছবিটি এঁকেছেন রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ। ছবি তুলেছেন অর্পণ রাচমান।
দুল্লাহ নামের এক শিল্পী গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি শিরোনামের ছবিটি এঁকেছেন। যুদ্ধ বিষয়ক বার্তা আর অপরূপ সুন্দর হওয়ার কারণে ছবিটি খুব পরিচিতি পেয়েছে।
দুল্লাহ’র ছবির মডেলরা সবাই ইয়োগায়াকারতার গুনাংকিদুল অঞ্চলের সত্যিকারের গেরিলা যোদ্ধা।

জিকামপেক-এর সেনাসদরের গুদামঘর। ছবি এঁকেছেন দুল্লাহ। ছবি তুলেছেন অর্পণ রাচমান।
প্রদর্শনীতে রাখা মেক্সিকোর বিখ্যাত শিল্পী দিয়েগো রিভেরার একটি শিল্পকর্মও ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। ‘ফুল হাতে মালয় রমণী’ শিরোনামের এই শিল্পকর্মটি মেক্সিকোর কাছে থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ ইন্দোনেশিয়ার জনগণের জন্য উপহার স্বরূপ পেয়েছিলেন।

মেক্সিকান শিল্পী দিয়েগো রিভেরার ‘ফুল হাতে মালয় রমণী’ চিত্রকর্ম। ছবি তুলেছেন অর্পণ রাচমান।
‘বিপ্লবী কমরেডস’ শিরোনামে এস সুজোজোনো’র একটি বিখ্যাত শিল্পকর্ম রয়েছে। এটিও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। ১৯৪৭ সালের কোনো এক সময় এটি আঁকা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এক শিল্প সমালোচক তার রিয়েলিস্ট স্টাইলে (বাস্তববাদী ধরনের) ছবি আঁকার দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলে তিনি এই ছবিটি আঁকেন।

‘বিপ্লবী কমরেডস’ ছবির সামনে লেখক পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবিটি এঁকেছেন এস সুজোজোনো। ছবি তুলেছেন নূরহায়াত আরিফ পারমানা।
কিউরেটর মিক্কি সুসান্তো এবং রিজকি জিলানি মনে করেন এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ প্রচার পাবে:
At least, this kind of exhibition is expected to be able to grow and keep the love and pride of nationalism in the minds of Indonesian people, especially the youth.
এই ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন ইন্দোনেশিয়ার জনগণ বিশেষ করে তরুণদের মাঝে জাতীয়তাবাদের গর্ব ও ভালোবাসা বাড়াতে সক্ষম হবে।
Visited @galerinasional_ #Jakarta,to enjoy beautiful paintings collections of th Presidential Palace.a rare chance! pic.twitter.com/3INlrC08IP
— Rifki Abdi (@dosen_creek) August 8, 2016
জাকার্তার জাতীয় গ্যালারিতে গিয়েছিলাম। রাজপ্রাসাদে শিল্পকর্মের বিশাল এক সংগ্রহ দেখলাম। খুব ভালো লাগলো। এ ধরনের সুযোগ খুব কমই আসে।
Very long queue at Galeri Nasional, those kids come for augmented reality and pokemon pic.twitter.com/5hlTLMZNbA
— uchan (@susandevy) August 6, 2016
জাতীয় গ্যালারির সামনে লম্বা লাইন। এই তরুণরা এসেছে অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং পোকেমন জগৎ থেকে।