“নোংরা পাকি মহিলার অন্তর্বাস” নাটকে যৌনতা, ধর্ম ও রাজনীতির সংঘর্ষ

Playwright Aizzah Fatima plays a character she calls a "hijabi feminist."  Credit: Courtesy Aizzah Fatima. Published with PRI's permission

নাট্যকার আইজা ফাতিমা “নারীবাদী হিজাবি” নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন: সৌজন্যে আইজা ফাতিমা। পিআরআই এর অনুমতি নিয়ে প্রকাশিত।

দ্যা ওয়ার্ল্ড এর জন্য জয়েস হাকেলের লিখা এই নিবন্ধ এবং রেডিও রিপোর্টটি মূলত গত ২৮ মে, ২০১৫ তারিখে পিআরআই ডট ওআরজি’তে প্রকাশিত হয়। কন্টেন্ট শেয়ারের চুক্তির অংশ হিসেবে এখানে তা পুনরায় প্রকাশ করা হল।

আইজা ফাতিমা তার একক মহিলা চরিত্রের নাটক “নোংরা পাকি মহিলার অন্তর্বাস” শিরোনাম নিয়ে চিন্তিত ছিলেন যে হয়তোবা এটি তার দক্ষিণ এশিয়ার সহকর্মীদের অসন্তুষ্ট করবে। কিন্তু টরন্টো থেকে তুর্কমেনিস্তানে প্রায় পাঁচ বছর তাঁর এই নাটক মঞ্চস্থ করার পর পাকিস্তানি-আমেরিকান এই অভিনেত্রী এখন জাতিগত নিন্দার ভ্রু কুঁচকানোকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

তিনি বলেছেন, “আমি যখন আমেরিকান মুসলিম সম্প্রদায়ের সমর্থন পেতে প্রথম এই নাটক মঞ্চস্থ করতে শুরু করি, তখন আমার জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।” তিনি আরও বলেন, “এটা সত্যিই পরিবর্তিত হচ্ছে।”

ছয়জন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকানের প্রেক্ষাপটে পরিচয়, যৌনতা এবং ধর্ম বিষয়ক ইস্যুগুলো তুলে ধরা ‘অন্তর্বাস’ খোঁজার মতো একপেশে বক্তব্য। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ফাতিমা এবং পরিচালক এরিকা গোল্ড তাদের এই নাটক লুটন, ব্র্যাডফোর্ড, লন্ডন এবং গ্লাসগোতে মঞ্চস্থ করছেন এবং শো এর পরে “নাটক পরবর্তী আলাপ” এর মাধ্যমে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, “আমি প্রদর্শনীর জন্য অগ্রিম থিয়েটার ভাড়া করেছি এবং তারা বেশ চিন্তিত ছিলেন বলে পরে পরিকল্পনা বাদ দিয়েছি। আর নিঃসন্দেহে সেখানে দর্শক সাড়িতে লোক ছিলেন, যাদের এ ধরণের ইস্যু রয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে সরব হয়ে উঠেছেন, এত কিছু সত্ত্বেও তাঁরা এসেছেন”।

“আমরা ব্র্যাডফোর্ডে ছিলাম। আমার মনে হয়, সেটা যুক্তরাজ্যের দরিদ্রতম একটি শহর ও পাকিস্তানি জনগণের বৃহত্তম আবাসস্থল। সেখানে শ্রোতাদের মধ্যে অবশ্যই সে ধরণের মানুষ ছিলেন, যারা এই সমস্যায় আবর্ত।

বিশেষকরে “পাকি” শব্দটি ব্রিটেনে বেশ হানিকর। ভারতীয়, আফগান এবং বাংলাদেশি সহ সব দক্ষিণ এশিয়দের বোঝাতে ১৯৬০ সালে ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলো প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করে।

ফাতিমা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি-আমেরিকান অভিজ্ঞতার আরও সূক্ষ্ম দৃশ্য তুলে ধরতে তিনি এই নাটকটি লিখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম অভিনেত্রীদের ভাষায় বর্ণনা করতে যে ধরণের চরিত্র দেওয়া হয়, তিনি সেরকম “যথেষ্ট বাজে” ছিলেন না বলতে বলতে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।

তিনি আরও বলেছেন, “একজন মুসলিম আমেরিকান মহিলার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতার একটি মানবিক দিক ছিল, যা মিডিয়াতে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিল; সম্পূর্ণরুপে অনুপস্থিত ছিল সে ধরণের চরিত্র যেগুলো আমরা ফিল্ম, টিভি, থিয়েটারে দেখি।” “আমি মুসলিম নারীদের চরিত্র অংকন করতে চেয়েছিলাম, বিশেষকরে যারা তাদের নিজেদের চুল ঢেকে রাখেন। সক্রিয় কর্মী ও নারীবাদী এবং খুব স্পষ্টভাষী উদ্যোগী হয়ে আমি তাঁদের জেনেছি।”

ফাতিমা বলেছেন, গোঁড়া দক্ষিণ এশিয়রা আগামী দশকগুলোতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

“আমি আমার জীবদ্দশায় সত্যিই আশা করি, ৩০ বছর ধরে রাস্তায়, আমরা এই সময় ফিরে তাকাতে এবং বলতে পারি, ‘এই দেখ, এখন আমরা এটাকে অতিক্রম করেছি’, তিনি বলেছেন, “আমরা এগিয়ে গেছি।”

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .