সিরীয় কারাবন্দী বাসেল খারতাবিলকে নিয়ে শঙ্কা, যাকে এক অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে

The FreeBassel poster from @freebassel on Twitter. Bassel Safadi has been imprisoned in Syria for almost four years and friends and activists fear for his life after he was transferred from his prison today to an unknown location

টুইটারে বাসেলকে মুক্ত করা নামক পোস্টার যা @ফ্রিবাসেল নামক টুইটার একাউন্ট থেকে নেওয়া হয়েছে। বাসেল সাফাদি, প্রায় চার বছর ধরে সিরিয়ায় কারাগারে বন্দী হয়ে রয়েছে এবং তার বন্ধু এবং একটিভিস্টরা তার জীবন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে, যখন তাকে কারাগার থেকে তাকে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

একটিভিস্টরা সিরীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন সিরীয়–ফিলিস্তিনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বাসেল খারতাবিলকে দ্রুত মুক্তি প্রদান করা হয়, যে একই সাথে বাসেল সাফাদি নামে পরিচিত। যখন আজ সকলে যে কারাগারে সে বন্দী, সেখান থেকে তাকে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন এই মুক্তির আহ্বান জানানো হয়।

সাফাদি যে কিনা চার বছর ধরে কারাগারে বন্দী, সে একই সাথে অতি পরিচিত এক ওপেন সোর্স ইঞ্জিনিয়ার। সে সিরিয়ার ক্রিয়েটিভ কমন্স-এর নেতা এবং মজিলা ফায়ার ফক্স এবং উইকিপিডিয়ার মত প্রকল্পে সক্রিয়, আবার সিরিয়ায় ইন্টারনেট উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং জনগণের জন্য অনলাইনে প্রবেশের সুযোগ এবং জ্ঞান বিকাশের সাহায্য করার জন্য তাকে কৃতিত্ব প্রদান করা হয়। ইউরোপীয় সংসদ অনুসারে তার এই আটকাদেশ অনলাইন সম্প্রদায়ের অনলাইনে প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করা এবং দেশটির মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার প্রচেষ্টা।

তার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে তৈরি করা ফেসবুক পাতা অনুসারে :

تم نقل باسل من سجن عدرا الى جهة مجهولة بعد ان اتت دورية لا يعرف بالضبط الى اي جهة تتبع وطلب منه اخذ كل اغراضه
من المتوقع ان يكون نقل الى مقر المحكمة الميدانية في الشرطة العسكرية في منطقة القابون
قلق ومخاوف على مصير باسل بعد ان اصبح وضعه مجهولا من جديد

আদরা জেল থেকে বাসেলকে একদল প্রহরী এক অজানা স্থানে নিয়ে গেছে, যার কোন বাহিনীর সাথে যুক্ত তা অজানা। এই দলটি তার কাছে আসে এবং তাকে বলে যেন সে তার সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নেয়। এমনটা ভাবা হচ্ছে যে তাকে আল কাবোন এলাকার সামরিক পুলিশের প্রধান দপ্তর অবস্থিত বেসামরিক আদালতের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যখন তার সম্বন্ধে কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না,তখন আমরা তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন।

১৫ মার্চ ২০১-এ, সিরীয় বিপ্লব শুরুর প্রথম বার্ষিকীতে খারতাবিলকে গ্রেপ্তার করা হয়, সামরিক শাখা ২১৫ তাকে পাঁচ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার উপর অত্যাচার করা হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ বিভাগের শাখা ২৪৮-এ হস্তান্তর করা হয় এবং নয় মাস তাকে এমন এক স্থানে রাখা হয়, যেখানে তার সাথে কেউ দেখা করতে পারেনি। ৯ ডিসেম্বর, ২০১২-এ কোন আইনজীবীর উপস্থিতি ছাড়াই খারতাবিলকে এক সামরিক আদালতে হাজির করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে ‘শত্রু রাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির” অভিযোগ আনা হয়। এরপর তাকে দামেস্কের আদরা কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তাকে এখন পর্যন্ত বন্দী করে রাখা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন (ইএফই) এখানে উল্লেখ করেছে যে :

এক প্রযুক্তিবীদ এবং একটিভিস্ট হিসেবে বাসেলের দেখার শক্তি তাকে বন্দী করে রাখার জন্য এক লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করেছে।

অনলাইনের এক দরখাস্ত, বাসেলের বন্ধু এবং প্রচারক মোহাম্মদ নাজেম যার উদ্যোক্তা, সেটি চেঞ্জ. অর্গ পাওয়া যাচ্ছে, যেটিতে দ্রুত বাসেলকে মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই দরখাস্তে স্বাক্ষর করার জন্য দয়া করা এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

বাসেলের বন্ধু এবং বাক স্বাধীনতার প্রচারক জিলিয়ান সি. ইয়র্ক, যিনি ইএফএফ এর আন্তর্জাতিক মত প্রকাশ বিষয়ক মহাপরিচালক, এই আন্দোলনে তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করেছেন :

আমার বন্ধু বাসেল সাফাদি সিরিয়ার আদ্রা কারাগার থেকে কোন অজানা স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে – অনুগ্রহ করে আমাদের পিটিশন সাইন করুন।

আমরা জানি পিটিশন দিয়ে সিরিয়াকে (বা কাউকে) বোঝানো যাবে না – কিন্তু আমরা এর বেশী আর কি করতে পারি? অনুগ্রহ করে সংবাদটি ছড়িয়ে দিন যাতে বাসেল নিরাপদে থাকে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .