এই হ্যাশট্যাগ #دوم_خردادی_ام টুইটারে ইরানের সংস্কারপন্থীদের মাঝে আলোচিত ধারায় পরিণত হয়।
দ্বিতীয় খোরাদাদ-এ আমি, মূলত ফার্সি ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৩৭৬ সালের খোরদাদ মাসের দ্বিতীয় দিন, যা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ২৩ মে ১৯৯৭ সাল, যে দিনে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মোহাম্মাদ খাতামি ৭০ শতাংশ ভোট অর্জনের মাধ্যমে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে।
اصلاحطلبان در شبکههای اجتماعی با هشتگ #دوم_خردادی_ام به استقبال سالگرد انتخاب محمد #خاتمی در سال ۷۶ رفتهاند pic.twitter.com/bsZ50AdiXK
— Arash Bahmani (@ArashBahmani) May 22, 2015
খোরদাদ এর দ্বিতীয় দিবসে আমি, নামক হ্যাশট্যাহের মাধ্যমে ৭৬- (৯৭ সালে) এর নির্বাচনের বার্ষিকীতে নির্বাচিত প্রার্থী মোহাম্মদ খাতামিকে সম্মানিত করা হয়েছে।
২০০১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে খাতামীর পুনরায় নির্বাচিত হওয়া ইরানের জনগোষ্ঠীর মাঝে তার জনপ্রিয়তাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে, যে নির্বাচনে ৭৭ ভোট অর্জনের করে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় লাভ করেছিলেন।
তার নির্বাচনী প্রচারণা গড়ে উঠেছিল উদারনৈতিকতা এবং সংস্কারের উপর ভিত্তি করে, এবং তার রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন মেয়াদে তিনি ছিলেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার, সহনশীলতা, সুশীল সমাজ এবং পাশ্চাত্যের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে ওকালতি করে গেছেন।
খাতামির রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ইরানের গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সমাজ বিজ্ঞানী এবং গবেষক আসেফ বাইয়াত ২০০১ সালে বিবিসিকে প্রদান করা এক সাক্ষাৎকারে নীচের এই বিবৃতিটি উদ্ধৃত করেছিলেন :
প্রথমত, চিন্তায় এক পরিবর্তন আসে আর এই বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুশীল সমাজ, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন এবং এই সকল বিষয় নিয়ে খাতামির সময়ে আলোচনা হত-যা ৮০-এর দশকে একেবারে অনুপস্থিত ছিল–তা এই সময়ে এক প্রভাবশালী ধারণায় পরিণত হয়, যার ফলে এমনকি রক্ষণশীল ধারার একটি বিশেষ অংশ একই ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করে।
কিন্তু খাতামীর সরকারও দ্বন্দ্বে আঘাত প্রাপ্ত হয়, রক্ষণশীল অনেক রাজনীতিবীদ তার এই সংস্কারের বিরুদ্ধে লেগে পড়ে।
তার শাসন মেয়াদের শেষে, খাতামি এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে রয়ে যান। ২০০৯ সালে তিনি সংস্কারপন্থী রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে সমর্থন করেন। পরবর্তীতে মৌসাভি গ্রিন মুভমেন্ট নামক জনপ্রিয় আন্দোলনের অনুঘটক এবং নেতা ভূমিকা গ্রহণ করেন, যার কারণে তাকে তার নিজের গৃহে গৃহ বন্দী করা হয়, যা আজো বিদ্যমান।
খাতামির এই বিদ্যমান জনপ্রিয়তা এবং বিতর্কিত চরিত্র যেমন মৌসাভির প্রতি তার ক্রমাগত সমর্থন তাকে ইরানের অভ্যন্তরে তার অবস্থানকে ভঙ্গুর করে রাখে। বর্তমান উদার নৈতিক রাষ্ট্রপতি হোসাইন রোহানির প্রশাসন থেকে আলাদা বিচার বিভাগ যা শাসন বিভাগের এক অংশ সেটি এ বছরের শুরুতে ইরানের প্রচার মাধ্যমে খাতামির নাম উল্লেখ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ।
এই আন্দোলনের পোস্টার, যা আজ সব জায়গা ছড়িয়ে পড়েছে, সমর্থকেরা তা এই #رسانه_خاتمی_میشویم,হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে প্রদর্শন করেছে। যার মানে হচ্ছে আমরা হব খাতামির প্রচার মাধ্যম। এই জটিলতা সত্ত্বেও, প্রচার মাধ্যমের এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টিকে নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি, জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেমন টুইটারের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে তাদের জনপ্রিয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির জন্য তারা তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরছে।
یاد تو را من را فراموش.. .. #دوم_خردادی_ام pic.twitter.com/GnT79uZyUy
— کو کو (@kourosh757) May 23, 2015
আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে ভুলে গেছি # খোরদাদের দ্বিতীয় দিনে আমি-এর কথা