অনলাইন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ভসেষ এতনিকাস’ মেক্সিকোতে আদিবাসী প্রথা পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানিয়েছে

nuestro mundo y nuestras palabras

ছবিটি ‘‘ভসেষ এতনিকাস’ এর অনুমতি সাপেক্ষে ফেসবুক থেকে গৃহীত যা মূলত সারজিও আব্রাহাম বারেরা’র নিবন্ধ “আমাদের বিশ্ব, আমাদের শব্দ” থেকে নেওয়া।

মেক্সিকোতে আদিবাসী ঐতিহ্য এবং প্রথা বিপদজনকভাবে অদৃশ্য হতে যাচ্ছে, তা সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ভসেষ এতনিকাস’ (স্প্যানিশ জাতিগত কণ্ঠ) শনাক্ত করেছে । এই সংগঠন তাদের অনলাইনের মাধ্যমে আদিবাসীদের স্বীকৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

যে উদ্দেশ্য নিয়ে ‘ভসেষ এতনিকাস’ জন্ম, তা হচ্ছে,

[…] rescatar y difundir, mediante la aplicación de diversas técnicas de investigación las tradiciones y costumbres de las comunidades indígenas de México, a través de una visión humanística y perceptiva, con el fin de informar y sensibilizar a la sociedad sobre estos temas de arraigo nacional.

[…]বিভিন্ন গবেষণা কৌশলের মাধ্যমে মেক্সিকোতে আদিবাসী ঐতিহ্য এবং প্রথা পুনরূদ্ধার ও সম্প্রচার করা। একটি মানবতাবাদী এবং জ্ঞানেন্দ্রিয় দৃষ্টি দিয়ে কাজ করা যাতে জাতীয় শক্তির মুলে প্রোথিত এসব বিষয় নিয়ে জানানো এবং সমাজে সচেতনতা বাড়ানো যায়।

তাদের ওয়েবসাইট  বিভিন্ন কিংবদন্তী, গল্প, রূপকথা, কাল্পনিক কাহিনী, মহাকাব্য, কবিতা এবং আদিবাসীদের পুরনো দলিল পত্রের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈশ্বিক ধারণা দেয়।

উদাহরণস্বরূপ “হামিংবার্ড (খঁজনা) উপাখ্যান তৈরির” কথা বলা যায়:

Cuentan que los Dioses mayas crearon todas las cosas en la Tierra; cada animal, cada árbol y cada piedra. Pero cuando ya habían terminado, notaron que no había nadie encargado de llevar sus deseos y pensamientos de un lugar a otro.

Como ya no tenían barro ni maíz para hacer otro animal, tomaron una piedra de jade y con ella tallaron una flecha muy pequeña, y cuando estuvo lista, soplaron sobre ella y la pequeña flecha salió volando. Ya no era más una simple flecha, ahora tenía vida, los dioses habían creado al X ts’unu’um. […]

তারা  বলে, মায়া দেবতা পৃথিবীতে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন; প্রত্যেক প্রাণী, গাছ এবং প্রতিটি পাথর। কিন্তু যখন এসবের আয়ু শেষ হয়ে যায়, তখন তারা লক্ষ্য করে, তাদের চিন্তা কিংবা ইচ্ছাকে এক স্থান থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য কেউ নেই।

যখন থেকে তাদের কাছে কোনপ্রাণী সৃষ্টি করতে কোন কাদা বা ভূট্টা ছিল না,তখন একটি খচিত সবুজ পাথর নিয়ে ছোট একটা তীর খোদায় করে, এবং তা  ছুঁড়ে মারে, ফলে ছোট তীর উপরে উড়তে থাকে। এখন তার জীবন আছে। এভাবেই দেবতা এক্স টিসুনুম (হামিং বার্ড) সৃষ্টি করেছেন।

প্রথাগত শিল্প, সঙ্গীত এবং নৃত্য এসবের প্ল্যাটফর্ম মাল্টিমিডিয়া বিভাগে পাওয়া যাবে। বিশেষ করে, তাদের ভিমিও চ্যানেল বেশ কিছু ছোট ভিডিও তুলে ধরে যা স্থানীয় ভাষা শেখা এবং পুনরুজ্জীবিত করে। নীচের ভিডিওতে অনেকে নাহুৎল ভাষায় এই বাক্যাংশ টুকু উচ্চারণ করছে, “অরক্ষিত আমাদের পৃথিবী মা, আমাদের অন্তরের কথা শুনো”।

তাদের বাহ্যিক প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সামাজিক মিডিয়া, বিশেষ করে তাদের ফেসবুক পেজে অর্থপূর্ণ তথ্য, প্রতিদিন মজার ঘটনা, ফটোগ্রাফ, ডাউনলোডযোগ্য বই এবং ডিজিটাল নথি প্রদান করা সহ অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায় এবং জনগণের সাথে তাদের জন্য কাজ করেন।

zapoteco

চিত্র ভসেষ এতনিকাস এর ফেসবুক পাতা থেকে অনুমতি সাপেক্ষে নেয়া হয়েছে।  ছবিটিতে লেখা আছে,”যদি শুধু তুমি জানতে আমি তোমায় কত ভালোবাসি “। প্রথমে জাপোটেক ভাষায়, তারপর স্প্যানিশে।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার ধ্বংসে কাজ করে এমন বাঁধাধরা বা প্রভাবশালী কল্পকাহিনী নয়, ‘ভসেষ এতনিকাস’ আন্তরিকভাবে বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যদের কথা তুলে ধরছে। যার ফলে তারা বিভিন্ন তথ্য তাদের স্বার্থে উৎপাদন ও পুনরুৎপাদন করে থাকে। যা গঠনমূলক সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সুবিধা প্রদান করা, সবার প্রবেশাধিকার ও উপকারের নিশ্চয়তা দেয়। তাই আদিবাসী সংস্কৃতির এসব গল্প বলিয়েকে “উদীয়মান কণ্ঠ” (স্প্যানিশে ভসেরস) বলে ডাকা হয়।  তথ্য সংগ্রহ ও নতুনভাবে সাজানোর একটি ডিজিটাল মাধ্যম হিসেবে এই প্ল্যাটফর্ম এর তাৎপর্য রয়েছে, যা তাদের ভাবনাকে রূপায়িত করে।

প্রধানত তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটফেসবুকে তাদের কাজ সম্পর্কে জানা যাবে। তাছাড়া, ভিমেও, ইউটিউব এবং টুইটারে তাদের অনুসরণ করা যাবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .