বিষয়বস্তু পুনঃপ্রকাশ করার চুক্তির অংশ হিসেবে ইরাবতীর কলামটি গ্লোবাল ভয়েসেসে প্রকাশ করা হল।
শান রাজ্যের উচ্চভূমি অঞ্চল সাধারণত মিয়ানমারের মধ্য ও নিম্ন শুষ্ক অঞ্চলের তুলনায় শীতল হয়। যদিও এই বছর বাকি অনেক দেশের মত এখানেও অসাধারণভাবে শক্তিশালী এল নিনো ধরণের আবহাওয়ার কবলে পড়েছে।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে শান রাজ্যের স্থানীয় সম্প্রদায়েরা সেখানকার ঝর্ণা ও হ্রদগুলোতে গৃহস্থলী ও সেচের কাজে ব্যবহার করার জন্য বৃষ্টির পান সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু এই বছর ফেব্রুয়ারি থেকেই সেগুলো শুষ্ক হয়ে গেছে। গ্রামবাসীরা পানির সংকটে গ্রাম ছেঁড়ে চলে যাচ্ছেন। সেখানকার পরিস্থিতি গত যেকোন সময়ের তুলনায় খারাপ। কালাও পৌরসভার লেগুয়াং গ্রাম প্রধান তুন চি তাঁদের এলাকার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেনঃ
আমাদের গ্রামের কাছের হ্রদটি গত দুই মাস আগে শুকিয়ে গেছে। গত বছর মার্চ পর্যন্ত আমরা সেখান থেকে পানি ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
পানির সংকট মোকাবেলা করার জন্য ব্রাইটার ফিউচার মিয়ানমার ফাউন্ডেশনের মতো কিছু স্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান গ্রামে পানীয় জল বিতরণ করতে শুরু করেছে। শান রাজ্যে একমাত্র এই ফাউন্ডেশনটি নিদারুণ কষ্টে থাকা এলাকাগুলোতে ২০১৪ সাল থেকে মিয়ানমার সরকারের সহযোগী হয়ে কুয়া খনন করছে। প্রধানত চুনাপাথর দিয়ে গঠিত শান মালভূমিতে গর্ত করতে বিভিন্ন মেশিন নিচ্ছে। ফাউন্ডেশনটি বলছে, তাঁদের নিজস্ব নতুন গর্ত করার সরঞ্জাম কিনতে এটি সম্প্রতি ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে। তাঁরা এই পর্যন্ত শান রাজ্যে ১০০ টিরও বেশি কূপ খনন করেছে।